সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪ - ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারির সময়সূচি

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ, আজকের আমাদের এই উক্ত ব্লগ পোস্টের দ্বারা আপনি সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি, ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারির সময়সূচি, এবং সকল জেলার নামাজের সময়সূচি জানতে পারবেন। তাই যেকোন জেলা থেকে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জানতেেএই উক্ত পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সেহরি-ও-ইফতারির-সময়সূচি-২০২৪
ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী, বাংলাদেশের মধ্যে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করে। আর তাই সবচাইতে ঢাকা জেলার মানুষ বেশি সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি অনুসন্ধান করে থাকে।

ভূমিকা

বছর শেষে খুব দ্রুত দেখতে দেখতে আমাদের কাছে আবারো চলে এসেছে মাহে রমজান। আর তাই সকলে সেহের ও ইফতার করার জন্য সময়সূচি দেখে রোজা রাখেন। তাই আজকে আমার এই ওয়েবসাইটে ঢাকা জেলা ও ঢাকা জেলার বাহিরেও সকল জায়গার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরার রচেষ্টা করবো।

বৃহত্তম এই ঢাকা শহরে প্রায় দুই কোটির মতো লোকজন বসবাস করে থাকে। আর এই দুই কোটি লোকের ভিতরে প্রায় ৯৫% এর মতো মানুষ রয়েছে যারা মুসলিম। আর তাই এই বৃহত্তম জনসংখ্যার সকল লোকজন প্রায় প্রতিবছরেই প্রায় সকল মানুষ রমজান মাস পালন করে।

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ এবং ধর্মীয় মুসলিম ভাই ও বোনেদের জানাই ’আসলামালাইকুম’। আজকে আপনাদের সুবিধার জন্য নিয়ে আসলাম এ বছরের ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪। এবং সারা দেশের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪।
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর দেওয়া সঠিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪। এবং আজকের সেহরির সময় ও আজকের ইফতারের সময় ২০২৪। আমরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদের সব সময় সেহরি ও ইফতারের সময় জানিয়ে দিব।

সেহরির শেষ সময় ২০২৪

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারির সময়সূচি ২০২৪ জানানো হয়েছে। যার জন্য আজকের সেহরি করার সময় ও সেহরির শেষ সময়টিও প্রকাশ করেছেন। আর তাই যে সকল মুসলমানগণ ঢাকা জেলাযর রমজান মাস পালন করবেন তারা অবশ্যই এই পোস্টটি মেনে চলবেন।সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪ দেখে নিবেন।
এতে করে অবশ্যই আপনারা প্রতিটি রমজান মাসে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর দেওয়া নিয়মে ক্যালেন্ডার দেখে পালন করার চেষ্টা করবেন। কারণ বাংলাদেশে বর্তমানে একমাত্র ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর দেওয়া ক্যালেন্ডারটিই সব সময় সঠিক ও নির্ভুল হয়ে থাকে।

ইফতারের শেষ সময় ২০২৪ ঢাকা

রমজান এর চাঁদ দেখা গেলে সেই চাঁদ দেখে সেই অনুযায়ী। প্রতি বছরের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সরকার ক্রতিপক্ষ। প্রকাশিত ভাবে এই ক্যালেন্ডার গুলো অনুযায়ী আজকের আমাদের ইফতারের সময় গুলো আমাদের এই ওয়েবসাইটের ভিতরে প্রকাশ করা হয়েছে।

রহমতের ১০ দিন

রমজানতারিখবারসেহরিইফতার
 ১. রমজান১২ মার্চমঙ্গলবার৪:৫১ মিনিট৬:১০ মিনিট
 ২. রমজান১৩ মার্চবুধবার৪:৫০ মিনিট৬:১০ মিনিট
 ৩. রমজান১৪ মার্চবৃহস্পতিবার৪:৪৯ মিনিট৬:১১ মিনিট
 ৪. রমজান১৫ মার্চশুক্রবার৪:৪৮ মিনিট৬:১১ মিনিট
 ৫. রমজান১৬ মার্চশনিবার৪:৪৭ মিনিট৬:১২ মিনিট
 ৬. রমজান১৭ মার্চরবিবার৪:৪৬ মিনিট৬:১২ মিনিট
 ৭. রমজান১৮ মার্চসোমবার৪:৪৫ মিনিট৬:১২ মিনিট
 ৮. রমজান১৯ মার্চমঙ্গলবার৪:৪৪ মিনিট৬:১৩ মিনিট
 ৯. রমজান২০ মার্চবুধবার৪:৪৩ মিনিট৬:১৩ মিনিট
 ১০. রমজান২১ মার্চবৃহস্পতিবার৪:৪২ মিনিট৬:১৩ মিনিট

