খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা - আসল বা খাঁটি খেজুরের গুড় চেনার উপায়?

খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যানার পরে খেজুরের গুড় খেলে আপমান বিভিন্ন সমস্রার সমাধান হবে। এবং আপনি খেজুরের গুড়ের পুষ্টি উপাদান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত যানতে পারবেন।
খেজুরের-গুড়ের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
খেজুরের গুড়ে রয়েছে নানা উপাদান যা আমাদের শরিরের অনেব উপকার ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করে। তবে আমাদের আমাদের আসল খেজুরের গুড় খেতে হবে। তাই আসল খেজুরের গুড় চিনতে উক্ত পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

খেজুরের গুড়ের পুষ্টি উপাদান সমূহ হলো খেজুরের রস থেকে খেজুরের গুড় তৈরি করা হয়। বাংলার অগ্রাণ মাস হতে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ করে এই রস করে জ্বাল বা উত্তাপে ঘন করে শক্ত দানা গুড়ে পরিনত করা হয়। খেজুরের রস যেমন সুস্বাদু তেমনি রস থেকে তৈরি হওয়া খেজুরের গুড়। পিঠা সহ শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু পিঠা, তালের পিঠা, খেজুর গুড়ের জিলাপি, মিষ্টি, খেজুরের গুড়ের চা, মুড়ির খেজুরের গুড়, পায়েস ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও গুড় তৈরি অনেক খাবার ব্যবহার করা হয় খেজুরের গুড়। অন্য কোন গুড়ে, স্বাদ তেমন ভালো লাগে না।

কিভাবে খেজুরের গুড় তৈরি হয়

খেজুর গাছ থেকে খেজুরের রস নিচে নামিয়ে বড় একটি পাত্রে জ্বাল দেয়া হয়। কঠিন জ্বাল দিয়ে রস গুলোকে ঘন ও শক্ত করে নেয়া হয়। তাই এক পর্যায়ে রস ঘন হয়ে গুড়ে পরিণত হয়। তারপর গুড়গুলোর জ্বাল শেষ হলে গুড়ের তলানিতে সাদা অংশ থাকে তা গুড়ের সাথে মেশানো হয়। এই পদ্ধতিকেই বলা হয় খেজুরের গুড়। 
তারপর নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘনও পরে খেজুরের গুড়ে পরিনত হলে তা বিভিন্ন আকৃতির পাত্রে ঢেলে বিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের গুড় তৈরি করা হয়। বাজারে গোল বা লম্বা আয়তাকার আকৃতির পাটালি গুড় এবং তরল খেজুরের গুড় বা ঝোলা গুড় পাওয়া যায়।

খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা

খেজুর গুড় হল অপরিশোধিত চিনি এক প্রকার যা নির্দিষ্ট খেজুরের রস থেকে তৈরি করা হয়। একটি গভীর বাদামী রঙ ও একটি মিষ্টি, গুড়ের মত গন্ধ আছে। বিশ্বের অনেক জায়গায় খেজুরের গুড় একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি, এবং এটি পরিশোধিত চিনির প্রাকৃতিক বিকল্প হিসেবে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

খেজুরের গুড়ের উপকারীতা ও অপকারীতা ক্ষমতা কম থাকলেও ভুলের কারণে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে লিখিত আলোচনা করা হলো-

