রুই মাছের খাদ্যাভ্যাস - রুই মাছের আঁইশের বৈশিষ্ট্য

 
রুই মাছ আমাদের দেশে অতি জনপ্রিয় একটি মাছ। রুই মাছের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে যানা অতি জরুরি। এবং রুই মাছের আঁইশের বৈশিষ্ট্য অন্যতম। যা প্লাকয়েড, টিনয়েড নামক আঁইশ। রুই মাছের ফোকাস কেন্দ্রো শিরাতন্ত বহুল।
রুই-মাছের-খাদ্যাভ্যাস-রুই-মাছের-আঁইশের-বৈশিষ্ট্য
উক্ত পোষ্ট দ্বারা রুই মাছের উপরের স্থল ও দিক বিবেচনা করা হয়েছে। যার প্রতিফল বহুত উপকারি হিসাবে ধরা যায়।

ভূমিকা

রুই মাছকে ইংরেজিতে Rohu Carp বলা হয়। তবে এর বৈঙ্গানিক নাম Labeo rohita. এর আন্তর্জাতিক ভাবে এই মাছকে নাম দেওয়া হয়েছে রোহু।  বাংলাদেশ এবং ভারতে রুই নামে পরিচিত। পাকিস্তান ও মায়ানমারে রোহিত, রাউ, নলা, গরমা ইত্যাদি নামে পরিচিত। এই মাছ খালে-বিলে, পুকুরে এমনকি নদীতে চাষ করা হয়। রুই মাছের আঁইশের বৈশিষ্ট্য অন্যতম। 

যার ফলে বিভিন্ন জায়গায় চাষের কারনে এর স্বাধও ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। রাংলাদেশে জন্মান প্রতিটি এই মাছের স্বাধের সাথে জড়িত আছে। রুই মাছের খাদ্যাভ্যাস খুবই সচ্ছো। বাংলাদেশ ও ভারতে বহুল পরিচিত ও সুস্বাদু মাছ হলো রুই। 

রুই মাছের ধমনিতন্ত্র

  • রুই মাছের ধমনিতন্ত্র বহির্বাহী ও অন্তর্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি বলে গঠিত।
  • নালিগুলো দিয়ে ঐ রক্ত ডার্সাল অ্যাওটা হয়ে বাহিত হয়।
  • হৃৎপিন্ড থেকে ভেন্ট্রাল অ্যাওর্টায় রক্তের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ধমনির গোড়া স্ফীত আর্টারিওসাস গঠন করে থাকে।
  • ভেন্ট্রাল অ্যাওটা হয়ে পার্শ্বীয় রক্তনালি দুপাশের ফুলকায় বাহিত হয়।
  • ব্রাঙ্কিয়াল ল্যাটেরাল আওর্টায় উন্মুক্ত হওয়ার আগে একত্রে মিলিত হয়।
  • ক্যারোটিড ধমনি ও ল্যাটেরাল অ্যাওর্টা। গলবিল অঞ্চলে ডিম্বাকার ধমনি বলয় সৃষ্টি করে থাকে।
  • মেরুদণ্ডের নিচে ডার্সাল অ্যাওর্টা বরাবর লেজ পর্যন্ত প্রসারিত।
  • দেহ প্রাচীরে জন্য রক্ত সরবরাহ করে থাকে।
  • পাকস্থলিতে মলাশয় প্রভৃতি আন্ত্রিক অঙ্গে রক্ত পরিবহন থাকে।

রুই মাছের ডিম

মাছের ডিমকে ফিশ রো বলা হয়। ক্যাভিয়া স্ত্রী মাছের ডিম।  যা দিয়ে রন্ধন সম্পর্কিয় খাবার বা রেসিপি তৈরি হয়। মাছের ডিম প্রযুক্তিভাবে মজুত করে বাজারেো বিক্রয় করা হলেও এগুলো খুব কম দেখত পাওয়া যায়। কারন এগুলো সব সময় পুকুর বা নদী থেকে সরাসরি চাষের জন্য কোন পুকুর বা কোন জায়গায় গর্ত করে পালন করা সম্ভব। যার ফলে এর দ্বারা মাছের পোনা তৈরি করে বাজার জাত করা হয়। রুই মাছও ঠিক একই রকম ভাবে পোনা উৎপন্ন করা সম্ভব। রুই মাছ বেশিরভাগ গ্রীষ্মকালে ডিম পাড়ে। 
মাছের ডিমের ক্যাভিয়ারঃ ক্যাভিয়া শব্দটির অর্থ- Acipenseridae. রুই মাছের ডিম  হোয়াইট লাল ক্যাভিয়ার, টোবিকো ধরনের হয়ে থাকে। ক্যাভিয়ারকে সাবসিটিউট নামে বিবেচনা করা সম্ভব। 
রুই মাছ খাওয়ার ক্ষতিঃ মাছের ডিমে কোন ক্ষতি নেই।বরণ এতে রয়েছে, সোডিয়াম ও কোলোস্টেরল নাম পরিচিত। তাই মাচের ডিম বেশি করে খাওয়া উচিত। মাছের ডিম বাজারে বিক্রয় হয়না করন এটি সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ। তাছাড়া এটি অনেক ব্যাবসায়ি বাজার জাত করতো যার ফলে রুই মাছের ডিম অনকে জনপ্রিয়  হয়ে উঠতো।

রুই মাছের হৃদপিন্ডের গঠন

  • বিশেষ ধরনের গহ্বরে হৃৎপিন্ড অবস্থানের ফলে এর নাম পেরিকার্ডিয়াল গহবর বলা হয়।
  • পেরিকার্ডিয়াম হৃৎপিন্ডটি আবৃত আবরণ করা থাকে।
  • সাইনাস ভেনোসাস এর নাম উপপ্রকোষ্ঠ থাকে।
  • অন্য মাছের মতো রুই মাছের হৃৎপিন্ড দুই প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট অলিন্দ বা অ্যাট্রিয়াম এবং অপরটি নিলয় বা ভেন্ট্রিকল।

