প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয় | কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ, আশা করি আপনি প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয় সেটি জানতে চাচ্ছেন তাছাড়া কালোজিরা খেলে কি কি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা। স্বরণ শক্তি বৃদ্ধির উপায়, মাথা ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে সেটি প্রয়োগ করে থাকেন।
প্রতিদিন-কালোজিরা-খেলে-কি-ক্ষতি-হয়
সর্দি কাশি,বাতের ব্যাথা, চর্মরোগ, ব্লাড ডায়াবেটিক্স ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়।

কালোজিরাকে মহা ঔষধ বলার কারণ কি?

কালোজিরাকে মহা ঔষধ বলার কারণ হলো কালোজিরা দেহের রোগ প্রতিরোধ এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া কালোজিরা রক্তের শর্করা কমায় এবং ডায়াবেটিস এর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সাহায্য করে। সর্বনিম্ন রক্তচাপ থাকলে আবার সেটিকে বৃদ্ধি করে দেয়। সাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে যায়। এই কালোজিরা খাওয়ার ফলে শরিলের রক্তচাপ সব সময় স্বাভাবিক থাকে। 

কালোজিরা সকলেই খেতে পারবে। নারী এবং পুরুষ সকলেই এই কালোজিরা খেতে পারবেন। এর ফলে নারী অথবা পুরুষ সকলেরই যৌন ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে পারে। তাছাড়া কালোজিরা মস্তিষ্কে থাকা রক্ত সনচলন টিকে বৃদ্ধি করিয়ে দেয়। এবং এটি খাওয়ার ফলে আমাদের স্বরণ শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের স্বরণ শক্তি বাড়তে থাকে।

প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা কালোজিরা খাওয়ার ফলে আমাদের হাঁপানি অথবা অনেকেই আচে আমাক আর সামিউলেক যারা শুধু সার্থের জন্য ব্যাবহার করে থাকে। তাছাড়া জটিল সমস্যার সমাধান করে, এক্ষেত্রে কালোজিরা অধিক উপকারি একটি ঔষধ। চুলের গোড়া শক্ত করতে কালোজিরা অধিক উপকারি। এতে চুল এর পুষ্টি জোগায়। চুলপড়া বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া চুল বৃদ্ধি হয়। 

নতুন করে চুল গজায়। এতে পিঠের ব্যাথা কমায়। কালোজিরা খাওয়ার ফলে সন্তানের জন্য মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করে এবং বুকের দুধ প্রবাহ বৃদ্ধি করে। কালোজিরা খাওয়ার ফলে একটি শিশুর মানসিক বিকাশকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা এর বৈঙ্গানিক নাম হলো- NIGELLA SATIVA. হাদিস শরিফে এসেছে যে, কালোজিরার আরবিতে বৈঙ্গানিক নাম হলো- "হাববাতুস সাওদা"। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন যে, মৃত্যু বাতিত সকল রোগের ঔষধ হলো কালোজিরা। এটি খাওয়া ফলে সব ধরনের রোগ নিয়ন্ত্রণ হয়। (ইমাম বুখারি হাদিস নং- ৫৬৮৭/মেশকাত শরিফের হাদিস নং- ৪৫২০/মুসলিম শরিফের হাদিস নং-২২১৫)

কালোজিরার উপকারিতা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি একটি ঔষধ। এটি শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া টিকেই নিষ্পেষ করা থেকে দেহের কোষ এবং কৱাগুলোকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছেন এই কালোজিরা। তবে কালোজিরা শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ভালোর জন্য না বরং এটির ফলে আমাদের মাথার চুলগুলো পড়া থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করবে। তাচাগা কালোজিরার নানা উপকার রয়েছে।

