কালোজিরা ও মেথির উপকারিতা। চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা

প্রিয় পাঠক আশা করি এই মুহুর্তে আপনি চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা ব্যহার অথবা কালোজিরা ও মেথির উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাই উক্ত বিষয়ে সকল প্রকার আলোচনা জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং দেখুন কালোজিরা ব্যাবহার করে উপকার কি ক্ষতি কি?
কালোজিরা-ও-মেথির-উপকারিতা
কালোজিরা দিয়ে কি কি কাজ করা হয়। কালোজিরা কি বাবে খাওয়া যায়? কালোজিরাকি আদও খাওয়া ঠিক?

ভূমিকা

যুগে যুগে আমাদের চুলের যত্নে আমরা মেহেদী ব্যবহার করে থাকি। এই উপাদানের মাধ্যমে চুল পড়া কমাতে অনেক সহায়তা করে থাকে। তার পরে চুল করে তোলে ঝল মলে। তাই মেহেদী অতুলনীয়। চুলকে ঝলমলে করে, চুলের রং বদলায়, তাছাড়া এতে চুল পড়া কমিয়ে দেয়।

মেহেদী পাতা ব্যবহারে প্রাকৃতিক ভাবেই চুলকে রঙিন করে দেয়। তাছাড়া ধূসর অথবা চুলের রং ভালো করতে মেহেদী খুবই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাছাড়া কালো চুল আরো বেশি কালো করতে মেহেদি ব্যবহার করে থাকে। মেহেদি ব্যবহার করার ফলে মাথার চুলকানি টিকে দূর করে দেয়।

চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে কালোজিরা ও মেথির উপকারিতা

আমড়ার বাজার্স মেহেদী ভেষজ এর বিভিন্ন গুন রয়েছে যা চুল বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে মেহেদির পাতা ব্যবহার করার ফল অনেক। তবে মেহেদির সাথে যদি তেল এবং ডিম মেশান এর পরে তা চুলে মেশান তাহলে চুল ঝলমলে হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে চুল ৩০ মিনিট তা মাথায় লাগিয়ে রাখতে হবে। এর পরে তা ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল হবে ঝলমলে এবং অনকে সুন্দর। চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা!

ঔষধ হিসেবে ব্যবহার

মেহেদি যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে আলাদা করে কখনই শ্যাম্পু দিতে হবে না। সেক্ষেত্রে তার কোন প্রয়োজনও নেই। এর কারণ মেহেদিটি প্রকৃতিক ভাবেই চুলকে পরিষ্কার করে দেয়। তার চুলের গোড়া সব সময় মজবুত হয়, চুল পড়া বন্ধ হয়। সেক্ষেত্রে আবার প্রতিদিন মেহেদি লাগানো উচিৎ হবেনা কারন এতে ক্ষতি রয়েছে।
  • মেহেদি পাতার রস এবং শরিষার খৈল মিশিয়ে তা যদি কেউ ঘাড়ে মালিশ করতে পারে। তাহলে তার ঘারের ব্যাথা সেরে যাবে। এক্ষেত্রে আপনি এই প্রকৃয়াটি কোন পশুর উপরও ব্যবহার করতে পারেন। পশুর ক্ষেত্রেও এটি বেশ কার্যকরী।
  • মেহেদি পাতা বেটে তা যদি চুল এবং নখে লাগাতে পারেন তাহলে চুল ও নফ অনকে ভালো থাকবে।
  • মেহেদি বেটে তা যদি পায়ে মাখতে পারেন তাহলে সেক্ষেত্রে চোখের সমস্যা কখনই হবে না।
  • মেহেদী পাতা বাটা টির সাথে প্রলেপ দিতে পারলে সেটি দেওয়ার ফলে অনেক ভালো একটা ফল পাওয়া যায়।
  • কেউ মেহেদি পাতা বাঁটার পরে তা যদি নিজ হাতে লাগায় তাহলে দেখতে পারবেন অনকে পাকা চুল কাল এবং কিছু কিছু চুল হালকা কালো দেখাবে।
  • তবে বিভিন্ন ইউনানি চিকিৎসা বিদ দের মত হলো, চুল পাকার ফলে হরি তকিতে ১০ বা ১২ গ্রাম মেহেদি পাতাটি একটু থেতো হয়। এর পরে সেগুলো সিদ্ধ করে ছেকে নিতে হবে তার পরে সেইটা ঠান্ডা করে নিতে হবে। এর পর তা যদি কেউ নিজের মাথায় লাগাতে পারে তাহলে সে দেখতে পারবে মেহেদি পাতার উপকার ঠিক কি হতে পারে।
  • মেহেদি পাতার সঙ্গে কেউ যদি পাত্রে উত্তরস্তিতার ফলে সাদাস্রাব এবং তার চুলকানি দেখা যায়। সেক্ষেত্রে তা কমে যাইতে পারে।

