রুই মাছের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য - রুই মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা

 
আপনি কি রুই মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। এই পোস্টের ভিতরে রুই মাছ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যা আপনার অনেক উপকার করবে। তাই উক্ত পোস্টে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এবং আপনি রুই মাছ সম্পর্কে সবকিছু জেনে রাখুন। যা পরবর্তীতে আপনার অনেক কাজে দেব।
রুই-মাছের-শনাক্তকারি-বৈশিষ্ট্য
প্রি পাঠক বন্ধু, উক্ত পোস্টে আপনি আপনার সকল সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকার করার জন্য অনুরোধ রইল।

ভূমিকা 

আমাদের অনেক জনপ্রিয় একটি মাছ। যাদের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়। এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয। এই মাছ সুস্বাধু হওয়ার কারণে, এই মাছে সকালে পছন্দ করে থাকে। এবং ধীরে ধীরে একি অনেকের প্রিয় হয়ে উঠেছে। যার ফলে মানুষ এটা পছন্দ করে থাকে। আপনার বেশি হওয়ার ফলেও অনেকে পছন্দ করে থাকে। 

এ মাছের পিঠের নিচে বাদামী রঙের হয়ে থাক। এবং এদের পেট রূপালী সাধারণ হয়।মুখের নিজ দিকে একটু শুরু থাকে। ঠোঁট ভিতরে দিকে ভাজ হয়ে থাকে। এই মাছ ২০০ থেকে ২৫০ সে.মি লম্বা হয়ে থাকে। এরা সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। এবং ১০ বছর বয়সে এদের ওজন হয় ৪৫ কেজি।

রুই মাছের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য

বেশিরভাগ লোকেরা সপ্তাহে ২/৩ বার রুই মাছ কিনে থাকে কারন এটির অনেক উপকারিতা রয়েছে। উক্ত পোস্টের মধ্যে সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। মাছের মধ্যে সবচাইতে বেশি যেগুলো জনপ্রিয় তার নাম হচ্ছে রুই এবং কাতলা। যা বাঙালি সচরাচর পেয়ে থাকে। অনেক বাঙালির জনপ্রিয় একটি মাছ হলো রই। 

রুই মাছ যদি রোজ খাওয়া হয় তাহলে অনেক উপকার হয়েছে। যা চিকিৎসকগণ গবেষণা করে যানান। একটু অনেক কার্যকরী মাছ। যখন করোনা সৃষ্টি হলো, করোনা যখন বৃদ্ধি পেলে তখন ডাক্তার রুই মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাই অল্প হলেও মাসে দু-একবার হলেও রুই মাছ খাবেন। আপনার শরীর ভালো থাকবে, সুস্থ থাকবেন, আপনার মস্তিষ্ক ভালো থাকবে। 
আপনার শরীর এবং মন যদি ভালো থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আনন্দে থাকবেন। তাই নিজেকে আনন্দিত রাখতে সপ্তাহে একবার হলেও রুই মাছ খাবেন। আমাদের দেশ নদীমাতৃক হওয়ার কারনে রুই মাছ অনেক পাওয়া যায়। রুই মাছের বিভিন্ন নাম রয়েছে যথাঃ রুই, রোহিতা, রাউ, নলা ইত্যাদি।
রুই মাছের বৈজ্ঞানিক নামঃ Labeo rohita.

রুই মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা

রুই মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। উক্ত পোস্টে রুই মাছের সকল উপকারিতা অপকারিতা বর্ণনা করা হয়েছে।
রুই মাছের উপকারিতাঃ
রুই মাছ খাওয়ার ফলে বিভিন্ন উপকার হতে পারে। যেমনঃ রক্তের বাঁধার সমস্যা কমে, ত্বকের নানা রকম সংক্রমণ দূর কর, করোনার পর থেকে অনেকের ত্বকের নানা রকম সমস্যা হয়েছে। অনেকর শরীরের রক্ত জমাট বেড়ে গেছে। সেগুলো সমস্যার সমাধান করতে রুই মাছ অনেক অবদান রাখে।তাছাড়া চিকিৎসার বেদ বলে, রুই মাছের রয়েছে অনেক প্রোটিন যার শরীরের পক্ষে অনেক উপকার।