স্বরণ শক্তি বৃদ্ধি করার উপায় কি

প্রতিদিন এক চামচ পুদিনা পাতার রস অথবা কমলা লেবুর রস কিংবা এক চামচ কালোজিরা চায়ের সাথে মিশিয়ে তাতে তেল মিশানোর পরে সেটি আবার দিনে তিন বার সেবন করতে হবে। এতে সকল প্রকার দুশ্চিন্তা গুলো দুর হয়ে যাবে। এছাড়াও কালোজিরা খাওয়ার ফলে মেধার বিকাশ ঘটার জন্য অনেকটাই কাজ করে থাকে। কালোজিরা মস্তিষ্কের রক্ত চাপ সনচালন এর বৃদ্ধি ও স্বরণ শক্ত বাড়াতে বিভিন্ন ধরেনর সাহায্য করে।

মাথা ব্যথা কমাতে কালোজিরার ব্যবহার

দৈনিক এক চামচ ভালোভাবে কালোজিরার তেল মাথায় লাগিয়ে দিতে হবে। এরপর এক চামচ কালোজিরা থেকে তেল ও ঠিক তার সম পরিমাণ এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে তা তিন বার লাগাতে হবে। তবে এটি সপ্তাহে ৩ বার পর্যন্ত সেবন করতে পারবেন এতে আপনার মাথা ব্যাথা সেরে যাবে অথবা ভালো হয়ে যাবে।

সর্দি কাশির ক্ষেত্রে কালোজিরার ব্যবহার

এক চামচ কালোজিরা এর সাথে তিন চামচ মধু এবং এক থেকে দুই চামচ তুলসির রস মেশিয়ে সেটিকে খেতে পারলে আপনার জ্বর ও সর্দি কাশি দূর হয়ে যাবে। তবে সর্দি যদি শরিৱে বসে যায় তবে কালোজিরা ভালোভাবে পাটায় বেটে বা পিঁশিয়ে সেটি কপালে লাগিয়ে দিলেই সর্দি কাশি সহ বিভিন্ন ব্যাথা দূর হয়ে যাবে। তবে এক সাথে আপনার পাতলা পায়খানা হলে সেটিকেও ভালো করতে পারে। 

সেক্ষেত্রে কালোজিরা টিকে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে বেধে নিতে হবে। এর পরে সেটি শুকাতে দিতে হবে। তার পরে সেটি যখন তরল হয়ে যাবে ঠিক তখনি সেটিও একাই ঝড়ে পড়বে। তবে তার চেয়ে খুব তাড়াতাড়ি উপকার পেতে গেলে আপনাকে কালোজিরার তেল গুলো আপনার পিঠে এবং বুকে ভালোভাবে মালিশ করে নিতে হবে।

বাতের ব্যথার জন্য কালোজিরা ব্যবহার

আত্রান্ত কোন ব্যক্তির ব্যাথা বা ক্ষত স্থানটি ভালো ভাবে ধুয়ে সেদবকে পরিষ্কার করতে হবে। এর পরে সেটি ভালো ভাবে মালিশ করতে হবে। এক চামচ হলুদর রস এর সঙ্গে এক চামচ কালোজিরা তেল এবং এক চামচ মধু অথবা এক চামচ মধুটি এক কাপ চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সেটি তিন বার ব্যবহার করতে হবে। তবে এটি সপ্তাহে ৩ দবন ব্যবহার করতে হবে।

চর্মরোগ এর জন্য কালোজিরার ব্যবহার

শরিলের আক্রান্ত স্থান টিকে ভালো ভাবে ধয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নত করে নিতে হবে, তবে এতে কালোজিরার তেল মালিশ কনতেি হবে। যাতে এক চামচ কাঁচা গলুদ এর রস এর সঙ্গে এক চামচ কালোজিরার তেল ও এক চামচ মধু এক কাপ চায়ের সাথে দিনে তা ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে ৩/৪ বার তা খেতে হবে অথবা ব্যবহার করতে হবে।

