রুই মাছের পাখনাসমূহ - রুই মাছের শ্রেণিবিন্যাস

রুই মাছ শকাশী। উক্ত পোষ্ট দ্বারা আমরা রুই মাছের পাখনাসমূহ ও রুই মাছের শ্রেণিবিন্যাস ও রুই মাছের সকল প্রকার তত্ব যানতে পারব। রুই মাছের উপকারিতা, অপকারিতা, বাহ্যিক গঠন, রক্ত সংবহনতন্ত্র যানানো হয়েছে। যা সকলের জন্য খুবই উপকারি। যা যানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
রুই-মাছের-পাখনাসমূহ-রুই-মাছের-শ্রেণিবিন্যাস
এই মাছের দেহে অগ্রপ্রান্ত ও কানকোর পশ্চাৎপ্রান্ত অংশের মাথা ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা হয় ও পৃষ্ঠভাগে বা তলদিকে উদর ও মস্তকের উপরিভাগ উত্তল। এ মাছের রয়েছে অদ্ধচন্দ্রাকার মুখ যা উপ্রান্তিয়ভাবে অবস্থি।

ভূমিকা

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। যার একভাগ স্থল ও তিনভাগ জ্বল রয়েছে। এই দেশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাল, বিল, পুকুর, নদী, নালা ইত্যাদি। এবং এই দেশে বিভিন্ন ধরনের মাছ হয়ে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হলো রুই মাছ। যা বাংলাদেশের সকল মানুষের প্রিয় একটি মাছ। এদেশে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সাধের মাছ। যা অনেক সুস্বাদু এবং অনেক ভালো। 

এবং এদেশের মাছ বিভিন্ন দেশেও রপ্তানি করা হয়। যার ফলে এদেশে প্রতিবছরে মাছ থেকে অনেক অর্থ অর্জন করা যায়। বাংলাদেশ এবং ভারত উভই দেশের মধ্যে অন্যতম মাছ হলো রুই। যা অন্য দেশে খুব কম প্রচলিত থাকলেও বাংলাদেশে ও ভারতে তা অনেক পরিচিত একটি মাছ।

রুই মাছের বসতি

বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, মায়ানমার এসব দেশ নদী মাত্রিক দেশ হওয়ার কারনে এইদেশ গুলোতে রুই মাছ জন্মায়। এছাড়াও এ মাছ পুকুর, নদী, খাল-বিল বিভিন্ন জায়গায় এই সুস্বাধু মাছ দেখতে পাওয়া যায। যার কারণে এই মাছ অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক মাছ চাষিরা জেলে জেলানীরা এ মাছ সংগ্রহ করে তা থেকে ডিম উৎপাদন করে সেই ডিম বাজারে বিক্রয় করে। বিভিন্ন প্রকার ব্যবসায়ীরা তা ক্রয়করে বাজারে বিক্রয় করে।

এবং সেখান থেকে মানুষ তা ক্রয় করে নিয়ে গিয়ে রুই মাছের শ্রেনিবিন্যাস বা পুকুরে ছাড়ার পরে তা থেকে বাচ্চা ফুঁটে রুই মাছের পোনা উৎপন্ন করে। ধীরে ধীরে তা বড় করে। সেগুলা বড় হলে তা বাজারজাত করে বা বিক্রয় করে ব্যাবসায়ি গন অনেক লাভবান হয়ে থাকে। রুই মাছের খাদ্যাভাস অনেক রয়েছে। তাছাড়া ইন্ডিয়ার আন্দামান দিব্য গঞ্জের মিঠা পানিতে অনুপ্রবেশকৃত সফল চাষি হওয়া যায়। 