চোখ ভালো রাখে। হারের সমস্যা কিছুটা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের হার্টের সমস্যা আছে তারা রোজ এই মাছ খেতে পারে কোন সমস্যা হবে না। মদ খাওয়ার ফলে অনেক উপকার হয়। হারের জোরা মজবুত এর ক্ষেত্রে অনেক উপকার করে থাকে। মানুষের নানা সমস্যার সমাধান হয়। যার ফলে চিকিৎসকরা এই মাছের প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে।

  • রুই মাছের প্রোটিন এর টিস্যু ভালো রাখতে সাহায্য করে। 
  • চোখের সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে।
  • ক্যালসিয়াম থাকায় দাঁত ও হাঁড় মজবুতে সাহায্য করে।
  • এই মাছ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
  • মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • রক্ত জমাট বাঁধলে রুই মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

রুই মাছের অপকারিতাঃ

রুই মাছের অপকারিতা খুবই কম। কেননা রুই মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। তবে মাছটি দূষিত পানিতে চাষ করলে তার কিছু ক্ষতি রয়েছে।  অপরিষ্কার পানিতে মাছ চাষ করলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই মাছ কেনার সময় দেখে শুনে কিনা উচিত। তাজা মাছ কিনতে পারলে রুই মাছের কোন ক্ষতি নেই। রুই মাছ খেলে হার্টের অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ ছোট মাছ খেলে কি কি উপকার হয় জেনে নিন?

এই মাছ খেলে কোন সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক উপকার থাকলেও কোন ক্ষতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এই মাছ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে, কারণ  এরা কাঁদা মাটিতে থাকে। যার ফলে এ মাছ পরিষ্কার করে নিলে। কোনরকম কোন প্রকার কোন সমস্যা হবে না। 

রুই মাছের বাহ্যিক গঠন

এটি একটি অস্তিময় মাছ। এদের দেহ মাকু আকৃতির হয়ে থাকে। মধ্যভাগটা একটু চওড়া হয়ে থাকে, তবে দুই পাসটা শুরু।
  • মাথাঃ রুই মাছের মাথা চার থেকে পাঁচ ইন্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।
  • দেহকান্ডঃ শেষ থেকে বায়ু পর্যন্ত দেহের মত অংশটি দেহকান্ড। একাংশ চওড়া এবং বিভিন্ন অংশ পাখনা বহন করে।
  • লেজঃ মাথার পিছন দিকের পাখনাকে লেজ বলা হয়। এদের পেছনে হোমোসার্কাল পাখনা থাকে। 
  • বক্ষপাখনাঃ কানকোর ঠিক পেছনে পশ্চিম দিকে দেহকাণ্ডকে বক্ষপাখনা বলা হয়।

রুই মাছের খাদ্যাভাস

রুই মাছের খাদ্যাভাস খুবই সচ্ছো, রুই মাছের সবচাইতে পছন্দের আহার প্ল্যাংকটন জাতীয় প্রাণি। 
  • রুই মাছের পোনা একত্রে ঝাকে ঝাকে একত্রে চলাচল করে। কিন্তু যখন এদের বয়স হয় তখন এরা পৃথক হয়ে বাকি জীবন  অতিবাহিত করে। 
  • রুই মাছ ১৩° সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায় বাঁচতে পারেনা।
  • ফুলকায় সরু চুলের মত অতি ক্ষুদ্র প্লাংকটন জাতীয় প্রাণী এরা খেয়ে থাকে।
  • বয়স্ক মাছ শৈবাল ও নিমজ্জিত জাতীয় উদ্ভিদ খেয়ে থাকে।
  • আঙ্গুলিপনা দশায় এরা ডেসমিড বা ফাইটোফ্ল্যাজেলেট খেয়ে থাকে।

লেখকের মন্তব্য 

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। খালে বিলে অনেক রুই মাছ দেখতে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্ট দিয়ে আমরা জেনেছি রুই মাছের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য ও রুই মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা। এই রুই মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার পরে আপনি যদি তা মেনে চলেন তাহলে আপনার কোন প্রকার  রুই মাছ খাওয়ার ফলে কোন ক্ষতি হবে না। বরং আপনি অনেক উপকৃত হবেন।

উক্ত পোস্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে একটা কমেন্ট ও শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের  দেখার ও জানার সুযোগ করে দিবেন যাতে করে তারাও আপনার দ্বারা উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url