কালোজিরা ও মেথির উপকারিতা

কালো জিরাতে প্রায় শতাধিক তম পুষ্টি রয়েছে কালো জিরার ভিতর। তাই এই উপাদান গুলো আমাদের শরিৱের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। যাতে কালো জিরার উপকারিতা আমরা নির্ভর করে থাকি। প্রাচিন কাল থেকেই এটির ঔষধ প্রনালি ব্যবহার করা যায়। এটি প্রাচিন কাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর ঔষধ প্রণালি অনেক দিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

নবি করিম (সাঃ) বলেন,তোমরা কালো জিরা ব্যবহার করো, কারণ এতে রয়েছে নানা ধরেনর ঔষধ। এটি খাওয়ার ফলে সব ধরনের রোগ বালায় হতে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে এটি শুধু কারো মৃত্যুকে বাধা দিতে পারবে না। এটি কখনই মৃত্যু থেকে কাওকে বাঁচাতে পারবে না তাছাড়া সকল ধরনের ঔষধ হিসেবে এটি কাজ করে। নবী করিম সাঃ বৱেন আমি নিজেও কালো জিরার তেল দিয়ে গা মালিশ করে থাকি। যাতে আমরা সকল ধরনের রোগ বালায় হতে মুক্তি পেতে পারি।

কালোজিরার পুষ্টি গুণাগুণ

কালো জিরা অধিক রয়েছে এতে রয়েছে ভিটামিন-বি১, বি২ এবং বি৩। ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ও পাচক গুলো সব সময় এনজাইম ও আগের সময় ২৫/২৬ মিলি গ্রাম ফসফরাস এবং মাইক্রো লৌহটি কার্বো কেরাটিন, জীবানু নাশক ও বেশ কিছু উপাদান রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে অলিক এসিড এবং লিনো লিক এসিড যাতে রয়েছে কালো জিরার হুন। 

কালো জিরা খাওয়ার ফলে আপনার হরমন কে সব সময় ঠিক রাখে। তাই কালো জিরা গুলোতে রয়েছে প্রোটিং। এই কালোজিরা কে থাকা কোরোটাস হতে রোগী প্রকৃত রাখেন। যেমন কালো জিরা খাওয়া যেন নিয়মিত যা আমরা আপনাকে নিয়ম কানুনএরম জন্য ব্যাক্তিটি এর জন্য অধিক জনপ্রিষ হয়ে উঠেছেন।

কালোজিরার উপকারিতা

কালো জিরার উপকার অনেক যা শেষ হবার নয়। কারণ এটি দ্বারা সকল ধরনের কাজ করা হয়। যার ফলে সব কিছু বলা সম্ভব না কারণ আমরা লেখতে লেখতে শেষ হয়ে যাব, আপনারাও পড়তে পড়তে বোরিং হয়ে যাবেন। সব কিছু পড়তে পারবেন না আবার আপনাদের ধর্যও হবেনা। তাই তো অল্প একটুর ভিতরেই শেষ করতে চাচ্ছি আজকে। কালো জিরা আমাদের শরিলের জন্য অনেক উপকারি। 

এটি নানা রকম ভাবে আমকতের সমস্যা দূর করতে পারে এই কালো জিরা যার ফলে আমরা বেশ ব্যবহার করি। তাই তো এটির পরিচিতি ব্যাপক। যার কোন শেষ নেই। তাছাড়া এটির তেল তো দেহের আঘাত, ব্যাথা সহ সব ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারে।

কালোজিরার তেলের উপকারিতা কি কি

কালো জিরার তেল অথবা কালো জিরা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে তা নিয়মিত খাওয়ার ফলে তা হৃদয় রোগ হতে তার ক্ষমতাগুলোকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এর সাথে পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমে যার ফলে মেদ ও ঘুড়ি কমে যায় আবার অনেকেই আচে যারা অনেক সময় হাঁপানি বা শাষকষ্ট সব নানা ধরনের সমস্যায় রয়েছেন তারা ঠিক কালো জিরার তেল পুঠে এবং বুকে সহ যে যে জায়গায় সমস্যা ঠিক সেই সেই জায়গা গুলোতে মালিশ করতে হবে। 

এর ফলে আপনি আপনার সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। এর ফলে আপনি আপনার দেহের ক্ষত স্থানে মালিষ করলে তা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন দিকে থেকেই কালো জিরার তেল অসেক উপকারি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মাথায় যদি কারো ব্যথা হয় তাহলে তাকে প্রতিদিন দিনে ৩ বার সর্বনিম্ন কালো জিরার তেল মালিশ কনতে হবে। এতে ব্যাথা কমে যাবে। ক্ষত স্থানের ব্যাথা কমাতে কালোজিরার তেল অনেক বেশিই গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ হিসেব বিবেচিত করা হয়।

চুলের জন্য কালোজিরার উপকারিতা

আপনি আপনার চুলের কারনে কালো জিরার উপকারি অনকে রয়েছে। যার ফলে কালো জিরার তেল চুলের গোড়ায় গিয়ে চুলকে আরো বেশি শক্ত করে তোলে। যার ফলে চুল পগা খুব তাড়াতাড়িই বন্ধ হয়ে যায়। এবং কালো জিরার তেল ব্যবহারের ফলে আমাদর চুল আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। সেক্ষেত্রে গোসল দেওয়ার পরে আপনার মাথার চুল গুলো শুকিয়ে গেলে তার পরে কালো জিরার তেল ভালো ভাবে মাথায় লাগাতে হবে। 

