শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে - শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রিয় পাঠক আপনি কি শবে মেরাজের আমল তথা শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, শবে মেরাজ কি, শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম, শবে মেরাজ নামাজ কত রাকাত, অথবা শবে মেরাজের রোজা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আমাদের উক্ত পোস্টটি ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শবে-মেরাজ-২০২৪-কত-তারিখে-শবে-মেরাজের-গুরুত্ব-ও-ফজিলত
এই রাতে আমাদের নবী করিম (সাঃ) তার বোন। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত উম্মে হানীন ঘড় থেকে ফেরেস্তা জীবরাইলের সাঙ্গে বোরাকের পিঠে চড়ে আল্লাহর বাড়ি আরশে আজিমের সামনে নিয়ে যান। এবং সেখান থেকে তিনি একাই আল্লাহর বাড়ি আরশে আজিম গিয়েছিলেন।
সূচিপত্রঃ 

ভূমিকা

শবে মেরাজের নামাজ আদায় করার জন্য আমাদের সকলকে শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম জানতে হবে। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, এবং শবে মেরাজ এর নামাজের নিয়ত জানা আমাদের জন্য একান্ত জরুরি একটি বিষয়। আমদের সকলেরেই যানা আছে যে আরবি রজব মাস এর ২৭ তারিখ রাতেই পবিত্র শবে মেরাজ হিসেবে ধরা যায়। শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, আর এই দিনেই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) নবুওয়াতের ঠিক দশম বছরে। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, আর এই দশম হিজরির রাতেই আমাদের নবীজি ৫০ বছর বয়সে তিনি তার মক্কী জীবনের কিছুটা শেষের দিকে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে সাত সাতটি আসমান পারি দিয়ে ছিলেন। আর এই দিনেই আল্লাহ তায়ালা সকল মুসলিমের উপর ৫ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ করে দিয়েছেন।

শবে মেরাজ কি

শবে মেরাজ মানেই প্রিয় নবীজির মেরাজ ভ্রমনের ঘটনোকে বুঝায়। এই রাতেই আমাদের নেতা আমাদের প্রিয় নবী করীম (সাঃ) মহান আল্লাহ তায়ালার দাওয়াতে। হযরত জিবরাইল (আঃ) এর সঙ্গে বোরাকের পিঠে উঠে। একে একে সাত সাতটি আসমান অতিক্রম করে। শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত এর পর আল্লাহর নবী সেখান থেকে ৭০ হাজার নুরের পর্দা পারি দিয়ে, একাই সেদি আল্লাহর বাড়ি আরশে আজিম গিয়েছিলেন। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, সেখানে গিয়ে নবী করিম (সাঃ) আল্লাহকে সামনা সামনি ভাবে দেখেছিলেন এবং আল্লাহর সঙ্গে কথা পকোথন করেছিলেন। আর েএই ঘটনাকেই বলা হয় শবে মেরাজ। তবে শবে মেরাজ সম্পর্কে বিভিন্ন আলেমগণ বিভিন্ন মত পোষন করেছেন। তবে সেগুলোর ভিতর থেকে এটিই সহিহ হাদিস হিসেবে অধিকাংশ সাহাবি এক মত পোষন করেন।

শবে মেরাজের আমল

মেরাজের ঘটনা ঘটার পরেও নবী করিম (সাঃ) অনেক দিন ধরে দুনিয়াতে জীবিত ছিলেন। বিভিন্ন ফিকাহ গণ বলেন, নবী (সাঃ) মেরাজ থেকে আসার পরে কয়েক বছর যাবৎ জীবিত ছিলেন। তখন নবী করিম(সাঃ) প্রবিত্র শবে মেরাজ পালন করে নাই। এবং পরবর্তিতে নবী করিম (সাঃ) এর ওফাতের পরে সাহাবায়ে কেরাম গণও মেরাজ পালন করেনি। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, অথএব কেউ যদি মেরাজ উপলক্ষে নামাজ ও রোজা রাখে তাহলে সেটি নফল নামাজ। আর কেউ যদি শবে মেরাজকে উদ্দেশ্য করে রোজা ও নামাজ আদায় করে তাহলে সেটি হবে মন গড়া একটি আমল। যা বেদয়াত হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত আর কুরআন এবং হাদিসে এসেছে যে কেউ যদি বারো মন ভালো করার জন্য কোন নেক আমল করে সেই ব্যাক্তি কখনোই সওয়াব পাবে না বরং সে গুনাহগার হিসেবে বিবেচিত হবে।

শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

কেউ যদি শুধু মাত্র শবে মেরাজকে ঘিরে নামাজ আদায় করে তাহলে সেটির কোন লাভ হবে না। বরং সে গুনাহগার হয়ে যাবে। শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত আর অনেকে আচে যারা এই সমস্ত ভুর করে তাদের ভুল যদি কেউ ধরে দেয় তাহলে অনেকে আছে যারা সেই হাদিস মানতে চাইনা। কোন উপদেশ দিলে সেটিকে তারা হাঁসি তামাশা করে উড়ে দেয়। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, আপনি তো সব সময় লোভের আসায় অথবা বাম্পার ফলনের আসায় আপনাকে আপনার ফসলের আগাছা কেটে ফেলতে হবে। শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত ঠিক এমনি ভাবে ইমান এবং আমল এর অধিক ফলাফল এর জন্যেবেদায়াত নামক কিছু আগাছা আছে যা থেকে আমরা নিজেকে মুক্ত রাখা হয়। ইসলামে যে সকল কাজ করার জন্য নির্দেশ করেনি সেই সকল কাজ থেকে আমাদের মুক্ত রাখতে হবে।

শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে

শবে আর্থ পথ আর মেরাজ অর্থ আরহণ। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, আর মুসলিম নর নারীদের মত নিতে গিয়ে তারা বলেন আমাদের নবী করিম (সাঃ) ২৬ এ রজবের দিন রাতে উদ্ধকাশ ভ্রমণ করেন। শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত আর এই শবে মেরাজের দিন রাতেই নবী করিম (সাঃ) আল্লাহর বাড়ি আরশে আজিম গিয়ে আল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন। সকল মুসলিমের কাছে এই রাত অনেক জনপ্রিয় একটি রাত হিসেবে ধরা যায়। অনেক মুসলিমেন কাছে এটি মহামূল্যবান একটি রাত তাই সকলে এই রাতে বিভিন্ন প্রকার ইবাদত করে থাকেন। অনেকে আছে যারা এই রাতে নফল কিছু নামাজ আদায় করে। তবে এই নামাজ না পড়লে কোন গুনাহ হবে না।

শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম

হযরত ওমর (রাঃ) এর শাষন কালের একটি ঘটনা আলোচনা করতে গিয়ে হাদিস বিষারদগণ বলেন। একদা তিনি এক সময় জানতে পারলেন কিছু গোর্তের লোক সকল মানুষ গণ প্রবিত্র শবে মেরাজের রোজা রাখেন। তখন তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাদের খুজতে বের হলেন। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, আবার অনেকে আছে যারা একে একে লোকেদের ঘরের ভিতরে গিয়ে তারা শবে মেরাজ এর রোজা রেখেছেন কিনা সেগুলো বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের জিঙ্গাসাবাদ করেন। যদি মনে হয় কেউ রোজা দেখেন কি’না অথবা কেউ কি ধমকের সূরে বলবেন, তুমি যে সত্যিই সারাদিন রোজা রাখোনি তা আমাদের সামনে কিছু একটা খেয়ে তার প্রমান দাও।

শবে মেরাজের নামাজের নিয়ত

শবে মেরাজে এর নামাজ বলতে নফল নামাজকে বুঝায়। শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত আর এই নামাজ যদি কেউ পড়তে চান তাহলে সর্ব প্রথমে আপনাকে পাঁ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে তাছাড়া আপনি গুনাহ গাড় হয়ে যাবেন। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, আর তাই অঅগে শবে মেরাজ বাদ দিয়ে পরঝ নামাজ আদায় করুন। কি হবে নফল কাজ করে যদি ফরজ ঠিক না থাকে। 

ঠিক তেমনি আগে আপনাকে ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে তার পরে আপনি নফল নামাজ আদায় করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার জন্য তা বৈধ হবেনা। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, আর এই নামাজ আদায় করার নিয়ম হলোঃ-
  • নফল নামাজ আদায় করার জন্য অনেকে আগে ফরজ নামাজ আদায় করে। এর পরে সুন্নত নামাজ আদায় করেন। তার পরে বেতের নামাজ বাদ দিয়ে আগে নফল নামাজ আদায় করে তার পরে বেতের নামাজ আদায় করেন।
  • আবার অনেকেই আছেন যারা আগে ফরজ নামাজ আদায় করে। এর পরে সুন্নত নামাজ আদায় করেন। এর পরে বেতের নামাজ অঅদায় করেন। তার পরে নফল নামাজ আদায় করে থাকেন।

বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামগণ এই বিষয়ে বিভিন্ন মত দিয়েছেন। তবে আপনি আপনার ইচ্ছে মতো নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। তাতে কোন সমস্যা নাই। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, তবে যদি আপনার নফল নামাজ আদায় করতে গিয়ে বেতের নামাজ বাদ পরে যায়। শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত অথবা পরে নফল নামাজ পড়তে মনে না থাকে। কিংবা নফল নামাজ আদায় বরার সময় না থাকে তাহলে আপনার এশার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। তাই বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামদের মতে আগে বেতের নামাজ আদায় করেন তার পরে আপনি আপনার ইচ্ছে মতো নফল নামাজ আদায় করতে পারেন।

শবে মেরাজ নামাজ কত রাকাত

নবী করিম (সাঃ) শবে মেরাজের রাতে আল্লাহর আরশে মেরাজ করে দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। এবং এই ৫ ওয়াক্ত নামাজে মোট ১৭ রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত আর এই রকম ভাবেই আমরা দৈনিক ৫ ওয়াক্ত ১৭ রাকাত নামাজ পেয়েছি। ফজরের নামাজ ২ রাকাত। যহরের নামাজ ৪ রাকাত। আসরের নামাজ ৪ রাকাত। মাগরিবের নামাজ ৩ রাকাত। এশার নামাজ ৪ রাকাত।

মূলত এই ৫ ওয়াক্ত ১৭ রাকাত নামাজ দেওয়ার জন্যই আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে আল্লাহর আরশে আজিম দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো। তাই এই ১৭ রাকাত নামাজ আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি ইবাদত হিসাবে ধরা যায়। শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত আর শবে মেরাজ সম্পর্কে আলাদা করে তেমন কোন আমল নেই। যা আছে সে সকল নামাজ হলো নফল। অথএর শবে মেরাজের নির্ধারিত কোন নামাজ নাই তাই আপনি আপনার ইচ্ছে মতো নামাজ অঅদায় করতে পারেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের ভিতর দিয়ে আপনি শবে মেরাজ কি, শবে মেরাজের আমল, শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে, শবে মেরাজ কত তারিখে, শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম, শবে মেরাজের নামাজের নিয়ত, শবে মেরাজ নামাজ কত রাকাত ইত্যাদি সম্পর্কে আশা করি জানতে পেরেছেন। পাঠক বন্ধুগণ উক্ত পোস্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে েএকটি কমেন্ট দিয়ে আপনি আপনার মতামত আমাদেরকে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url