দেশি গরু চেনার উপায় - দেশি গরুর খাদ্য তালিকা

দেশি গরুর খাদ্য তালিকা ও দেশি গরু চেনার উপায় সম্পর্কে জানুন। আপনি কি দেশি গরু কিনতে চাচ্ছেন বা কিনেছেন কিন্তু পালন করার সঠিক নিয়ম জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য। উক্ত পোষ্টের ভিতর থাকছে গরুর পালন, দেশি গরুর বাসস্থান ও সঠিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
দেশি-গরু-চেনার-উপায়-দেশি-গরুর-খাদ্য-তালিকা
প্রিয় পাঠক বন্ধু উক্ত পোষ্ট দিয়ে আপনি জানতে পারবেন দেশি গরুর বিস্তারিত তত্ব। তাই আসুন পড়ুন এবং দেখুন।

ভূমিকা

দেশি গরু প্রতি বছরে একবার বাচ্চা জন্য দিতে পারে। এবং এদের দুধ হয়। এদের দুধে রয়েছে পুষ্টি ভিটামিন খনিজ, সহ অনেক উপদান। গবেষনা গন বলেন কেউ যদি দিনে একগ্লাস দুধ খেতে পারে তার অনকে উপকার রয়েছে। এছাড়াও দুধে রয়েছে প্রোটিন যা দেহের দুর্বলতা এবং রোগ-প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। উক্ত পোষ্ট দ্বারা আমরা জানতে পারব গরুর সকল প্রকারের উপকার ও ক্ষতি কর দিক।

গরুর জাত ও প্রকার

বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের গরু দেখতে পাওয়া যায়, তবে সব চেয়ে বেশি যে জাত দেখা যায়। তা হলোঃ-
  • দেশি।
  • জার্সি।
  • হলস্টাইল ফিজিয়ান।
  • ব্রাইন সুইচ।
  • লাল সাদা হল স্টাইল।
  • গারনেসি।
  • আয়ারশায়ার।
  • মিল্কং ডেভেন।
  • মিল্ক শর্ট হন।
  • নরম্যান্ডি ক্যাটল।
  • নাওরেজিয়ান রেডি।

দেশি গরু পালন পদ্ধতি

প্রথমে দেশি গাভী কিনতে হবে। সর্বোচ্চ ৩৫-৪০ হাজার টাকার ভিতরে গরু কিনতে হবে। সামর্থ বেশি থাকলে ভালো মানের গরু কিনতে পারেন। দুধ দেয় এমন গরু কিনলে খুব তাড়াতাড়ি লাভজনক হওয়া যায়। গাভিগুলো যাতে ২/৪/৬ দাঁতের হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গোয়ালঘর ভালো ভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে ঝড় বাতাস ঠেকাতে সক্ষম হয়।
প্রতিদিন বেশ কিছু ঘাস খাওয়াতে হবে। তাতে দুধের ফলন বৃদ্ধি পায়। সেই কারনে কিছুটা জমিতে ঘাস চাষ করতে হবে। গরুর দেহের ওজন অনুযায়ী দানাদার খাদ্য সরবরাহ থাকতে হবে। দানাদার গুলো একসঙ্গে না দিয়ে খাবারের সাথে মিশ্রণ করে খাওয়াতে হবে তাতে পুষ্টিবেশি থাকে। বাসি পানি বা পচা/ গন্ধ পানি খাওয়ানো যাবে না। পুকুরের পানি খাওয়ানো যাবে না।

দেশি গরু চেনার উপায়

মূলত দেশি গরুর বৈশিষ্ট্য হলো, এরা ছোট ও মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। দেশি গরুর চামড়া শক্ত থাক। গলার নিচে ভাঁজ কম থাকে। এবং শিং বড় ও পা ছোট হয়ে থাকে। দেশি গরুর শরীরে চর্বি কম থাকে তাই সহজে চেনার উপায় হলো, কম সাস্থবান গরু ক্রয় করতে হবে। বিদেশি গরুর তুলনায় দেশি গরুর মাংসের স্বাধ বেশি কিন্তু দুধ কম হয়। বেশি গরুর মাংসের স্বাধ সবচেয়ে বেশি মজাদার। 

দেশি গরুর মুলুত পাঁচজাতের হয়ে থাকে। যথাঃ-
১. সাধারন দেশি গরু।
২. মীরকাদিমের ধবল গাই।
৩. রেড চিটাগাং ক্যাটল।
৪. পাবনা ক্যাটল।
৫. নর্থ বেঙ্গল গ্রো।