কেউ যদি একটানা এক সপ্তাহ ধরে বা তার চেয়ে বেশি যেমন সর্বোচ্চ ১৫ দিন থেকে এক মাস যদি আপনি কালো জিরার তেল মাথায় মালিশ করতে পারেন তাহলে আপনার চুল পগা বন্ধ করে দিয়ে নতুন চুল গজাতে সক্ষম হবে। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে এর সাথে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অন্য কোন কিছু ব্যবহার করা যাবে না।

বীজের পার্শপ্রতিক্রিয়া গুলো কি কি

আপনি যদি বেশি পরিমাণ এর কারণে স্বাস্থ্য সমাধান করার ক্ষেত্রে আমাতের পেটের ব্যথা হয় অথবা আসাদের যদি বমি ভাব হয় অথবা বুকের ভিতরে জালা শুরু হয়ে যায়। ঠিক সেই কারণেই কালো জিরাটি অনেক বেশি উপকারি জিসেবে বিবেচিত করা হয়েছিলো। তবে আপনি যতি সেটি প্রথম বার এর মতো দেখে থাকেন। 

অথবা ব্যবহার কর থাকেন তাহলে সেটি ডাক্তার এর সঙ্গে সেই বিষয়ে কথা বলতে পারেন এতে আপনি আপনার সমাধান করতে পারবেন। আবার চর্ম রোগীর জন্য এটি অত্বান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ হিসেবে বলা হয়। তাই তো আমাতের করনিয় বিষয় হলো কালো জিরার তেল বা কালোজিরা।

মেথি ব্যবহার করলে কি নতুন চুল গজাবে

মেথির ভিতরে রয়েছে রযেছে প্রচুর পরিমান এ লেসথিন রয়েছে। যেটি আসলেই চুলের গোড়া গুলোর পুষ্টি জোগার করতে সাহায্য করে। এটির ফলে চুল বৃদ্ধি পায় এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এক চামচ মেথি এবং এক চামচ সরিষার দানা বেটে নিন। এবার সেটিতে তিন চামচ পরিমান এ কুসুম গরোম পানি দিয়ে সেটিতে মেথি এবং সরিষার বাটা দিয়ে এক ঘন্টা সময় ভিজিয়ে রাখুন। 

এর পরে এক চামচ পরিমান এর অলিভ অয়েল মেশানার ডরে সেটি এক পর্যন্ত পেস্টে পরিনত হবে এবার সেটি চৃলে মাখুন তাহলেই আপনার মাথার নতুন চুল গজাবে।

চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা

চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা হ্যাঁ মেথি ও মেথির রস আসলেই চুলের জন্য খুবই ভালো একটি খাদ্য। এতে চুৱের বিভিন্ন পুষ্টি ও চুলের কিছু আলাদা অভাব মেটায়। তবে মিথির বিজ চুলের উপকারে অনকে বেশিই ভূমিকা রাখেন। এতে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে। যা চুলের জন্য আসলেই অনেক ভালো। তাছাড়া এতে চুলের খুশকি দুর দরে। 

চুল পড়া কমাতে সক্ষম এবং চুলকে করে রাখে কোমল ও মর্সিণ যা আমাদের সকলেরই অনেক বেশি পছন্দ। চুল পড়া কমায় এবং খুকশি দুর করে এই কারনেই মূলত মেথি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। যা আমাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে।

কালোজিরা ও মেথি একসঙ্গে খেলে ঠিক কি হয়?

কালোজিরা ও মেথি হচ্ছে এই দুইটি সম্পূর্ণ আরাদা একটি ভেষজ যেটি সাধারন বাবেই আমাদের স্বাস্থের জন্য ভালো এবং এটি রোগ প্রতিরোধ দূর করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই কালো জিরা যেটি একটা উদ্ভিদ যেটি ঐতিহাসিক একটি ঔষধ যা হজম শক্তির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শ্বাসযন্ত্র এর সকল প্রকার সমস্যা ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এবং ত্বকের সাভাবিক অবস্থা সব সময় ঠিক রাখে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আশাকরি, আপনি উপরের উক্ত পোস্টটি ভালো ভাবে পড়েছেন। চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা! আর যতি না পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে উক্ত পোষ্ট ভালো ভাবে পড়ার অনুরুধ রইলো যাতে আপনি সকল বিষয়ে জানকে পারেন। হতে পারে এই বিষয় গুলো আকোন আপনার দরকার নেই তবে একটা সময় আসবে যখন এগুলো আপনার অনেক কাজে দিবে।

তাই সময় থাকতে আপনি জেনে রাখুনযাতে পরে আপনার সমস্যা হলে আপনি সেটির সমাধান নিজে নিজেই কনতে পারেন। আর ভালো লাগলে একটি কমেন্ট করে আপনার মতামত জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url