রোযার নিয়ত কিভাবে করতে হয় | রোজার নিয়ত কি মুখে বলতে হবে

 প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ, আশা করি আজকে আপনি রমযান মাসের রোযার নিয়ত সম্পর্কে যানতে চাচ্ছেন। রোজার নিয়ত কি মুখে বলতে হবে, রোযার নিয়ত কিভাবে করতে হয় ও নিয়ত ব্যতিত রোযা হবে না, রোযা রাখার নিয়ত কি মুখে রাখা জরুরি এবং রোযার নিয়ত কি রাতে করা জরুর?

রোযার-নিয়ত-কিভাবে-করতে-হয়-রোজার-নিয়ত-কি-মুখে-বলতে-হবে
নিয়ত করার পরে সুবহে সাদিক এর পূর্ব পর্যন্ত সময়ে পানাহার করানকি জায়েয? রোযার নিয়ত কতক্ষণ পর্যন্ত/কোন সময় পর্যন্ত করার নিয়ম আছে? সম্পূর্ণ জানুন?

 রমযান মাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) রমযান মাসে এর জন্য নির্ধারিত কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রমযান একটি বরকতের মাস। অতএব, রোযার কারণে আপনার যদি কোন রকম কষ্টও হয় তাহলে এর উৎসতার কারণ ও বিবরিতি কতা টিকে সজ্জ করতে চাইবেন না। কখনো যদি এমন হয় যে, বেলা ধীরে ধীরে যতই বাড়তে থাকবে মেজাজ টাও ঠিক ততটাই বাড়তে থাকবে। 

এবং চিৎকার ও চেচামিচি অথবা হৈচৈ ও মার ধর গুলো বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। তবে গরম এর মধ্যে রোযার বেশ কিছু অনুরুপ দেখা যায় অস্থির। যা সব সময় দেখা গিয়ে থাকে। আর এমন ঘটনাটি ক্রমানুসারে এর বিভিন্ন সেহেরি যেন ছুটে না যায় সেই দিকে খিয়াল রাখতে হবে। তাহলেই সকাল থেকে দেখা যায় যে সবার কিয়ামত সংঘটিত হতে শুরু করে। তবে এমন করাটা ঠিক না। 
এটি বিষেষঙ্গ দের মতে এটি অনুচিত একটি কাজ বলে ধরা যায়। ঠিক সেই রকম ভাবেই রাতে তারাবির সময় কিছুটা কষ্ট হবে তবে সেটাকে হাঁসি মুকেই সজ্জ করে নিতে হবে। তবে এটাকে বিপদের সময় ও মুসিবত এর সময়টাও কল্যাণ টিকেও বেশ ভাবে বঞ্চিত আলামত দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা দুনিয়ার আরাম ও আয়েশ এর জন্য এর কতই যে স্বীকার করে থাকি। মাথার ঘামটা পায়ে ফেলিয়ে তবেই আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি জন্য এই সামান্য তম কষ্ট সজ্জ করতে পারব।

নবী করিম (সাঃ) এর দ্বিতীয় ধাপে ইরশাদ করা হয়েছে যে, এই সহকর্মী কতার মাস গরিব ও মিসকিন গন দের সঙ্গে তার সহযোগিতা এর মনোভাব গুলো পোষণ করা হয়েছেন। তবে নিজ বাড়িতে ইফতার করার জন্য যদি এর দশ ধরনের খাবার গুলো প্রস্তুত কবে থাকেন।তবে এর গরিব ও অসহায়দের জন্য ১/২ পদের হলেও কিছু একটা দেওয়া উচিৎ। এর বিষয় এর প্রতি লক্ষ করা যায়। তবে সামান্য তম ভাব ও এর যথাযথ কর্তৃপক্ষ তার সাথে এর প্রতিদান দেওয়া মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব।

