পাসওয়ার্ড হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় - মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়

প্রিয় পাঠক, আজকে আপনারা আমাদের পোস্ট দ্বারা আপনি আপনার পাসওয়ার্ড হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পাসওয়ার্ড-হ্যাক-থেকে-বাঁচার-উপায়-মোবাইল-হ্যাক-থেকে-বাঁচার-উপায়

ভূমিকা

আমরা আমাদের আজকের এই উক্ত আর্টিকেল বা পোস্টের মূল অথিবা আসল বিষয় হচ্ছে মোবাইল হ্যাক করা থেকে আমাদের নিজেদের রক্ষা করার উপায়। মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়। তাই আসুন বিস্তারিত জেনে আসি মোবাইল হ্যাক করা থেকে রক্ষা করার উপায় - মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়। 

কোনো ব্যক্তির ফোনে গোপনভাবে যেকোন হ্যাকিং অ্যাপ ইন্সটল করা। এই প্রদ্ধতিটি পুরো পরিচিত একটি বিষয় তবে বর্তমান বিশ্বে কিছু লিংক পাঠিয়ে দিয়ে সেই লিংকে ক্লিক দেওয়ার সাথে সাথেই হ্যাকারদের কাছে সকল তত্ব সঙ্গে সঙ্গে চলে যাচ্ছে ফোনের এক্সেস এবং বিভিন্ন পাসওয়ার্ড সহ সকল তত্ব।

মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়

মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় হলো ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধ করার মধ্য দিয়ে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। নিয়মিত ফোনের সফটওয়্যার আপডেট করা উচিত। পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক গুলো ব্যবহার করার সময় আমাদের বিভিন্ন ভাবে সতর্ক থাকা উচিত। 
আরো পড়ুনঃ জিমেইল আইডির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করবো কিভাবে?
তাই আমাদের বিভিন্ন সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ এই কৌশল সম্পর্কে আমাদের সকলকেই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এবং আমাদের মোবাইলের নিরাপত্তার জন্য কিছু অ্যাপস ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায়

ওয়েবসাইট এর পরেই অনেক সময় হ্যাকারগণ আমাদের মোবাইল ফোন হ্যাকিং করার চেষ্টা করে থাকে। কেননা এতে ফোনের বিভিন্ন ধরনের পাসওয়ার্ড থাকে। যার কারনে হ্যাকারা পাসওযার্ড নেওয়ার জন্যে মোবাই এবং বিভিন্ন ডিভাইস হ্যাক করে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া যেমন অ্যাকাউন্ট, ই-মেইল অথবা ব্যাংকের পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিতে পারলে তাদের কেল্লা ফতে। 
আরো পড়ুনঃ ইমেইল বা মোবাইল নাম্বার ছাড়া জিমেইল আইডির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন ও রিকভার?
তাই আমরা আপনাকে সাইবার স্পেস দিয়ে বিভিন্ন ডিভাইস এবং অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্যে নজর দিতে হবে।

হ্যাকিং থেকে মোবাইল এবং কম্পিউটার সুরক্ষিত রাখার উপায়

  • পাসওয়ার্ড সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে।
  • অপরিচিত কোন লিংকের ভিতরে ক্লিক করবেন না।
  • ক্র্যাক সফটওয়ার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • এন্টি-ভাইরাস সফটওয়ার ব্যবহার করুন।
  • শুধু বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট গুলোতে অনলাইন শপিং করুন।
  • সব ধরনের পপ-আপ এডসকে ইগনোর করুন।
  • পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
  • একাধিক পরিমান ইমেইল ব্যবহার করুন।
  • টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন এড চালু করুন।

পাসওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার

অনলাইন সিকিউরিটি অথবা ইন্টারনেট দিয়ে যখন কথা হয়েছে তখন পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখার ব্যাপারটা সব সময় সবার মাথাতে আনতে হবে। পাসওয়ার্ড হলো এমন একটি জিনিস য়া আপনার আমার যেকোন ওয়েবসাইট অথবা প্রোগ্রাম খোলার জন্য একটা চাবি অথবা চাবি জাতিয় কিছু দরকার।পাসওয়ার্ড সঠিকভাবে যদি কেউ ব্যবহার করতে পারে তাহলে হ্যাকিং থেকে বাঁচা সম্ভব। 
আরো পড়ুনঃ প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম?
অথপর অনেকেই আছে যারা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার সময় 123456 অথবা কেউ কেউ AABBCCDD এই ধরনের সহজ  টাইপের কিছু সংখা দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করে। অনেকে আবার সহজে মনে রাখার জন্যেেএই ধরনের পাসওয়ার্ড বসিয়ে দেন যাতে খুব সহজেই তা মনে রাখার যায়। কিন্তু এটি আপনার জন্য অনেক বড় মিস্টেক হয়। আমাদের আইডি সুরক্ষা করতে গেলে একটা আদর্শ পাসওয়ার্ড দিতে হবে যেখানে সর্বনিম্ন ৮-১২ ক্যারেক্টারের যাতে হয়।

অপরিচিত কোন লিংকে ক্লিক করবেন না

আপনি আপনার একটি ইমেইল পেলেন। আর ঐখৈানেই একটা অফার দেখেছিলেন যা লোভ জাতিয় কিছু দেখে তার ভিতরে ঢুকলেন কিন্তু আপনি আপনার ইমেইল সেন্ডারকে চিনেন না। অথবা যে সার্ভার থেকে মেইল এসেছিলো সেটা আপনার নাহ। এমন অবস্থায় সখোনে ঢোকা বা এক টাইপের ইমেইল ওপেন করা থেকে সব সময় বিরত থাকতে হবে।

আপনি শুধু মাত্র ইমেইল না বরং ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম অথবা ইনবক্সের ভিতরে অসংখ্য ম্যালশিয়াস লিংকস আছে যা আপনিও পারবেন। আপনাকে সব সময় এসব লিংক থেকে দুরে অথবা খুব সতর্ক ভাবে থাকতে হবে। এর ফলে আপনার অধিকাংশ তত্ব পার্সোনাল তথ্য যা চলে যেতে পারে হ্যাকার দের কাছে।

ক্র্যাক সফটওয়ার ইউজ করা থেকে বিরত থাকুন

কম্পিউটারে কিছু প্রিমিয়াম সফটওয়ার গুলো কিনে তা ইউজ না করে অনেকে সেগুলোকে ক্র্যাক ফাইল হিসাবে ইউজ করে থাকে, যা পুরোটাই বে-আইনি একটি কাজ। এই রকম ভাবে বেশ কিছু হ্যাকাররা এইসব ক্র্যাক সফটওয়ার গুলোর মধ্যে ওদের হ্যাকিং স্ক্রিপ্ট বসিয়ে তার পরে সেসব অনলাইনের মাধ্যমে ফ্রিতে বিতরন করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ হজমশক্তি উন্নত করার উপায় - হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে?
অনেকেই তা না বুঝে সেসব ডাউনলোড করে নেই। এর ফলে তারা সব কিছু হ্যাকিং করে নেই। এবং যারা সহজ সরল তারা এই হ্যাকিং এর শিকার হয়ে থাকে। এইসব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই তা দেখা যায়। হ্যাকারগণ তাদের কম্পিউটারে হার্ডড্রাইভ অথবা বিশেষ কিছু তথ্যের এক্সেস ট্রান্সপার করে নেয়। এবং তারা নির্দিষ্ট পরিমানের কিছু টাকা দাবি করে। ব্লাকমেইল এর মাধ্যমে।

এন্টি-ভাইরাস সফটওয়ার ইউজ করুন

কম্পিউটার এর সুরক্ষার জন্য এন্টি-ভাইরাস অনেক বিকল্প একটি বিষয়। আপনি আপনার কম্পিউটারে থাকা সকল প্রকারের সিকিউরিটির কারনে আপনাকে অবশ্যই প্রিমিয়াম একটা এন্টি-ভাইরাস সফটওয়ার ব্যবহার করুন।

