ছোট মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা - চিংড়ি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা

  

ছোট মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি ছোট মাছ খেলে কি কি গুন গতে পারে সেইটা যানতেতে চান অথবা খাওয়ার পদ্ধতি, কোন মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা হতে পারে সেইটা ভেবে চিন্তিত তাহলে আসুন উক্ত পোষ্টটি পড়ে সম্পূর্ণ তত্ত্ব জেনে নিন।
ছোট-মাছের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-চিংড়ি-মাছের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
প্রিয় পাঠক আমাদের এই পোস্ট দ্বারা আপনারা ছোট মাছের গুন, পুষ্টি ও মান, দাম, উপকার, ক্ষতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নিই।

ভূমিকা

কথায় আচে মাছে ভাতে বাঙালি। ছোট মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা আর ছোট মাছ আমাদের খুব প্রিয় একটি খাবার। এবং ছোট মাছে খেলে আমাদের চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়, বু্দ্ধি বাড়ে। এতে রয়েছে প্রোটিন, হাঁড় মজবুত করে। উক্ত পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি ছোট মাছ সম্পর্কে সমস্থ আলোচনাকরা হয়েছে। আসুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেই কি সেই কারন।

ছোট মাছের উপকারিতা

ছোট মাছ খেলে যেসব উপকার পাবেন তা হলো-
  • প্রোটিনের ঘাটতি কমায়ঃ মাছের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এবং এই প্রোটিন যুক্ত খাবার খেলে খুব তাড়াতাড়ি শরীর গ্রহন করে নেয়।
  • স্মৃতিশক্তি বাড়ায়ঃ ছোট মাছ খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • হাড় মজবুত হবেঃ যাদের হাড় ক্ষয় হয়ে থাকে ছোট মাছ খেলে তাদের হাঁড়ের ক্ষয় ও হাঁড় মজবুত হয় বলে যানান চিকিৎসক গন।

চিংড়ি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা

চিংড়ি মাছের অনেক উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। যেমনঃ-
চিংড়ি মাছ খাওয়ার উপকারিতাঃ
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
  • ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি কমায়।
  • আঘাত জাতিয় চিহ্ন বা ক্ষত থেকে সুস্থতা আনতে সাহায্য করে।
  • আয়োডিন নামক রোগের ঘাটতি কমায়।
  • রক্তে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • হাড় মজবুত করতে অনেকটা সাহায্য করে।
চিংড়ি মাছের অপকারিতাঃ
  • চিংড়ি মাছের ভিতরে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল থাকে। সামুদ্রিক খাবার হওয়ার ক্ষেত্রে এর ভিতরে কোলেস্টেরল নামক রোগ হতে পারে। এতে ৮০%-৮৫% পরিমানের নানা ধরনের কোলেস্টেরল থাকে।
  • চিংড়ি মাছে অনেকের এলার্জি থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে ট্রপোমায়োসিন যা আ্যালর্জির নামক সমস্যা সৃষ্টি করে।
  • চিংড়ি মাছ রান্নার সময় বাষ্প প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

পুটি মাছের উপকারিতা 

  • চিকিৎসকগণ বলেন, পুটি মাছের ভিতরে প্রচুর ভিটামিন ও প্রোটিন রয়েছে। যার ফলে দাঁত ও হাড় মজবুত করে। এই পুটি মাছ খাওয়ার ফলে হার্টের রোগ-বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
  • চিকিৎসাবিদ বলেন ঘন ঘন পুটি মাছ খাওয়ার ফলে একজন মানুষের অনেক প্রকার উপার হতে পারে। এতে রয়েছে ফসফরাস। পুটি মাছ খাওয়ার ফলে হাড় মজবুত হয়, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে, ভিটামিন-এ ও খনিজ বৃদ্ধি পায়। রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • তাছাড়া পুটি মাছ এক প্রকার দামে কম কিন্ত কাজ বেশি। বাঙালির কমন ডাইলক মাছে ভাতে বাঙালি। পিটি মাছে অনেক ভিটামিন রয়েছে, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি।

পোয়া মাছের উপকারিতা

মিঠা পানির মধ্যে অন্যতম মাছ হলো পোয়া। ছোট মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা যা সব সময় শুধু মিঠা পানিতেই দেখা যায়। উচ্চ-প্রোটিন সমৃদ্ধ মাছ হলো পোয়া। এই মাছ শিশু, বাচ্চা, কিশোর, বালক, বৃদ্ধ ইত্যাদি সকলে এই মাছ খাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
পোয়া মাছের ভিতরে বিভিন্ন রকমের উপকার রয়েছে। যেমন এর ফলে মাথার ব্রেন বৃদ্ধি পায়। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি জাতীয় ফ্যাটি এসিড থাকে। পোয়া সমুদ্রের মাছ হওয়ার কারনে এইটা আমিষ যুক্ত মাচ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

লেখকের মন্তব্য

পুষ্টিবিদের কথা অনুযায়ী, ছোট মাছ খুবই পুষ্টিকর একটি খাদ্য। ছোট মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা এতে বিভিন্ন ধরনের রোগ মুক্ত করে। এর ফলে আমরা বিভিন্ন উপকারী হয়ে থাকি। উক্ত পোষ্টে সেই সকল সম্পর্কে আলোচনা করে হয়েছে। তাছাড়া এতে ক্যান্সার রোগ, প্রোটিনের ঘাটতি কমায়। আরো অনেক উপকার হয়ে থাকে।

উক্ত পোষ্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের পগার সুযোগ করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url