ব্লাড প্রেসারের ফলে কালোজিরার ব্যবহার

রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই দুই কোষ বা কোয়া রসুন চিবিয়ে খেতে হবে। তাছাড়াও শরিলে কালোজিরার তেল মিশালেই এর পরে যদি আপনি সূর্যের তাপকে কমপক্ষে ৩০ মিনিট যাবৎ সজ্জ করকে পারেন। সেই থেকেই এক চামচ কালোজিরা তেল এক চামচ মধু প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন করে ব্যবহার করতে হবে। এতে ব্লাড প্রসার নিয়ন্ত্রণ হয়ে যায়। 

তবে কালোজিরার তেল কিংবা কালোজিরাটি বহুমূত রোগির ক্ষেত্রে রক্তের শর্করা এর মাত্রাটি কম করে দিবে। আর নিম্ন রক্ত চাপটি বৃদ্ধি করতে থাকে এবং উচ্চ রক্ত চাপ টিকেও কমিয়ে দেয়।

হার্টের সমস্যায় কালোজিরার ব্যবহার

হার্টের সমস্যার কারণে কালোজিরার তেল এক চামচ দুধ এক কাপ দিনে দুই বার করে খেতে হবে। তবে তা সপ্তাহে ৫ দিন খেতে পারবেন। অথবা সেবন করতে পারবেন। তবে প্রতিদিনই কালোজিরার তেল বুকের ভিতবে নিয়মিত মালিশ করে দিতে হবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এর ক্ষেত্রে কালোজিরা ব্যবহার

এই রোগ প্রশমনে বেশ কার্যারি হিসাবে কালোজিরা অনকেটাই কাজে লেগে থাকে। এক চীমটি সমপরিমাণ কালোজিরা গ্লাসের পানির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে তা খাঁলি পেটে খাওয়ার ফলে রক্তে থাকা গ্লুকোজ এর মাত্রাটি নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া এক চামচ কালোজিরা তেল এবং এক কাপ চা অথবা ভাত এর সঙ্গে তা মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিন বার নিয়মিত খেতে হবে। তাহৱে ডায়াবেটিস দুর হয়ে যাবে।

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কালোজিরা ব্যবহার

আপনার ত্বকের প্রভাব টির উজ্জ্বলতার বৃদ্ধি করার কারনে কালোজিরা এর বিপনিটি ফল স্বরূপ হবে। এর ফলে লিনোলেইক এবং লিনোলেনিক দুটির নাম এর সঙ্গে এসেনশিয়াল এর ফ্যাটি হয় এসিড। যেটি পরিবেশ এর প্রখরতার ফলে ত্বককেই রক্ষা করা উচিৎ এর ফলে ত্বক এর তারুণ্যতা বজায় রাখে। আপনার মুখর ব্রন দুর করার কারনে সাইডার ভিনেগার এর ফলে তার সাথে কালোজিরা টি মিস করে শরীরের আক্রান্ত দূর করার জন্য দেহের বিভিন্ন জায়গায় কিছুক্ষণ লাগে রাখতে হব। 

ঠিক এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের ব্রণ টিও দূর হয়ে যাবে। তবে শুষ্ক ত্বকের জন্য কালোজিরা তেল অথবা তেলের সাথে মিস করে ত্বকের ভিতর লাগিয়ে তা একসাথে কিছু সপ্তাহ আবার করলেই সেদির ফল পাওয়া যাবে।

মাসিক অথবা সাদা স্রাব রোগের ক্ষেত্রে কালোজিরা ব্যবহার

কাঁচা হলুদের এক কাপ রস অথবা এক চামচ আতব প্রাণের সঙ্গে ধুয়ে তা এক চামচ কালোজিরা তেলের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন তিনবার খেতে হবে এর ফলে আপনি ১০০ ভাগ উপকার পাবেন।