খুব সুস্বাদু একটি মাছ হলো রুই যার ডিম ছাড়ার পর সে প্লাবনভূমিতে যায়/প্রবেশ করে। রুই মাছের শ্রেণিবিন্যাস আমাদর প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস। বৈদেশিক মুদ্রা পুষ্টি সরবরাহ ও জীবিকা নির্বাহ জালিয়া হিসাবে স্বীকৃতি অনেক। বর্তমান দেশের বিভিন্ন জেলে ও সমুদ্রের মাছ ধরার জন্য নদীতে যায়।
জেলেদের পরিবারে অনেক সময় মহিলা ও বাচ্চারাও জাল বুনায়। মূলত খাদ্য প্রাপ্তির উপায় ও মাছ ধরার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রাচীন যুগ মেসোলিথিক, প্যালিওলিথিক ও নিওলিথিক বা নব্যপ্রস্তর যুগ। জেলেরা প্রাচীন মিশরীয় ধর্মকে অনেক প্রভাবিত করেছে। বাংলার জনপদেও মাছ শিকারীদের জীবনযাত্রা অনেক পুড়ানো। প্রয়োজনীয় নৌকা তৈরি হয় জেলেপাড়ার ভেতরেই। তাই জেলেদেরকে দেখা যায় নৌকা ব্যবহার করতে।

রুই মাছের বাহ্যিক গঠন

এদের দেহ অনেকটা মাকু আকৃতির এবং মধ্যভাগ চওড়া ও দুই প্রান্ত ক্রমশ সরু। প্রস্থচ্ছেদ ডিম্বাকার ও প্রস্থ অপেক্ষা উচ্চতা বেশি হয়ে থাকে। রুই মাছ পানির ভিতর গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় না। এদেরকে স্ট্রিমলাইন্ড বলে। রুই মাছ সর্বোচ্চ ২০০ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ওজন সাধারণত ৪৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এদেরকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।
  • লেজ
  • দেহকাণ্ড
  • মাথা

রুই মাছের শ্রেণিবিন্যাস

  • পর্ব(Phylum )=জীবনের কোনো না কোনো দশায় নটোকর্ড বা গলবিলীয় ফুলকা বন্ধ থাকে।(Chordata)
  • শ্রেণি(Class)=রশ্মিযুক্ত পাখনা(Actinopterygii)
  • উপপর্ব(Sub-Phylum)=ভার্টিব্রাটা (নটোকর্ড মেরুদণ্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত(Vertebrata)
  • পরিবার(Family)=ভোমার দাঁতবিহীন বা গলবিলীয় কর্তন আল উপস্থিত(Cyprinidae)
  • বর্গ(Order)=পার্শ্বরেখা সংবেদী অঙ্গ লেজের শীর্ষ পর্যন্ত বিস্তৃত(Cypriniformes)
  • প্রজাতি(Species)=রোহিতা সরে যায়(Labeo rohita)
  • গণ(Genus)=আমি স্লিপ(Labeo)

রুই মাছের পাখনাসমূহ

রুই মাছের পাখনাসমূহ সাধারণত চাপা ও রশ্মিযুক্ত। সমান্তরালভাবে সজ্জিত সূক্ষ্ম শলাকার অস্তঃকঙ্কালকে পাখনা রশ্মি বলা হয়। পরবর্তী অংশটি হলো লেজ। দুটি প্রতিসম বাহ্যিক খণ্ডে বিভক্ত।মাঝখানে ছোট ও নিচের খণ্ডে বড়। পানির গুণাগুণ সংক্রান্ত রাসায়নিক পানির তরঙ্গ গ্রহণ করে। রুই মাছের পাঁচ ধরনের পাখনা আছে।
  1. শ্রোণি-পাখনা (Pelvic fin)
  2. পৃষ্ঠপাখনা (Dorsal fin)
  3. পায়ু-পাখনা (Anal fin)
  4. বক্ষ-পাখনা (Pectoral fin)
  5. পুচ্ছপাখনা (Caudal fin)