নিয়ত ব্যতিত কি রোযা হবে না

কোন ব্যক্তি গণই সারাদিন কোন কিছু পানাহার করলেন না, এবং সকাল হতে সন্ধার সময় পর্যন্ত সবার খানাপিনা খাবার বর্জন করার ফলে এর ক্ষুধার্ত হয়ে থাকলে এর ফলে রোযার নিয়ত গুলো করলেন না। ক্ষুধা লাগেনি তবে এর কারণ ও অন্য যে কোন কারণ এই পানাহার এর সুযোগও হয়নি অথবা এর কোন রকম ভাবেই সুযোগ হাতছাড়া হয়নি। তবে এর ক্ষেত্রে কিছু রোজা পালন হবে না। 
কেউ যেহেতু রোজার নিয়ত করে নাই, তবে এর জন্য কারো কোন বৎস কোন উৎস নেই। শুধুমাত্র খেয়ে থাকা যায়। পক্ষান্তরে কেউ যদি রোজা রাখার নিয়ত করে থাকে তাহলে তার রোজা হয়ে যাবে।

নিয়ত করা কি জরুরি?

বিধান হলো প্রত্যেকটি ইবাদত কেই শুদ্ধভাবে এর নিয়ত করা টাই জরুর ও অপরিহার্য। তবে মেশকাত শরিফ এর হাদিস থেকে পাওয়া যায় বহন করে সেই ব্যক্তি রোযা বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য এর নিয়ত অন্যতম একটি শর্ত হিসাবে ধরা যায়। তবে নিয়ত ব্যতিত রোযা কখনই শুদ্ধ য় না। আরনসেই কারনে নিয়ত করা ছাড়া আমরা সারাদিন সকল বিষয়ে পানাহার করা থেকে বিরত থাকা টিকেই রোযা বলে থাকি।

নিয়ত কাকে বলা হয়?

নিয়ত বলা হয়ে থাকে অন্তরের ভিতরের ইচ্ছে টাকে। তবে নিয়ত মূলত সংকল্প এর অন্তর এর যে কোন ধরনের কাজ করা ইচ্ছা করা। রোযা রাখার জন্য মুখে নিয়ত উচ্চারণ করা জরূরি না। তবে মনে মনে রোযা রাখার জন্য ইচ্ছা থাকলেই শুধু হবে। মুখে আমরা যতই বলি যদি অন্তত ঠিক না থাকে তাহলে তো আর রোযা হলোনা।

রোযা রাখার নিয়ত কি মুখে রাখা জরুরি

না রোযা রাখার জন্য নিয়ত মুখে রাখাটা জরুরি নয়। তবে অন্তরে বিশ্বাস থাকতে হবে। যেমন আমরা বিশ্বাস করে থাকি আল্লাহ তায়ালার সুন্দুর সৃষ্টি ও গুনাবলি ঠি তেমনি রোযা রাখার জন্য বেশ ইচ্ছে ও প্রবণতা থাকতেই হবে। যাতে এটি রাখার কেউই তা ভাঙতে না পরে। অনেকে আচে যারা বৱে থাকে যে৷ রোযার নিয়ত মুখে পড়তে হবে। তবে বিভিন্ন হাদিস ও দলিল থেকে তদন্ত করে দেখা যায় এটির কোন দলিল নেই। তবে দলিল আচে তোমরা রোযা রাখার নিয়ত করো। 
নিয়ত পড়ো এমন কথা কোন জায়গাতেই নেই। সেই কারনে আমদের নিয়ত মুখে পড়াটা কোন বিষয় না আপনি রোযা রাখবেন এমন দৃঢ় বিশ্বাস থাকলেই চলবে। কারো যদি সময় এর খাওয়া সময়ে অব্ভেষ থেকে থাকে কিংবা যে কোন হতভাগা গণ সেহরি খেয়ে রোযাটি না রাখে তবে তার জন্য সেহরি খাওয়ার নিয়ত করা স্থল ভিত্তিক হবে না।

মনে মনে নিয়ত করার বিধান

নিয়ত তত্ত্ব মনের ভিতরের ইচ্ছা ও সংকল্প গুলো মুখে উচ্চারণ করার কোন প্রয়জন নাই। এ করনে কেউ যদি রাত ইচ্ছে করে যে আমি আগামীকল রোযা রাখব তবে তার জন্য রোযা পালন হয়ে যাবে। এটিই মুখল নিয়ত। এর জন্য মুখে নিয়ত বলার কোন দরকার নেই। তবে আপনি যদি বলতে চান বা জেনে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনি নিয়ত মুখে বলতে পারবেন। 

এর জন্য কোন বিধান আগে থেকে ছিলো না। বর্তমানে যে গুলো বিধান আছে সেগুলো সব আমাদের নিজেদেরই বানানো। এর কোন বিশেষ দলিল নেই বা ছিলোও না। এর প্রভাব কেই বলা হয়েছে মূলত নিয়ত পড়া ও না পড়ার মধ্যে পার্থক্য বা দিক।

নিয়ত করার পরে সুবহে সাদিক এর পূর্ব পর্যন্ত সময়ে পানাহার করানকি জায়েয?