জৈব শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কালোজিরা ব্যবহার

কালোজিরা প্রতিটি নারী-পুরুষ ও বিভিন্ন মানুষ তারা সকলেই স্নায়ুর ক্ষমতা বৃদ্ধি কর। কালোজিরা প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পরে অথবা খাবার খাওয়ার সাথে খাওয়ার ফলে স্পামটি বৃদ্ধি পায়। তারপর একজন পুরুষ থেকে তা মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে থাকে। এক চামচ মাখন, এক চামচ জায়তুন এবং এক চামচ কালোজিরা তেল। ও এক চামচ মধু খাওয়ার উপকার রয়েছে। তবে তা প্রতিদিন তিন থেকে চার বার কবে দিনেবা সপ্তাহ ধরে খেতেপকরলে তার উপকারিতা অনেক।

গ্যাষ্টিক এবং আমাশয়ে কালোজিরার ব্যবহার

এক চামচ তেল এবং এক চামচ মধু মিস করে তা দিনে তিনবার খেতে হবে তবে প্রতিদিন না খেতে হবে সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিন বার।

জন্ডিস অথবা লিভারের ক্ষেত্রে কালোজিরা ব্যবহার

এক গ্লাস শরবত এর সাথে এক চামচ কালোজিরা তেল মিস করলে যেটা উৎপন্ন হবে তা দিনে তিনবার করে খেতে হবে। এবং সপ্চাতাহে পাঁচ দিন তা ক্ষেতে হবে।

মাথা ব্যথা হলে কালোজিরার ব্যবহার

আমাদের মাথা ব্যথার দিক থেকে কপাল এর উভয় কানের বা চিবকের পার্শ্ববর্তী স্থান টিতেও প্রতিদিন চার বার করে কালোজিরার তেল ব্যাথার ইস্থানে মালিস করতে পারলেই হবে।

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কালোজিরার ব্যবহার

প্রতিদিন সকালে কালোজিরা মধুসহ কেউ যদি খেতে পারে তবে তার স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক ভালো হবে। অনেক ক্ষেত্রে সব ধরনের মহামারী বারাই থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

হজম এর সমস্যার জন্য কালোজিরার ব্যবহার

হজম নামক সমস্যা এক ধরনের রোগ। তবে, কালোজিরার ব্যবহার কালোজিরা বেটে প্রাণির সাথে মিশ করে খেয়ে ফেলুন। তবে এভাবেই দিনে দুইবার খেতে হবে। তার পামাপাশি পেট ফাঁটা করে তোলে।

চুল পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে কালোজিরা ব্যবহার

কালোজিরা খেতে পারলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে তাছাড়া চুলের পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পাবে। তাছাড়া অন্যান্য বিভিন্নভাবে যদি খুব তাড়াতাড়ি উপকার পেতে চান। তাহলে চুলের গোগায় ভালো ভাবে মালিশ করে দিতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

আপনি নিয়মিত যদি কালোজিরা খেতে পারেন তবে তা আপনার শরিরের জন্য প্রতিটি অঙ্গ প্রতঙ্গই যথেষ্ট হবে।সূচনা বর্ধক নিম্নচাপ উত্তম পাক দেন উচ্চ রক্তচাপ এবং সেক্ষেত্রে প্রতিরোধ, ভাইরাস, টিউমার, এবং ক্যানশার, ব্যাকটেরিয়ন অথবা কৃত্রিম আলসার এলার্জি রক্ষা কারন। তবে মাথা ঝিমঝিম হতে থাকে। 

তার মনেও মুর্খশ্রী এবং সৌন্দর্য ও এলাট, অলসতান এবং আহার কটুক তাকেই সহায় কনা উচিৎ। তাছাড়া তিলের তেল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অসুখ হতে সৃবৎম উতস। তিল এর সঙ্গে কালোজিরা টিকে বাঁটা করলে তার ব্যাপক হাড়ে বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়। কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা।

প্রিয় পাঠক বন্ধু, আমাদের আজকের এই উক্ত পোস্ট টি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করার মাধ্যমে আপনি আপনার মতামতটি জানাবেন। এবং একটি শেয়ার দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। যাতে সবাই দেখতে পায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url