দেশি গরুর খাদ্য তালিকা

গরুর ওজন যদি ১০০ কেজি হয়, তাহলে দেশি গরুর খাদ্য তালিকা ১কেজি শুকনো খাদ্য খাওয়াতে হবে, যেমন খড়। ২-৪ কেজি সবুজ ঘাস খাওয়াতে হবে। গরু আঁশ জাতীয় খাদ্য খাওয়ার কারনে সব সময় জাবরকাটে। এদের সবুজ ঘাস ও শুকনো খাদ্য (খড়) এবং দানাদান দিতে হবে। দেশি গরুর দুধ কম হলেও বিদেশি গরুর দুধ বেশি হওয়ার কারনে তাদের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়াতে হবে।

গাভীর দুধের ফলন বৃদ্ধি করতে। গাভিকে প্রচুর পরিমাণ সবুজ ঘাস খাওয়াতে হবে, নেপিয়ার,পারা, জার্মানি, গিনি, দেশি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ঘাস রয়েছে। শুধু সবুজ ঘাস খাওয়ালে চলবেনা। সাথে শুকনো খাদ্যও খাওয়াতে হবে সেক্ষেত্রে আমরা খড় খাওয়াতে পারি। তবে বাচ্চা গরুর ক্ষেক্রে খড় ভালোভাবে কেটে পানির সঙ্গে ভিজিয়ে খাওয়াতে হবে। এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
দানাদার খাদ্য হিসাবে গমের ভুসি, চালের গুঁড়া, ভুট্টার গুঁড়া, সরিষার খৈল ইত্যাদি নানা রকমের খাদ্য খাওয়াতে হবে এতে পুষ্টি বেশি থাকে।

দেশি গরুর বাসস্থান

খামরের মাটি শুষ্ক ও আশেপাশের জমি থেকে কিছুটা উঁচু হতে হবে। যাতে বৃষ্টির পানি ও বন্যা বিজলি-বর্জ্য ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে। খামারের মাটি উর্বর জমি বা বেশিরভাগ বালি হতে হবে। এতে বৃষ্টি বা বর্ষার পানিকে মোকাবেলা করতে পারে।

বাসস্থানে যেসব জিনিস থাকা জরুরি, তা হলোঃ
  • গোয়ালঘরের উচ্চতা ৮-১০ ফুট হতে হবে।
  • খাদ্য সরবরাহের জন্য চাটি ও পানির পাত্র রাখতে হবে।
  • গাভি বাঁধার জন্য শিকোল থাকতে হবে।
  • মেঝে খড়খড়া হতে হবে, যাতে করে পা ঠিক মতো রাখতে পারে।
  • একটি করে গাভীর জায়গার ক্ষেত্রে ৫ বর্গমিটার যথেষ্ট।

গরুর রোগ পরিচিতি ও চিকিৎসা

গরুর চিকিৎসা খামার গরু পালনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শরিরের রাসায়নিক পদার্থ বর্জ্যন করে মূত্র আকারে বের হয়ে আসে। দেশি গরু চেনার উপায় সম্পৃক্ত গবাদিপশুর সাধারণত মূলমন্ত্র বৃক্ষ, মুত্রথলি ও বিভিন্ন অঙ্গ নিয়ে গঠিত সেগুলো স্ত্রী ও পুরুষ আলাদা আলাদা হয়। বৃক্ক মূত্রত্যাগ প্রধান অঙ্গ। 

পুুরুষ গরুর ক্ষেত্রে পদার্থ সমূহ প্রথমে বৃক্ষ আসে। এবং অপ্রয়োজনিয় পদার্থসমূহ বর্জ্য হিসাবে মুত্র হিসাবে মূত্রনালীর মধ্য দিয়ে মূত্রথলিতে জমা হয়। নির্দিষ্ট সময় পর এই মূত্র পুরুষ লিঙ্গের মধ্য দিয়ে স্ত্রী যোনির মধ্য দিয়ে বাহিরে বের হয়ে আসে।

রুমিনাল আ্যাসিডোসিস ও কার্বোহাইড্রেট ইনগর্জমেন্ট। বিভিন্ন ধরনের সমস্যার পেক্খাপটে দেখতে পাওয়া যায়। এটি খাদ্যভ্যাসজনিত কারনে সৃষ্টি হয়ে হয়ে থাকে।  দেশি গরুর খাদ্য তালিকা এটি পশুর রুমেনের অসুস্থতা। কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন জাতিয় খাদ্য খেলে রুমিনাল আ্যাসিডোসিস ও কার্বোহাইড্রেট ইনগজমেন্ট সমস্যা হতে পারে। এটি একটি গরুর পেট ফাঁকা ও বদ হজম করে থাকে।

শেষ কথা

খাবার পরে যদি কেউ দুধ পান করে তার অনেক উপকার রয়েছে। এছাড়াও গরুর মাংসে রয়েছে ভিটামিন। গরুর মাংস সকলের প্রিয় একটি খাবার যা সকলে পছন্দ করে থাকে। আজকে এখানেই শেষ করেছি বাকিটা অন্য কোনদিন। উক্ত পোষ্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট এবং শেয়ার করে বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url