এর ফলে এন্টি-ভাইরাস গুলো সব নিজে থেকেই কিছুটা সাসপিশিয়াস ওয়েবসাইট ও প্রোগ্রামকে ব্লক করে দেয় যাতে আপনাকে সব সময় সুরক্ষিত রাখতে পারে। আর কিছু নির্দিষ্ট সময় পর পর প্রোপার গুলো আপডেট ও তা স্ক্যান করার মাধ্য দিয়েই আপনি আপনার পিসিতে থাকা হেলথ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিতে পারবেন।

শুধু বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটে অনলাইনে শপিং করুন

অনলাইন এর মাধ্যমে শপিং কাজ এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে যে শপিং করার সময় আমাদের কার্ড বা ব্যাংক এর ডিটেলস সব কিছু অনেক সেনসিটিভ একটি তথ্য যা আমাদের শেয়ার করতে হয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আর এখন আমরা যদি অপরিচিত অথবা আন-ট্রাস্টেড কোন প্রকার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেসব তথ্য গুলো শেয়ার করি।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল হ্যাং করে কেন - কি করলে ফোন হ্যাং হবে না?
এর মাধ্যমে আমাদের এই সকল ডাটা গুলো সব সময় হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই শুধু এই সব ট্রাস্টড ও রিলায়েবল সহ সব ওয়েবসাইট গুলো থেকেই আমাদের শপিং করা উচিত। এর ফলে আমাদের সব তথ্য সুরক্ষিত থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশী।

সব ধরনের পপ-আপ এডস ইগনোর করুন

আমরা অধিকাংশ সময় যখন কোন ওয়েব সাইটে তথ্য খুজতে যেকোন ওয়েব সাইটে গিয়ে সেই সাইটে ঘুরে বেড়াই। আর তখন আমরা দেখি কিছু কিছু ওয়েবসাইটে পপ-আপ উইন্ডো অটোমেটিক ওপেন হয়ে যাচ্ছে। আর ঐসব ওয়েব সাইটই হচ্ছে পপ-আপ এডস। এই সকল এডস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা স্পাম অথবা সস্তা বিজ্ঞাপন হয়ে উঠে।

পাবলিক/লোকাল ওয়াইফাই ব্যবহারে বিরত থাকুন

পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার ফলে তা হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। এর কারন হলো ঐখানে থাকা নেটওয়ার্ক পাবলিক হওয়ার কারনে তা যে কেউ এক্সেস করে নিতে পারে। এবং তা একটা পর্যায়ে গিয়ে আপনার ডিভাইসকেও হ্যাক করে নিতে পারে। যদি ইমার্জেন্সি কোন দরকারে আপনাকে বাধ্য হয়ে পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে হয়। 
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফেসবুক পেজ খুলতে হয়?
হলে সেই ক্ষেত্রে ভালো মানের একটা প্রিমিয়াম ভিপিএন ব্যবহার করে রাখা আপনার জন্য উচিত। ফলে দেখা যায় অনেকাংশ ভিপিএন গুলো আপনার নেটওয়ার্ক স্ট্যাটাস, লোকেশনও আই পি আড্রের্স চেঞ্জ করে অথবা তা হাইড করে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে পারে।

একাধিক ইমেইল ব্যবহার করুন

এক বা একাধিক ইমেইল একাউন্ড ব্যবহার করার মুল কারন হলো একটার সাথে আরেকটা মেইল রিকভারি অথবা সেকেন্ডারি মেইল হিসাবে তা যুক্ত করে রাখা যায়। আপনার যদি নির্দিষ্ট কোন ইমেইলের কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনি আপনার সেকেন্ডারি ইমেইল দিয়ে আপনার জরুরি কাজ করতে পারবেন। এবং ওয়েবসাইট এক্সেস করে নিতে পারেন অথবা আপনার মুল ইমেইল রিকভার করে নিতে পারেন।

টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন এড করুন

বর্তমানে ফেসবুক সহ বিভিন্ন ওয়েব সাইটে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন অপশন চালু রয়েছে। এটা খুবই স্ট্রং একটি প্রসেস হিসেবে ধরা যায়। এর দ্বারা কেউ যদি কোন ওয়েবসাইট লগিন করতে চাই তাহলে তাকে দুইটা স্টেপ পার করে যেতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url