রুই মাছ চাষের পদ্ধতি 

  • বিভিন্ন মাছের ভিতরে একত্রে বা মিশ্রভাবে চাষ করা যায়। এই মাছ পানির মধ্যস্তরে থাকে তাই এদের পানির উপরের স্তরের মাছ বলা যায়।
  • মাছ চাষ করার আগে পুকুর প্রস্তুত করে নিতে হবে। পুকর প্রস্তুত হলে পানি দিতে হবে।
  • পানির মান ঠিক র্খতে হবে। এদের মোট ওজনের ৩-৫ শতাংশ খাবার দৈনিক ২ বারে দিতে হবে।
  • খাবার তৈরির জন্য সরিষার খৈল, ফিড, লের কুড়া ইত্যাদি ব্যবহার করতে হব।
  • রুই মাছ ৬ মাস পর থেকেই খাওয়া ও বাজারজাত করা যায়।

রুই মাছের রক্ত সংবহনতন্ত্র

হৃৎপিণ্ড নিয়ন্ত্রিত এ তন্ত্রের মাধ্যমে রক্ত দেহের বিভিন্ন অংশে সঞ্চালিত হয়। রক্তবাহিকা বিস্তৃত কৈশিকনালির সমন্ব হয়। শ্বেতকণিকা দেখতে কিছুটা অ্যামিবার মতো হয়ে থাকে। নিউক্লিয়াসযুক্ত, ডিম্বাকার, লোহিতকণিকা হয়ে থাকে। গহ্বরে হৃৎপিন্ড অবস্থান করে থাকে। রুই মাছের শ্রেণিবিন্যাস দুই প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট মাছ। হৃৎপিন্ডের উপপ্রকোষ্ঠ প্রকোষ্ঠগুলোর সংযোগ হয়ে থাকে। 
কপাটিকাগুলো সামনের দিকে খুলে। ফলে রক্তের পশ্চাৎগতি রুদ্ধ হওয়ায় রক্তের প্রবাহ থাকে একমুখী। প্রসারণ ও সংকোচনের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড রক্ত পরিবহন করে। হৃৎপিণ্ডের প্রসারণ প্রক্রিয়াকে বলে ডায়াস্টোল। হৃৎপিণ্ড প্রসারিত হয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। সমৃদ্ধরে রক্ত একমুখী। সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য ফুলকায় প্রেরিত হয়।

রুই মাছের শিরাতন্ত্র

রুই মাছের পাখনাসমূহ গুলোর ভিতর দিয়ে রক্তনালি দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে অক্সিজেনবিহীন রক্ত সংগ্রহ করে হৃৎপিণ্ডের সাইনাস ভেনোসাসে নিয়ে যায়। সম্মিলিতভাবে শিরাতন্ত্র গঠন করে থাকে। রুইমাছের প্রধান দুটি শিরাতন্ত্র আছে। 
  • পোর্টাল শিরাতন্ত্র
  • সিস্টেমিক শিরাতন্ত্র
পোর্টাল শিরাতন্ত্রঃ অক্সিজেনবিহীন রক্ত কৈশিক নালিকা থেকে হৃৎপিণ্ডে যাওয়ার সময় যে সকল শিরা অন্য কোনো অঙ্গে বা শিরার ভিতর প্রবেশ করে কৈশিক নালিতে পরিণত হয়, সেগুলো পোর্টাল শিরা।
সিস্টেমিক শিরাতন্ত্রঃ রক্ত সরাসরি শিরার মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে হৃৎপিন্ডে ফিরে আসে সেগুলোেই সিস্টেমিক শিরা।
এছাড়া্ও রুই মাছের শ্রেণিবিন্যাস এর ভিতর কিছু শিরাতন্ত রয়েছে।

শেষ কথাঃ

রুই মাছের শ্রেণিবিন্যাস নালিকা হয়ে উৎপন্ন করে অক্সিজেনবিহীন রক্ত নিয়ে হৃৎপিণ্ডে যাওয়ার পথে যে সব শিরা অন্য কোনো অঙ্গে প্রবেশ করে তাই শৈবাল। উক্ত পোস্ট দ্বারা আমরা যেনেছি রক্তনালি দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে অক্সিজেনবিহীন, ই মাছের শ্রেণিবিন্যাস ও রুই মাছের পাখনাসমূহ অলোচনা করা হয়েছে। উক্ত পোস্ট অপনার ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url