খেজুরের গুড়ের উপকারিতাঃ

শীতকাল শুরু হতেই সকলের ইচ্ছা শুরু হয় খেজুরের গুড় খাওয়া চিন্তা। খেজুর গুড়ে অনেক সম্ভাব্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, কারণ এটি ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস। খেজুরের গুড় শক্তির মাত্রা বাড়াতে, হজমের উন্নতি করতে ও রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে।  গুড়ের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
  • খেজুরের গুড় খেলে দেহের দীর্ঘক্ষণ শক্তি বজায় থাকবে।
  • নিয়মিত গুড় খেলে আপনার খাবার তাড়ািতাড়ি হজম হয়ে যাবে এবং বদহজম নামক সমস্যা দূর করে।
  • খেজুরের গুড়ের ভিতরে থাকা ঔষধি উপাদান গুলো নানা সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
  • শীতকালে বিভিন্ন সমস্যা শুকনো কাশি, ঠান্ডা লেগে যাওয়া, অ্যাজমা প্রতিরোধে খেজুরের গুড় খুব উপকারি কাজ করে। তাছাড়াও জমে থাকা শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
  • পটাশিয়াম খেজুরের গুড় ও শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে পানির প্রবাহ ঠিক রাখে এবং এর আশপাশা এগুলো খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণের করে থাকে।
  • খেজুরের গুড়ের মধ্যে অনেক পরিমাণে প্রয়োজনিয় পুষ্টিগুণ উপাদান আছে। যা খেজুরের গুড়ে থাকা আয়রন শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রাকে ঠিকঠাক রাখে এবং রক্তশূন্যতা দূর করে থাকে।
  • মেয়েদের পিরিয়ড চলা  কালীন পেটের ব্যাথা দূর করার জন্য খেজুরের গুড় অনেক বেশি কার্যকরী।
  • শরীরের মধ্যে থেকে টক্সিন নামক ব্যাকটেরিয়া বের করে শরীর সুস্থ রাখতে খেজুরের গুড় খুব কার্যকর হিসাবে ধরা যায়।
  • খেজুর গুড় শীতকালে শরীরকে গরম রাখতে অনেক দিক থেকে সাহায্য করে। এর ফলে খেজুরের গুড় যদি নিয়মিত সেবন করেন তাহলে যে কোন ধরনের আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে আপনাকে মোকাবেলা করতে অনেক দিক থেকে সাহায্য করে।
  • খেজুরের গুড়ের ভিতরে থাকা কার্বোহাইড্রেট রক্তের সাথে দ্রুত মিশে যেতে পারে আবার রক্তে বেশিক্ষণ থাকতে পারে।

খেজুরের গুড়ের অপকারিতাঃ

খেজুরের গুড়ে অনেক গুণগত মান ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যা আপনার শরীরের জন্য অনেক দিক থেকে গুড় অনেক ক্ষতিকারক হতে পারে। এটি খাবারের স্বাদ বেমি কিন্তু গুড়ের মধ্যে অনেক ধরনের উপাদান রয়েছে যা কিছু কিছু মানুষের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকারক হয়ে থাকে। যথা-
  • খেজুর গুড় হচ্ছে এক প্রকার অপরিশোধিত চিনি যা খেজুরের রস থেকে তৈরি করা হয়েছে। যা মিষ্টি হিসাবে ধরা যায়। এবং কোন কোন লোক ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত করে থাকে। খেজুর গুড়ের ভিতরে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি নামক উৎস হিসাবে বিবেচনা করা যায়।
  • খেজুরের গুড়ে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে এবং দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। এতে ওজন বৃদ্ধি ও রক্তে শর্করার সমস্যাও হতে পারে।
  • খেজুরের গুড় বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে তা ক্ষতিকর হিসেবে ধরা হয়েছে। এটি খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া নামক সমস্যা। অত্যাধিক খেজুরের গুড় খেলে লিভার এবং কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
  • খেজুরের গুড় খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে যার মধ্যে একটি হলো এর উচ্চ পুষ্টিগুণ এবং হজমের সমস্যায় সাহায্য করার মতো ক্ষমতা।
  • খেজুর গুড় খাওয়ার সাথে যুক্ত কিছু সম্ভাব্য কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। এই ঝুঁকিগুলির মধ্যে রয়েছে অনেক।
  • দাঁতের ক্ষয় বা গহ্বরের বর্ধিত ঝুঁকি। সেইসাথে ডায়াবেটিস নামক ঝুঁকি। অতএব, আপনার খাদ্য তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করবেন কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খেজুরের গুড় খাওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা গুলো বিবেচনা করা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

