ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা - ইলিশ মাছের প্রকারভেদ

সব কিছুরই ভালো ও খারাপ দিক থাকে, তাই ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা ও রয়েছে। এবং ইলিশ মাছের প্রকারভেদ অনেক রয়েছে। আপনি কি জানেন আদও আপনি আসল ইলিশ মাছ খাচ্ছেন নাকি নকল ইলিশ খাচ্ছেন। তাই আসল ইলিশ মাছ চিনতে হলে আপনাকে পুরো পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ইলিশ-মাছের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-ইলিশ-মাছের-প্রকারভেদ
প্রিয় পাঠক বন্ধু উক্ত পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আপনি যানতে পারবেন আপনি কি সঠিক নাকি ভুল। যদি ভিল হন তাহলে আজই সঠিক ইলিশ খাওয়া শুরু করেন।

ভূমিকা

ইলিশ মাছ একপ্রকার চর্বিযুক্ত মাছ। ইলশ মাছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি আ্যাসিড রয়েছে যা অনেক প্রয়োজনীয়। একে কেউ বা ওমেগা ৩ ফ্যাটি আ্যাসিডও বলে থাকে। গবেষণা করে দেখা যায় এই কোলেস্টেরল ইঁদুর ও ইনসুলের তাপ মাত্রা কমায়। ভাপা ইলি, ইস পাতুর, কড়া ভাজ, সরষে ইলিশ এদের ঝোল খুবই জনপ্রিয় একটি খাদ্য। কিং মার্কেরেল বা কিংফিশ পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগর ও উপমহাদেশে এইটি পরিযায়ী প্রজাতি। মাছ উভয় ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজাপতি প্রাণী।

ইলিশ মাছের বাসস্থান

ইলিশ মাছের প্রকারভেদ যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি ইলিশ মাছের বাসস্থান ও রয়েছ। মূলত ইলিশ হলো নোনা পানের মাছ। তবে এটি নদী ও মোহনায় সংযুক্ত খাল-বিলে ও দেখা যায়। মূলত এই সময় ইলিশ মাছ ডিম পাড়ার জন্য নোনা পানি থেকে নদী বা মোহনায় আসে। যার ফলে ইলিশ মাছ বর্ষাকালে বিভিন্ন নদী ও মোহনা নদীর খাঁল-বিলে দেখতে পাওয়া যায়। কেউ যদি নিয়মিত ইলিশ মাছ খেতে পারে তাহলে হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। 
এতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি আ্যাসিড যা উচ্চ-ঘনমাত্রা বাড়ায় ও লাইপোপ্রোটিন মাত্রা কমাই। এবং তাপমাত্রা স্থির করে রাখতে পারে। ইলিশ মাছের প্রকারভেদ রয়েছে। বাংলাদেশে মূলত ৩ প্রজাতির ইলিশ দেখতে পাওয়া যায়। ইলিশে রয়েছে আয়েডিন, জিঙ্ক বম, সেলেনিয়াম বা পটাসিয়াম খনিজ পদার্থ রযেছে। আয়োডিন শরিল সুস্থ রাখে। কান্সারের ঝুঁকি কমায়।

ইলিশ মাছ চেনার উপায়

ইলিশ মাছের প্রকারভেদ অনেক রয়েছে। তাই আসল ইলশ মাছ খেতে হলে চিনতে হবে। আসৱ ইলিশ মাছ চেনার উপায়।
  • টাটকা ইলিশ মাছের চোখ উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ।
  • টাটকা ইলিশ মাছের কানকো টকটকে লাল হয়ে থাকে।
  • হিমায়িত সমুদ্রের ইলিশ মাছের রঙ ফ্যাকাসে বা অনুজ্জ্বল হয়।
  • নদীর ইলিশ মাছের রং সাগরের ইলিশ মাছের চেয়ে অনকে বেশি চককর করে।
  • নদীর ইলিশ মাছের চোখ হয় স্বচ্ছ বা উজ্জ্বল।

ইলিশ মাছের খাদ্যাভ্যাস

বিশেষজ্ঞ গবেষকগণ বলেন, ইলিশ মাছের শৈবাল পরিমাণের খাদ্য তালিকা সবচেয়ে বেশি। এতের খাদ্য দৈনিক ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ। যেসব মাছ বালির ভিতরে থাকে তারা ৩৪ থেকে ৩৬ শতাংশ খাদ্য খাওয়াতে হবে। তাছাড়া ডায়াটম মাছ ১৫ শতাংশ খাদ্য খায়। এবং রটিফা ৪ শতাংশ, ক্রাস্টাসিয়ান ৩ শতাংশ। এবং অন্যান্য প্রজাতিতে ১ শতাংশ দেখতে পাওয়া যায়।
ইলিশ মাছ যেসব খাদ্য নিজেই তৈরি করে থাকেঃ 
  • শৈবাল।
  • ডায়াটম।
  • ডেসমিন।
  • কোপিপোড।
  • রটিফার, ইত্যাদি।

ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা

ইলিশ মাছ খাওয়ার উপকারিতাঃ
আমাদের দেশের জাতীয় মাছ হলো ইলিশ। এটি খেতেও অনেক মজা রয়েছে। এবং ইলিশ মাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে। যথাঃ-
  • অন্যান্য মাছের তুলনায় ইলিশ মাছের চর্বি অনেক কম পরিমানের। এতে ফ্যাটি ইপিএ ও ডিএইচএ এসিড বেশি থাকে। যেগুলো রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড রয়েছে যা চর্বি বাড়াে সাহায্য করে।
  • ওমেগা থ্রি ফ্যাটি আ্যাসিডের কারণে শরিরর রক্ত চলাচল ভালো হয়।
  • এতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • এতে এল-আরজিনিক নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মাংসপেশিতে সাহায্য করে।
  • এতে প্রোটিন রয়েছে, যা কোলাজেনসমৃদ্ধ। এবং কোরাজেনসমৃদ্ধ যোগাযোগ ক্ষমতা বাড়িয়ে কোষের কার্যকরিতা বাড়ায়।
  • ইলিশের ভিতরে ভিটামিন-সি থাকে।
  • স্মৃতিভ্রমনের ঝুঁকি কমায়।
  • কোলাইসিস কমাতে সাহায্য করে।
  • ফুসফুস শক্তিশালী করে।
ইলিশ মাছ খাওয়ার অপকারিতাঃ
  • এতে রয়েছে বিপুল পরিমানে ওমেগা। এবং থ্রি ফ্যাটি এসিড, ক্যালসিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন সহ আরো অনেক পুষ্টিকর উপাদান।
  • তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ইলিশ খাওয়া বিপজ্জনক। যাদের কিডনির ক্রনিক, সি ফুড অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে।
  • যাদের কিডনির সমস্যা আচে তাদের কিডনির সমস্যা বৃদ্ধি হতে পারে। এলার্জি থাকলে বহুগুন বৃদ্ধি পায়। শ্বাসকষ্ট থাকলে বাড়তে পারে।
  • তাই এই ধরনের অসুস্থতা থাকলে তারা ইলিশ থেকে দুরে থাকুন।

ইলিশ মাছের জীবন চক্র

ইলিশ মাছ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। এদের দেহ অনেক চাপা ও সরু হয়ে থাকে। মাথার উপরিস্থলে পুরটা ত্বকে ঢাকা থাকে। বাংলাদেশের সমল মানুষ ১লা বৈশাখ মাসে এটি সকলে পান্তা ভাতের সাথে মিশিয়ে। পান্তা-ইলিশ খেয়ে থাকে। এবং পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ মাছ খুবই জনপ্রিয় একটি মাছ। এদের দেহ রুপালি রঙ্গের হয়ে থাকে। এদের দেহের অংশের কিছিটা রুপালি রঙের হওয়ার কারনে একে রুপালি ইলিশ বলা হয়। এদের ওজন সর্বোচ্চ ২.৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। 
তবে পুরুষ মাচের চেয়ে মেয়ে মাছ খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। পুরুষ মাছ আকারে সর্বোচ্চ ৩৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। মেয়ে মাছ সর্বোচ্চ ৪৫ সেন্টিমিটার হতে পারে। মেয়ে ইলিশ মাছ সব সময় পুরুষ ইলিশ মাছের চেয়ে আকারে বড় হয়ে থাকে। এদের বড় হতে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা খুবই সাভাবিক। এই মাছ ২ বছরের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে যায়।

ইলিশ মাছের প্রকারভেদ

ইলিশ মাছ বাংলাদেশে অধিক পরিমানে সংগৃহীত হয়। বাংলাদেশ ইলিশ মাছের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় একটি দেশ। ইলিশ মাছ প্রতিবছর সমুদ্র ও নদী থেকে তুলে তা বাজার জাতের মাধ্যমে দেশের বাহিরে বিভিন্ন রাষ্ট্রে যায়।
ইলিশ মাছ তিন প্রজাতির হয় থাকে।
  1. পদ্ম ইলিশ(আসল ইলিশ)।
  2. চান্দিনা ইলিশ।
  3. গুর্তা ইলিশ।
এদের মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় হলো পদ্ম ইলিশ। ইংরেজিতেও এদের নাম দেওয়া হয়েছে।
  1. Tenualosa ilsha.
  2. Tenualosa toli.
  3. Tenualosa kelee.

ইলিশের বৈজ্ঞানিক শ্রেনিবিন্যাস

  • জগৎঃ Animalia.
  • পর্বঃ Chordata.
  • শ্রেনিঃ Actinopterygi.
  • বর্গঃ Clupeiformes.
  • পরিবারঃ Clupeidae.
  • গণঃ Tenualosa.
  • প্রজাতিঃ Tenualosa ilisha.

শেষ কথা

গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে বায়ু প্রবাহিত হয়। ঠিক সেই সময়টায় মূলত ইলিশ মাছের মূল প্রজনন মৌসুম। এই সময় ইলিশ ডিম পাড়ার জন্য নদী বা মোহনায় উঠে আসে। এদের ডিম ভেসে বেড়ায় এবং সেগুলা থেকে কিছু তিনের মধ্যেই পোনা ছাড়ে।
উক্ত পোষ্ট ভালো লাগলে কমেন্ট এবং শেয়ার করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url