রুই মাছের খাদ্যাভ্যাস

রুই মাছ কিছুটা শকাশি ধরনের হয়ে থাকে। তাই রুই মাছের খাদ্যাভ্যাস জলের মধ্যস্তরে থাকে। এই মাছ জলের মাঝামাঝি থাকতে পছন্দ করে। এদের মুখ নিচের দিকে কিছুটা ভাজ হয়। এদের ঠোঁট জলজ উদ্ভিদ, আগাছা গুলো মাঝে মধ্যে তলদেশে গিয়ে পচাঁ শুকনো জৈব পদার্থ গ্রহন করে জীবনধারন করে থাকে। এদের কিছু পছন্দনিয় খাদ্য আচে।  
যেগুলো খুবই উপকারী একটি খাদ্য তা খেয়ে এরা দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তাই এদের ওজন এরা খুবই স্বচ্ছ ও খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। এই মাছগুলোর  বৈশিষ্ট্য অনেক। রুই মাছের আঁইশের বৈশিষ্ট্য অনকে যা রুই মাছের পাখনাসমূহ কিছুটা মিল রয়েছে।এদের প্রিয় খাদ্য হলোঃ-
  • ফিড মিল।
  • চাউলের গুডা।
  • খৈলের গুড়া।
  • কুঁড়া।
  • আধা পঁচা ঘাস, ইত্যাদি।

রুই মাছের আঁইশের বৈশিষ্ট্য

কেন্দ্রস্থলে ফোকাস রেখা যায়। আঁইশের কেন্দ্রস্থলের সেই ইস্থানকে ফোকাস বলে। আঁইশের কেন্দ্র্  সন্নিবিষ্ট ও সন্নিবেশে থাকে। রুই মাছের অনেক শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য আঁইশে সেই সার্কুলিগুলোর গাঢ় বর্ণের রেখা বা অ্যানুলি অছে। এবং প্রতিবছর একটি করে বৃদ্ধি হয়ে থাক।
রুই মাছের আঁইশ সাধারন ভাবে চার প্রকার হয়ে থাকে।
  1. প্লাকয়েড।
  2. সাইক্লোয়েড।
  3. সাইনয়েড।
  4. টিনয়েড।

রুই মাছের শিরাতন্ত্র

রুই মাছের শিরাতন্ত্র বলতে রুই মাছের আঁইশের বৈশিষ্ট্য এর কথা সব সময় উঠে আসে।
কৈশিক জালিকাঃ রক্তনালি দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে অক্সিজেন এর পরিবর্তে রক্ত সংগ্রহ করে হৃৎপিণ্ডের সাইনাস ভেনোসাসে নিয়ে যায়। যার ভিতরে পোর্টাল শিরাতন্ত্র ও সিস্টেমিক শিরাতন্ত্র আছে। এই সম্পর্কে অগেও একটি পোস্টে অলোচনা করা হয়েছে। অপনি চাইলে নিচের লিঙ্কে চাপ দিয়ে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
শিরার মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ দিয়ে রক্ত সরাসরি হৃৎপিন্ডে ফিরে যায়। সেগুলোকেই বলা হয সিস্টেমিক শিরা।

রুই মাছের হৃদপিন্ডের গঠন

রুই মাছের আঁইশের বৈশিষ্ট্য এর ভিতরে ফুলকার পিছনে পেরিকার্ডিয়াল নামে পরিচিত। ফুলকায় প্রেরিত।গহ্বরে হৃৎপিন্ড অবস্থান করে থাকে। রুই মাছের খাদ্যাভ্যাস হৃৎপিণ্ডের অংশ নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংকুচিত হয়ে থাকে। রুই মাছের হৃৎপিণ্ডকে ভেনাস হার্ট বলা হয়। এতে সাইনাস ভেনোসাসে সঙ্কোচন ঘটে। রুই মাছের পাখনাসমূহ ভেন্ট্রিকল ও বাল্বাস আর্টারিওসাস সংকুচিত হয়ে থাকে। হৃৎপিণ্ডের সঙ্কোচনকে সিস্টোল থাকে।
রুই পেরিকার্ডিয়াম নামক হৃৎপিন্ডটি আবৃত থাকে। তাই এই হৃদপিণ্ড আবৃত করা থাকে। যার ফলে মাছ দুটো সহজে চলাচল করতে পারে। নিজের খাদ্য নিজেই গ্রহণ করতে পারে। তাই রুই মাছের আইস খুবই উপকারি। এই হৃদপিন্ডটি দুইটি প্রকোষ্ঠি হয়েছে।
  1. নিলয় বা ভেন্ট্রিকল।
  2. অলিন্দ বা আ্যান্ট্রিয়াম।

লেখকের মন্তব্য 

রুই মাছ আমাদের খুব জনপ্রিয় এবং অনেক পরিচিত একটি মাছ, যার স্বাধ অন্যতম। রুই মাছের ডিম থেকে মাছের পোনা জন্ননিতে ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ তিন পর্যন্ত সময় লাগে। এদের চোখ ফুটতে সর্বোচ্চ ১২ ঘন্টা সময় লাগে। রুই মাছর পোনা ৯৬ ঘন্টা পর থেকে খাবার খেতে পারে। ১১২ ঘন্টার মধ্যে এরা পূর্নতা শক্তি পেয়ে যায়। 
উক্ত পোষ্ট ভালো লাগলে কমেন্ট এবং শেয়ার করে বন্ধুদের পড়ার সুযোগ করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url