হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক - হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে

 হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক ও হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে আপনি কি হাঁস সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার জন্যে। এখননে থাকতে সব রকমের হাঁসের জাত। হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক। তাছাড়া থাকছে হাঁস ও হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকার ও ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত। হাসেঁর ভিটামিন পুষ্টি সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই উক্ত পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

হাঁসের-ডিমের-ক্ষতিকর-দিক-হাঁসের-ডিমে-কি-এলার্জি-আছে
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা উক্ত পোষ্ট দ্বারা আমরা হাঁস সম্পর্কে যানব। তাই আর দেরি না করে আশুন হাঁস সম্পর্কে সম্পূর্ণ কিছু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকাঃ

হাঁস প্রতি বছরে দুইবার করে পালক বদলায়। এবং স্ত্রী হাঁস একসাথে অনেকগুলো ডিম পাড়ে। এবং রাজহাঁসের ডিম খসখসে প্রকৃতির হয়ে থাকে। আর পাতি হাঁসের ডিম মরাল হাঁস, রাজহাঁসের মত হয়না। হাঁস বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

ফুলুরি হাঁসের বৈশিষ্ট্যঃ

শিখা বিশিষ্ট হাঁস Anatidae গোত্র যা পরিবারের অন্তর্গত Anas গনের অন্তর্ভুক্ত প্রজাতির হাঁস। এবং এরা শিরাযুক্ত হাঁস নামে পরিচিত লাভ করে থাকে।
প্রজননঃ- প্রতি বছর মে মাস থেকে শুরু করে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। এরা চীন দেশের উত্তর-পূর্বা অঞ্চলের কাছাকাছি ভূমিতে শুকনো পালক এবং লতা-পাতা বিছিয়ে বাসা বাঁধে। এরা এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৬-১০টি করে ডিম পাড়ে। এদের ডিম থেকে বাচ্চা উঠতে প্রায় ২২-২৫ দিন সময় লাগে।
ইংরেজি নামঃ &ndsp_Falcated duck.
বৈজ্ঞানিক নামঃ&ndsp_Anas falcata.

পাতি হাঁসের বৈশিষ্ট্য

এদের দৈর্ঘ্য ৪৭-৪৮ সে.মি. ওজন ৮০০-৮৫০ গ্রাম, ডানা ১৯-২০ সে.মি. এদের ঠোঁট ৪.৫ সে.মি. এদের পা ৩.৭ সে.মি. এবং লেজ ৬.৬ সে.মি. হয়ে থাকে। 
প্রজননঃ- এরা মাটিতে ঘাস ও পালকের বাসা বানিয়ে ডিম পাড়ে। এদের ডিমগুলো জলপাই রঙের। এরা ১০-১৪ টি ডিম পারে। এদোর ওজন ৮০০-১০০০ গ্রাম হয়ে থাকে।
খাদ্য তালিকাঃ- এরা ঘাস, জলজ উদ্ভিদ, পোকামাকড়, শামুক,ব্যাঙ,কেঁচো, ছোট মাছ সহ কিছু বীজ খেয়ে থাকে।
ইংরেজি নামঃ Common pochard
বৈজ্ঞানিক নামঃ Aythya ferina

বালিহাঁসের বৈশিষ্ট্য

এই হাঁস পৃথিবির বিভিন্ন দেশে দেখতে পাওয়া যায়। এই হাঁস সব চেয়ে ছোট হাঁস নামের পরিচিত ছোট বুনোহাঁস নামে পরিচিত। দৈঘ্য ৩০-৩২ সেমি. পাঁকা/ডানা ১২-১৪ সেমি. ঠোঁট ২.৫ সেমি. পা ২.৫ সেমি. ওজন ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।
প্রজননঃ- বিভিন্ন বিল, জঙ্গল,ও জলাশয়ের খুব কাচাকাছি খেজুরগাছে, নারিকেলগাছ, তালগাছ এবং বিভিন্ন গাছে এরা বাসা বাঁধে। এরা পৃথিবীতে প্রায় ৯০ লাখ ৮০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এদের সংখ্যা ১০,৮০,০০০-১১,০০,০০০ রয়েছে।
ইংরেজি নামঃ Cotton pygmy goose
বৈজ্ঞানিক নামঃ Nettapus coromandelianus

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

হাঁসের ডিম পুষ্টিকর ও ভিটামিন বি। হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে বা ডিম আমাদের পরিচিত একটি খাবার। হাঁসের ডিমের ভিতরে অনেক পুষ্টি ও প্রোটিন উপাদান রয়েছে। হাঁসের ডিমের স্বাধ ও মুরগির ডিমের স্বাধ কিছুটা একই হলেও, এদের পুষ্টি কম বেশি রয়েছে। হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের চেয়ে একটু বড় হয়ে থাকে।
হাঁসের ডিম কোন প্রকার ফ্রিজে না রেখেও ৫/৬ মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায়।পৃথিবীতে প্রতিটি খাবারের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। এবং হাঁসের ডিমের মধ্যেও সেই রকম রয়েছে। হাঁসের ডিম ১০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। মুরগীর ডিমে ১৪৯ কিলো ক্যালোরি এনার্জি থাকলেও হাঁসের ডিমের ভিতরে ১৮৫ কিলো ক্যালোরি এনার্জি হয়েছে। 
হাঁসের ডিম খেলে ক্যানসার এবং হৃদরোগ থেকে বাঁচা সম্ভব। এছাড়াও হাঁসের ডিম খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি হয়। ত্বকের স্বাস্থ্য ও রক্ত বৃদ্ধি হয়।

হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে

হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে? হ্যাঁ হাঁসের ডিম খেলেও এলার্জি হয়ে থাকে। হাঁসের ডিম অনেক সুস্বাদু একটি খাবার। ডিম এবং মুরগির ডিমের মধ্যে যদি তফাত খুজতে চান তাহলে হাঁমের ডিম আপনার বেশি ভালো লাগবে। অনেক হাঁসের ডিমে এলার্জি আছে। এলার্জি বেশিরভাগ সময় ছোট বাচ্চাদের বেশি হয়ে থাকে। শিশুরা বেশির ভাগ সময় স্কুলে ডিম নিয়ে যায়।
এক্ষেত্রে তারা সিদ্ধ ও ভাজাডিম বেশি খেয়ে থাকে। এছাড়াও এলার্জি যেকোন খাবার থেকে হতে পারে। কারো হাঁসের ডিমে এলার্জি থাকে কারোবা মুরগীর ডিমে এলার্জি থাকে। ডিম খেয়ে এলার্জি হলে যে লক্ষণ গুলো বেশির ভাগ সময় দেখা যায়।
  • পেট প্রচুর পরিমানে ব্যাথা করে।
  • তববকের পরিবর্তন হয়।
  • বমি বমি ভাব হয়।
  • মাথা ঘুরতে পারে।
  • দেহের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি ও ফুসফুস হয়।
  • চোখ লাল হয়ে যায়।
  • নাক দিয়ে পানি পড়তে পারে।
  • ঘন ঘন হাঁসি কাঁসি হতে পারে।
  • বুকে ব্যাথা হতে পারে।
  • হাঁপানি ও কাঁসি হতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক

৫-৬ মিনিট ডিমটি সিদ্ধ করে ভালোকরে খোসা ছাড়িয়েপ্রত্যেকটি কাজের উপকার ও ক্ষতি রয়েছে। তেমনি হাঁসের ডিমের ক্ষতিও রয়েছে। ডিম যতই পুষ্টিকর খাদ্য হোক কেউ যদি প্রতিদিন ডিম খায় তাহলে তার কয়েকটি ক্ষতি হতে পারে। এবং ডায়বেটিস নামক রোগ থাকলে হাঁসের ডিম তাতের জন্য অনেক ক্ষতি হতে পারে। 
তাই ডিম যেমন পুষ্টির জন্য প্রয়োজন তেমনি বেশি খাওয়ার ফলে কিছু মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। অনেকে এই ডিম দিনে ২/৩ টি করে খেয়ে থাকে, ডিম যতই ভালো হোকনা কেন,, প্রতিটি কাজের যেমন খারাপ দিক থাকে তেমনি ডিমের ক্ষতিও রয়েছে। খেতে হবে।
  • হাঁসের ডিম কখনো কাঁচা খাওয়া যাবে না।
  • সপ্তাহে ৪ টির বেশি ডিম খাওয়া উচিৎ হবে না।
  • যাসের মাংস কিংবা ডিমে এলার্জি থাকলে, হাঁসের ডিম খাওয়া থেকে বেরত থাকতে হবে।
  • পেসার থাকলে হাঁসের ডিম খাওয়া থেকে দুরে থাকুন।
  • হাঁসের কাঁচা ডিম কেউ খেলে তার স্যারমূল নামক রোগ হতে পারে।
  • করো এলার্জি থাকলে ফুসরী এবং চুলকানি হতে পারে।

প্রতিদিন হাঁসের ডিম খেলে কি হয়

হাঁসের ডিমে থাকে ভিটামিন-বি। এছাড়া ও হাঁসের ডিম খেলে ক্যানসার ও রূদরোগের ঝুঁকি থাকেনা। তাড়াছাও হাঁসের ডিমে কিছুটা ভিটামিন-এ থাকে, যা খাওয়ার ফলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি হয়। ত্বকের স্বাস্থ ঠিক রাখে, রক্ত চলাচলের সহযোগিতা করে, ইত্যাদি বিভিন্ন উপকার রয়েছে। তাছাড়া হাঁসের ডিম থেকে ১৮০-১৮৫ ক্যালরি এনার্জি রয়েছে। যেখানে একটা মুরগীর ডিমে মাত্র ১৪০ ক্যালোরি এনার্জি থাকে। অনেকে প্রতিদিন নাস্তয় সহ বিভিন্ন ভাবে ডিম খেয়ে থাকে। 