মূলত সুবহে সাদিক হবে রোযার সময় শুরু হয়। তবে সুবহে সাদিক হতে রোযার সময় শুরু হয়ে থাকে। এর কারনে সুবহে সাদিক শুরু হোয়ার আগ পর্যন্ত সব ধরনের খাবার খাওয়াটা জায়েজ হবে। তবে বিভিন্ন এলাকায় প্রচলন করা হয়েছে নানা ধরেনর নানা মহিলা গণ রাতের পরে রাত অথবা রাতের ভিতরের প্রথম ভাগেই সেহরি খাওয়ার পরে রোযা রাখার নিয়ত করার ধারনা অনেক। যেহেতু রোযা রাখার নিয়ত অনেক আছে তাই পানাহার করা যাবেনা। 
মহিলাগণ দের ধারনা হলো এই যে, অন্তরে রোযা রাখার নিয়ত করা। এর পরে অনেকে ধরনা করে থাকেন যে রোযার রাখার জন্য আলাদা করে নিয়ত মুখ দিয়ে পাঠ করতে হবে তাছাড়া রোযা পালন সম্পূর্ণ হবেনা। তবে এর কিনো দলিল কোরআন বা হাদিসে নেই। হাদিসে এসেছে যে তোমরা রোযার নিয় করো। নিয়ত পগো এই কথাটা কোন জায়গায় আসে নাই।

রোযা রাখার জন্য প্রতিদিন নিয়ত করা জরুরি কিনা?

রমযান মাস এর প্রত্যেক রোযার নিয়ত করাটা খুব জরুরী ও পরিহার্য। বলে মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে একদিন রোযার নিয়ত করলেই সারা মাসের রোযা থাকার নিয়ত হওয়া জরুরি নই। তাই যেদিনের রোযার নিয়ত সেতিনই করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিদিনই রোযা রাখার জন্য মন থেকে নিয়ত করতে হবে যে আমি আগামীকাল রমযান মাসের রোযা আদায় করব। এটিই মূলত রোযার নিয়ত। তাই আপনি রোযা থাকার নিয়ত করনু এতে আপনার রোযা কবুল হওয়ার কোন সন্দেহ থাকবে না।

সাধারণত নিয়তের দ্বারাই কি রমযানের রোযা আতায় হবে?

রমযান মাসে যদি কেউ নিয়ত করে যে আমি আগামীকাল নফল অবথা রোযা রাখব, তবে ফরয কোন রোযা পালন করব না। এতে রমযান মাসের রোযা অন্যযে কোন সময়ে আতায় করব তবে এখন নফল রোযা রাখব। এর পরেও আলেমগণ বলেন তোমার যদি ফরয কোন রোযক বাকি থাকে সেক্ষেত্রে তোমকর সব সময় আগে ফরয রোজাই আদায় হবে নফল নয়। আগে ফরয রোযা আদায় করুন তার পরে নফল রোযা আদায় হবে।

রোযার নিয়ত কতক্ষণ পর্যন্ত/কোন সময় পর্যন্ত করার নিয়ম আছে?