খেজুরের গুড়ের পুষ্টি উপাদান সমূহ

খেজুর ভিটামিন ও মিনারেলের সমৃদ্ধ একটি চমৎকার উৎস। যা একটি খাদ্য তালিকাগত পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন বা তামার একটি উৎস।
২৫০ গ্রাম খেজুরে রয়েছে-
  • ভিটামিন-এ: রেফারেন্স দৈনিক গ্রহণের (RDI) ১৫%
  • ভিটামিন B6: RDI এর ৩৫%
  • ভিটামিন সি: RDI এর ৭.৫%
  • ফোলেট: RDI এর ১৮%
  • প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড: RDI এর ১২.৫%
  • ম্যাঙ্গানিজ: RDI এর ১৮%
  • ক্যালোরি: ৮৫০ মিলি

খেজুরের গুড় সংরক্ষণের উপায়

খাটি খেজুরের গুড় খুব কম সময়ের জন্য পাওয়া যায়। শীতকালে খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে খাটি খেজুরের গুঁড় তৈরি হয়। যার কারনে খাটি খেজুরের গুঁড় পাওয়া যায়। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে গুঁড় সংরক্ষণ করে থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুকিপূর্ন একটি বস্তু। গুড় কে বেশি দিন সংরক্ষন করতে কিছুদিন পরপর রোদে দিয়ে তা ঠান্ডা করে প্লাস্টিকের একটি বক্সে রাখতে হবে। সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা না হলে গুড়ের উপর ফাঙ্গাস আক্রান্ত হতে পারে। 

গুড় ফাঙ্গাস মুক্ত করে ব্যবহার করা যায়। ফাঙ্গাস মুক্ত করার জন্য, ফাঙ্গাস যুক্ত গুড় কে প্রথমে ভালো করে ঘুয়ে তা রোদে শুকাতে দিতে হবে। গুড় রোদে দেয়া সম্ভব না হলে কিছুদিন পরপর একটি পাত্রে করে গুড় আগুনে জাল দিয়ে গরম করতে হবে গুড় বুদবুদ তুলতে হবে। এবং পরে তা ঠাণ্ডা করতে হবে। ঠান্ড ও স্বাবাবিক হলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার একটি প্লাস্টিক বক্সে অথবা ব্যাগ বা পলিথিনে রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে এতে দর্ঘি সময় ধরে সংরক্খন করা যায়। 
তবে সব চেয়ে ভালো হবে যদি টিস্যু পেপার দিয়ে গুড়কে ভালো করে মুড়িয়ে একটি প্লাস্টিক বক্সে অথবা ব্যাগ বা পলিথিনে রেখে ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারবেন। খেজুরের গুড়ের পুষ্টি উপাদান সমূহ এতে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত গুড় ভালো থাকবে। রোদে বা ফ্রিজে রাখা সম্ভব না হলে গুড় পরিস্কার করে শুকনো কাচের পাত্রে অথবা চীনামাটির পাত্রে সংরক্ষণ করা যাবে এতে গুড় দীর্ঘ দিন ভাল থাকবে।

সেই কারনে আমারা যদি খেজুরের গুড় কিনি তাহলে হাতে পাবার পর সেটি প্রথমে রোদে দিয়ে শুকিযে নিবেন। এরফলে বেশি দিন সংরক্ষন করতে পারবেন। গুড় ঠান্ডা করে পরিষ্কার এবং শুকনো টিস্যু পেপার দিয়ে মুড়িয়ে তা প্লাস্টিক বক্সে বা পলিথিনে এবং জিপলক ব্যাগে করে ডিপ ফ্রিজে রাখুন এতে আপনার গুড় বালো থাকবে। আর আপনি গুড় খাবার ৩ ঘন্টা আগে ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করে ব্যবহার করুন।