এছাড়া ডিম সিদ্ধ, ভাজি,করে খাওয়া যায়। অনেকে ডিম ভত্তার সঙ্গেও খেতে পছন্দ করে, এতে করে ভত্তার স্বাধ বৃদ্ধি হয়। বিভিন্ন বিজ্ঞননী বলেন, স্টোক ও হৃদরোগ থেকে ঝুকি কমাতে সক্ষম। যেখানে সমস্ত বিজ্ঞানীরা বরেন সপ্তাহে ৩-৪ টার বেশি ডিম খাওয়া উচিৎ নয়। সেখানে চিনের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলেন, প্রতিদিন ডিম খাওয়া উচিৎ, কারন এতে ক্যানসার নামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। 

এতে শরীরের রক্ত চলাচলের সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কেননা এতে ভিটামিন-বি রয়েছে। এবং কিছুটা পরিমান ভিটামিন-এ ও থাকে। সেই কারনে ডিমের প্রচার সারা বিশ্বে করা হয়েছে। বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদানের মধ্যে অন্যতম একটি জিনিস তার নাম হলো ডিম।
তাছাড়াও ডিমে থাকে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, ভিটামিন-এ, বি,ডি, এবং বি-টুয়েল্ভ থাকে। এবং ডিম খেলে বৃদ্ধ বয়সে চোখের যোতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে।

হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে

বিভিন্ন চিকিৎসা গবেষণা করে পাওয়া যায়, ডিমে অনেক উপকারও ভিটামিন রয়েছে। তাছাড়া কারো যদি ডিমে এলার্জি বা কোন রোগ রয়েছে যার কারনে ডিম খাইতে পারেন না,, তারা অন্তত ডিমের সাদা অংশটুকু খেতে পারেন। এতে অনেক প্রোটিং রযেছে যার ফলে আপনার বিভিন্ন সমস্যা থেকে ধীরে ধীরে সুস্থতা অর্জন করা সম্ভব। ডিমের সাদা অংশ থেকে রক্তচাপ কমাতে সক্ষম।

এবং বিভিন্ন প্রকার বিজ্ঞানীগণ গবেষণা করে বলেন ডিম খেলে কোন প্রকার প্রেসার বৃদ্ধি হয়না।আবার কোন কোন গবেষণা গণ বলেন, কারো যদি প্রেসার কম থাকে সেক্ষেত্রে তারা হাঁসের ডিম খেতে পারে এতে করে তাদের প্রেসার সাভাবিক করতে পারে। তাছাড়া ডিম রান্নার ক্ষেত্রে শাকসবজির মতো করে ব্যাবহার করে খেতে পারেন।

ডিমের কুসুমের ভিতরে অনেক পরিমানের কোলেস্টেরল থাকে যার কারনে উক্ত রক্তচাপ হতে পারে। তাই ডিম প্রতিদিন খেলে থাকলেও ডিমের কুসুম সপ্তাহে ৩-৪ টির বেশি খাওয়ার থেকে দূরে থাকুন। একটা ডিম ব্লাড পেসার বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক উপকার করে থাকে।

হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম

হাঁসের ডিম খেলে প্রোটিনের ঘাটতি দূর করে, আ্যালবুমিন নামক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এনার্জি বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন ক্ষমা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। খালি পেটে সিদ্ধ ডিম অনেক ক্যালসিয়াম যোগাতে সক্ষম। এছাড়া ডিম খেলে চুল পড়া বন্ধ করে। প্রতিদিন ডিম খাওয়া শুরু করলে অনেক উপকার পাবেন। 

মস্তিষ্কের মেমব্রেন, পেশি সহ বিভিন্ন কিছু সুগঠিত রাখতে সাহায্য করবে। মস্তিষ্ককে ঝিল্লি গঠন করতে সাহায্য করে থাকে। এবং স্নায়ু থেকে পেশির সংবেদনা করার জন্যে অনেক সাহায্য করবে। ডিম খেলে ম্যাকুলার ক্ষয় কমায়। তাছাড়াও অনেকটা লুটেইন ও জ্যাক্রোন্থিন এর ভিতরে থাকে।

লেখকের মন্তব্য

সকালে ঘুম থেকে উঠে খাঁলি পেটে ডিম খেলে, শরীরের নানা উপকার হয়। তার পাশাপাশি যে সব রোগ নিয়ে চিন্তা ভাবনা থাকে তা দূর করে। প্রতিদিন একটা করে ডিম খাওয়া শুরু করলে অবশ্যই উপকার পাবেন। তাছাড়া খাঁলি পেটে ডিম খেলে দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডিমের দেহের সেলেনিয়াম নামক রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা শক্তিশালি করে। 

তাছাড়া খাঁলি পেটে ডিম খেলে দেহের ওজন কমায়।উক্ত পোষ্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট ও শেয়ার দিয়ে বন্ধুদের পড়ার সুযোগ করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url