সুবহে সাদিকের পূর্ব সময় পর্যন্ত রোযার নিয়ত করার অনুমতি রয়েছে।শরিয়তের নিয়ম অনুযায়ী সুবহে সাদিক হতে শুরু হয় রোজার সময়। তাই রোযার নিয়ত করতে হৱে সুবহে সাদিকের আগেই করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি খাবার খাওয়ার আগে অথবা, খাবার খাওয়ার পরে, কিংবা আপনার যদি মনে না থাকে তাহলে সুবহে সাদিক পর্যন্ত সময় থাকে। কাজেই আপনি সুবহে সাদিক এর পূর্বে সময় পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া ও পান করা, এবং স্থী সহবাস সব কিছুই জায়েজ। 
অনেকেই সাহরি খাওয়ার পরে রোযা থাকার নিয়ত করে এর পরে রাত বেশ কিছুক্ষন থাকার পরেও খাবার খাওয়ার পরে অথবা স্থী সহবাস কেও নাজায়েজ করা হয়েছে। তবে এটি সম্পূর্ণ ভাবেই ভুল হাদিস। বরং সুবহে সাদিক সময় পর্যন্ত খাবার খাওয়া বা স্থী সহবাস জায়েজ বলে জানা যায়।

রোযা রাখার নিয়ম করার ফজিলত

রমযান মাস এর রোযা থাকার নিয়তকে রাত থাকতেই তা করে নেওয়া টাই সর্ব উত্তম। আপনি যদি দেখেন কোন ব্যক্তির রাত এর বেৱা নিয়ত না করে তবে সে দিনের বেলা সূর্য আকাশে উঠার কমপক্ষে ১/১.৩০ ঘন্টা সময় পর্যন্ত রোযার নিয়ত করা। তবে এর বেশ শর্ত হয়েছে। তবে দিনের বেলা নিয়ত করার আগে পর্যন্ত কেউ কোন প্রকার পানাহার হতে বা কোন কিছু হতেই না ব্যবহার করা।

রোযার নিয়ত কি রাতে করা জরুর?

কেউ যদি রমযান মাসের রোযা থাকার নিয়ত করে, তবে নিয়ত করলে রোযা ফরয আদায় হয়ে যাবে। আপনি যদি রোত এর সময় রোযা রাখার জন্য ইচ্ছে করে থাকেন, তাহলে ভোর রাত হওয়ার পরে আমকদের খেয়াৱ রাখতে হবে আসল বা সঠিক রোযা টিকে ছেড়ে দেওয়াটা বড়ই অন্যাই একটি কাজ। ঠিক তখনই রোযা রাখার নিয়ত করা যায়। এর ফলে রোযটি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তবে যদি সকাল হতে কিছু পানাহার করে থাকে তাহলে এখন সেটি আর নিয়ত করতে পারবেন না।

শেষ কথা

যদি কিছু পানাহার না করেই আপনি সারারাত রোযা আদায় কনতে পারেন তবে সমস্যা নাই। সারা রাত না খেয়ে যদি রোযা পালন করতে চান তাহলে রোযা হবে যদি সেটি ফরয রোযা হয়। আর যদি রোযাটি নফল হয় তাহলে সেটি বাতিল হবে। কারণ মব সময়ের জন্য না খেয়ে রোযা আদায় হয়না। তবে অন্য সময় যেহেতু রোযা আদায় করলে রোযাটি বাতিল অথবা এমসেটি হবেনা কখনোই কারণ সেই রোযা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা তেমন কোন ইঙ্গিত দেন নাই। .

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন তোমরা ফরয রোযা আদায় করো যদি কোন সুস্থ সবল ব্যক্তি ইচ্ছে করে একটি ফরয রোযা টিকে ছেড়ে দিলো সেটি পুরন করতে চাইলে আপনাকে এর পরিবর্তে ৬০ টি রোযা একটানা রাখতে হবে। এর মাঝে যদি একদিনও বাদ পরে যায় তবে সেদিন থেকে আবার ৬০ টি রোযা আদায় করতে হবে।
প্রিয় পাঠন বন্ধুগণ, আশা করি আপনি এতোক্ষনে পুরো পোস্টটি পড়েছেন আপনি যদি উত্ত পোস্ট সম্পূর্ণ না পগে থাকেন তাহলে পগে নিন কারন এটি আপনার জন্য সর্বদা কার্যকরি একটি বিষয়। প্রতিটি মুসলমানতের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা।

উক্ত পোষ্ট যদি আপনার ভালো তাহলে আপনার মতামতটি কমেন্ট করে আমাদের জানাবেন। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং উক্ত পোষ্টটি শেয়ার দিয়ে আপনি আপসার বন্ধু দের দেখার সুযোগ করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url