আসল বা খাঁটি খেজুরের গুড় চেনার উপায়

  • ভেজাল খেজুরের গুড়রেত কোন স্বাদ বা গন্ধ থাকে না।
  • বর্তমানে অনেক ব্যবসায়ী কিছু কেমিক্যাল ব্যবহার করে যার কারনে আসল গুড চেনার বা বুঝার উপায় নেই এটি ভেজাল না আসল।
  • খাটি খেজুরের গুড় গাঢ় বাদামি রঙের হয়। তবে হলুদ রং হলে বুঝতে হবে রাসায়নিক কিছু কেমিকেল মেশানো হয়েছে।
  • ভেজাল দানা গুড় চকচক করে বা গুড়ের সঙ্গে কৃত্রিম চিনি মিশিয়ে দানা তৈরি করলে সেটা খুব শক্ত হয়। তাই আসল খেজুর গুড়ের দানা চকচক করে না।
  • ভেজাল গুড় রসাল থাকে না ও দানার রং কিছুটা সাদা হয়। তাছাড়াও গুড়ে হাইড্রোজ, ফিটকিরি, কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা হলে দানার রং সাদা ও অনেক শক্ত হয়।খাঁটি খেজুরের গুড়ের দানা কালচে লাল এবং নরম ও রসাল হয়। অনেক সময় দানার ওপরের অংশ কিছুটা শক্ত হয়, কিন্তু ভেতরটা রসাল হয়ে থাকে।
  • পুরনত বা ভেজাল গুড়ের স্বাদ নোনটা হয় ও অতিরিক্ত জ্বাল দেওয়ার ফলে তিতা হয়।
  • কেনার সময় চেখে নিলে যদি স্বাদ নোনটা থাকে তাহলে তাতে কিছু কেমিকেল মেশানো হয়েছে। এই ধরনের গুড় যত পুরনো হবে লবণের মাত্রার স্বাদও তত বেশি মনে হয়। দেখবেন যে তার কিছু অংশ স্ফটিকের মতো কিনা। যদি গুড় এর মধ্যে ফটিকের মত অংশে থাকে তাহলে বুঝতে হবে গুড়ে মিষ্টি বাড়ানোর জন্য কেমিকেল মেশানো হয়েছে।
  • অনেক সময় দানা গুড়ে যদি আঙ্গুল দিয়ে ঠোকা দেয়া হয় তবে শব্দ করলে তা ভেজাল গুড় হিসাবে মনে করা হবে না। কারন অসল প্রিমিয়াম খেজুরের গুড় শব্দ হয় না।

লেখকের মন্তব্য

খেজুরের রস দীর্ঘসময় রেখে দিলে ফলে তা নষ্ট হয়ে যায়। খেঁজুরের রস থেকে তাড়ি এবং দেশী মদ তৈরি করা হয়। প্রথমে গাছ থেকে নামিয়ে আনা খেজুরের রস ছেকে জ্বাল দেয়া হয়। এক সময় রস ঘন হয়ে ঝোলা গুড়ে পরিণত হয়। দানা গুড় তৈরি করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘন করার পরে তা বিভিন্ন পাত্রে ঢেলে দেয়া হয়। 

বাংলাদেশের প্রায় সকল অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে খেঁজুরের গুড় তৈরি করা হয়। নির্দিষ্ট কিছু স্থানের গুড় তৈরি করা সক্ষম হয়েছিল। খেজুরের গুড়ের পুষ্টি উপাদান সমূহ বিভিন্ন অঞ্চলে দানা, ঝোলা এবং নলেন গুড় ইত্যাদি। এসব গুড় দেকতে পাওয়া যায়।

প্রিয় পাঠক, আমাদের এই উক্ত পোস্ট আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা কমেন্টের মাধ্যমে যানাবেন। এবং একটি শেয়ার দিয়ে আপনার বন্দুদেরও জানার সুযোগ করে দিবেন যাতে তারা আপনার দ্বারা উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url