মাগফেরাতে ১০ দিন

রমজানতারিখবারসেহরিইফতার
 ১১. রমজান২২ মার্চশুক্রবার৪:৪১ মিনিট৬:১৪ মিনিট
১২. রমজান২৩ মার্চশনিবার৪:৪০ মিনিট৬:১৪ মিনিট
 ১৩. রমজান২৪ মার্চরবিবার৪:৩৯ মিনিট৬:১৪ মিনিট
 ১৪. রমজান২৫ মার্চসোমবার৪:৩৮ মিনিট৬:১৫ মিনিট
 ১৫. রমজান২৬ মার্চমঙ্গলবার৪:৩৬ মিনিট৬:১৫ মিনিট
 ১৬. রমজান২৭ মার্চবুধবার৪:৩৫ মিনিট৬:১৬ মিনিট
 ১৭. রমজান২৮ মার্চবৃহস্পতিবার৪:৩৪ মিনিট৬:১৬ মিনিট
 ১৮. রমজান২৯ মার্চশুক্রবার৪:৩৩ মিনিট৬:১৭ মিনিট
 ১৯. রমজান৩০ মার্চশনিবার৪:৩১ মিনিট৬:১৭ মিনিট
 ২০. রমজান৩১ মার্চরবিবার৪:৩০ মিনিট৬:১৮ মিনিট

নাজাতের ১০ দিন

রমজানতারিখবারসেহরিইফতার
২১. রমজান০১ এপ্রিলসোমবার৪:২৯ মিনিট৬:১৮ মিনিট
২২. রমজান০২ এপ্রিলমঙ্গলবার৪:২৮ মিনিট৬:১৯ মিনিট
 ২৩. রমজান০৩ এপ্রিলবুধবার৪:২৭ মিনিট৬:১৯ মিনিট
২৪. রমজান০৪ এপ্রিলবৃহস্পতিবার৪:২৬ মিনিট৬:১৯ মিনিট
 ২৫. রমজান০৫ এপ্রিলশুক্রবার৪:২৪ মিনিট৬:২০ মিনিট
২৬. রমজান০৬ এপ্রিলশনিবার৪:২৪ মিনিট৬:২০ মিনিট
২৭. রমজান০৭ এপ্রিলরবিবার৪:২৩ মিনিট৬:২১ মিনিট
২৮. রমজান০৮ এপ্রিলসোমবার৪:২২ মিনিট৬:২১ মিনিট
 ২৯. রমজান০৯ এপ্রিলমঙ্গলবার৪:২১ মিনিট৬:২১ মিনিট
 ৩০. রমজান১০ এপ্রিলবুধবার৪:২০ মিনিট৬:২২ মিনিট

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ক্যালেন্ডা

আজকে আমি আপনাদের কাছে এই পোস্টের দ্বারা নিয়ে চলে আসলাম সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। তাই এই বছরের রমজান মাস যে সকল মুসলমান গণেরা এই বছরে রোজা পালন করবে। তাদের জন্য অবশ্যই সেহরি ও ইফতারের সময়সূচির এই ক্যালেন্ডার অতি প্রয়োজনিয় একটি বিষয়। তাই যে ক্যালেন্ডার এই বছরে বাংলাদেশ সরকার ক্রতিৃক ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচির ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হয়েছে।
আর তাই আমি আপনাকে আপনার সুবিধার জন্যে এই সেহরি ও ইফতারের সময়সূচির ক্যালেন্ডারটি এই উক্ত ওয়েবসাইট দ্বারা আপনাদের জন্য জানিয়ে দিলাম। আর তাই আপনারা আপনাদের প্রয়োজন মত সেহরি ও ইফতারের সময়সূচির আজকের ক্যালেন্ডার দেখে নিতে পারবেন।

যুদ্ধের ময়দানে রোযা পালন

যুদ্ধের সময় যদি রোজা পালনের প্রক্রিয়া থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ বলেন, জুতা যেমন তোমাদের হাতে ঢাল থাক। ঠিক তেমনি জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হল সিয়াম যাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম যুদ্ধের ঢালের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বলেন কেউ যদি পারে তাহলে প্রতি মাসে পালন করা ভাল।

তবে কেউ যদি পায় তাহলে প্রতি মাসে তিনদিন সিয়াম ছাড়া অসম্ভব বেশি বেশি আমল করতে পারে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন সিয়াম হলো তুলনামূলক একটি ইবাদত। হযরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, আমি একজন রাজু সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে বললাম হে রাসুল! আমাকে একটা আমল শিখিয়ে দেন যেটি করলে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, সিয়াম পালন করো। 

কারণ সিয়াম পালনের চাইতে অধিি আমল নেই। অতঃপর আবু মামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, আমি একা একা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনবার প্রশ্ন করলাম মেরাজুল আমাকে একটা আমলের শিখিয়ে দিন যে আমল করলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার সময় এবং জান্নাতে যাওয়া সম্ভব। প্রত্যেকবারই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন তুমি রোজা পালন কর।
যদি তুমি পারো তাহলে ফরজ রোজা রাখি তো এজন্য নফল রোজা করতে পারো। সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর কথা শুনে আবু ওমর রাঃ বছরে ১২ মাসের প্রায় দিন রোজা রাখতে শুরু করলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন সিয়াম পালনের বনফুল সিয়ামের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন হল আশুরার দিন।

তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন তোমাদের মধ্যে কেউ যদি পারো। তাহলে সে যদি প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতে পারে। আর এর সাথে প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩ ১৪ ১৫ তারিখে নফল রোজা রাখতে পারে তাহলে সেটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। বর্তমান যুগের চিকিৎসকগণ বিবেচনা করে দেখেন যে, কোন ব্যক্তি যদি মাসে ২ থেকে ৪ দিন রোজা রাখে তাহলে তার দেহে নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারে। স্বাভাবিক থাকে এবং এটি উপকারি ইবাদত।

রমযানের ফজিলত

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন যখন রমজান মাস আগমন করবে তখন তোমরা বিশ্বাস করবে যে, আল্লাহ তাআলা বেহেশতের দরজা গুলো খুলে দেন। এবং শুধু জান্নাতের দরজা গুলো খুলে রাখে তা না! বরং তার পাশাপাশি জাহান্নামের দরজা গুলো কেউ বন্ধ করে দেয। বিভিন্ন শয়তানদের শিকল বন্দি করে রাখে।

সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন তোমাদের মধ্যে যখন রমজান মাস আসবে, তখন তোমরা মনে করবে এটি একটি বরকতের মাস। কারণ এ মাসে আসমানের দরজা গুলো খুলে দেওয়া হয়। অন্য মাসে হয় না। এবং এ রমজান মাসের ভিতরে এমন একটি রাত আছে যেটি হাজার বৎসরের রাতের চেয়ে উত্তম। কেউ যদি রমজান মাসে রাতের আমল করতে পারে তাহলে এক হাজার বছর আমলের পরিমাণ সোওয়াব দান করা হবে। আর যে ব্যক্তি এড়াতে আমল করতে পারল না সে হতভাগ।

তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম একটি হাদিসে বলেন, হে ঈমানদারণ যখন তোমাদের উপর সিয়াম খরচ করা হয়েছিল ঠিক সেরূপ আমল বা সওয়াব পাবে তোমরা। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো বিশ্বাস রাখতে পারো।

রোযা সম্পের্ক সাহাবিদের মতামত

সাহাবাগন বলেন, আমরা দেখেছি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্য ঘোষণা করেন যে আল্লাহ তাআলা বলেছেন সিয়ামের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করা যায়। যদি কেউ অর্জন করতে পারে তাহলে তার হৃদয়ে অসন্তুষ্টি এবং শান্তি থেকে বিচক্ষণ অনুভব হয়।

আর কেউ যদি রোজা না পালন করে তাহলে তার উপর আল্লাহ খুশি হয় তো দুরের কথা আল্লাহ তায়ালা বেজার হবে তার উপর। যদি আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি হয় তার বিষয়ে বা তার উপর কোন শান্তি বর্ষিত হবে না। আর আল্লাহ তায়ালা যদি সন্তুষ্ট হয় তাহলে তার কোন আওয়ামী কাজে দেবে না।
আমরা সব সময় এই কথা স্বীকার করি যে, আমরা যদি পরিপূর্ণ তাকওয়া অর্জন করতে চাই তাহলে সিয়াম অর্জন করতে হবে। রোজাদার যখন প্রচন্ড ক্ষুধা অথবা পিপাসায় থাকে তখন আল্লাহ তা'আলা তাঁর উপর রহমতের নজরে তাকায়। তখন তিনি মুচকি হাসেন এবং ফেরেশতাদের বলেন। এ ফেরেশতা তোমরা সাক্ষী থাকো। ওই ব্যক্তিকে আমি কখনো যার নামে আগুনে ফেলবো না। যে ব্যক্তি আমার উদ্দেশ্যে রোজা রাখল। 

আমার ভয়ে সারাদিন না খেয়ে রোজা রাখলেও ওই ব্যক্তিকে আমি কখনো জাহান্নাম দেবো না। মুমিনের অন্যতম ইবাদত হলো কোরআন তেলাওয়াত। ঠিক তেমনি আরেক টি ইবাদত হল রোজা পালন করা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লো। রমজান মাসে রোজা রাখল। সময়ে কোরআন তেলাওয়াত করলো। সে ব্যক্তি জান্নাতি জান্নাতি জান্নাতি!!

শেষ কথাঃ

প্রিয় পাঠক, আপনারা অবশ্যই রমজান মাসের প্রতিটি রোজা রাখবেন। এর কারণ হলো একটি বছর পর পর একটি মাস আসে আর সেই মাসের নাম হলো রমজান। আমরা অবশ্যই এই পোস্টের মাধ্যমে রমজান মাসের সকল সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪ জানতে পেরেছেন।

উক্ত পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে একটি কমেন্ট করবেন। এবং শেয়ার দিয়ে আপনি আপনার বন্ধুদের শেয়ার করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url