মুনাফিকের আলামতসমূহ - মুনাফিক ও কাফিরের মধ্যে পার্থক্য - মুনাফিকরা কাফির কি-না?

প্রিয় পাঠক বন্ধু, আপনি আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন মুনাফিকের আলামতসমূহ! মুনাফিক ও কাফিরের মধ্যে পার্থক্য! এবং মুনাফিকরা কাফির কি-না? এছাড়াও আরো ইসলামিক অনেক তত্ব জানতে পারবেন।
মুনাফিকের-আলামতসমূহ-মুনাফিক-ও-কাফিরের-মধ্যে-পার্থক্য
খাঁটি মুনাফিক নিঃসন্দেহে কাফির এবং চির জাহান্নামি। তারা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করবে। সুতরাং জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য মুমিনের উচিত হচ্ছে, মুনাফিকি স্বভাব পরিহার করা।

ভূমিকা

নিফাক মানব মর্যাদা ও মূল্যবোধ বিরোধী কাজ। আল্লাহ তাআলা মানুষকে যে সম্মান ও শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন নিফাক তার সম্পূর্ণ বিরোধী। এতে মানবতার চরম অপমান হয়। মুনাফিকরা ইসলাম ও মুসলিমদের চিরশত্রু। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তাদের স্বরূপ জানা আবশ্যক। নিচে প্রশ্নালোকে মুনাফিকের আলামত সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

মুনাফিকরা কাফির কি-না? মানব চরিত্রের একটি মারাত্মক ব্যাধি মুনাফিকি। উপরোল্লিখিত স্বভাব যার মধ্যে পাওয়া যাবে, সে মুনাফিক হিসেবে পরিগণিত হবে। সুতরাং আমাদের উচিত এসব মন্দ স্বভাব সম্পূর্ণভাবে পরিহার করা।

মুনাফিকের আলামতসমূহ

উপর্যুক্ত দুটি হাদিস থেকে মুনাফিকের যে সমস্ত লক্ষণ পাওয়া যায়, তা হলো-
১. কথা বলার সময় মিথ্যা বলা।
২. কারও সাথে চুক্তি করলে তা ভঙ্গ করা।
৩. কাউকে প্রতিশ্রুতি দিলে ঐ প্রতিশ্রুতির বিপরীত কাজ করা।
৪. আর ঝগড়ার সময় অশালীন ও মন্দ কথা বলা।

এছাড়াও কুরআন, হাদিস ও ইতিহাসের আলোকে মুনাফিকের অন্যান্য যেসব লক্ষণ পাওয়া যায়, তা নিম্নরূপ-
১. কপট বিশ্বাসীঃ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে-وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ مَنَّا بِاللهِ وَبِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَا هُمْ بِمُؤْمِنِينَ অর্থাৎ, মানুষের মধ্যে কতিপয় এমন লোকও রয়েছে যারা বলে যে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস করি। অথচ তারা আদৌ বিশ্বাসী নয়। (বাকারা- ৮)

২. ধোঁকাবাজঃ মুনাফিকরা মনে করে যে, তারা আল্লাহ, তাঁর রসুল (স) ও মুমিনদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারাই ধোঁকা খাচ্ছে। মহাগ্রন্থ আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ”তারা আল্লাহ ও বিশ্বাসীদের ধোকা দিতে চায়, তবে কার্যত তারা নিজেদেরকেই ধোকা দেয়, যা তারা বুঝতে পারে না”।(বাকারা- ৯)

৩. বিপর্যয় সৃষ্টিকারীঃ গোপন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুনাফিকরা সমাজে বিপর্যয় সৃষ্টি করে থাকে। অথচ এ ব্যাপারে তাদেরকে যখন বলা হয় যে, তোমরা দুনিয়াতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না, তারা তখন বলে, আমরা শান্তিকামী। প্রকৃতপক্ষে তারাই অশান্তি সৃষ্টিকারী। মহাগ্রন্থ আল- কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- 
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ قَالُوا إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ. অর্থাৎ, যখন তাদেরকে বলা হয় তোমরা পৃথিবীতে বিবাদ সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, "আমরা তো কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই”। (বাকারা- ১১)

৪. নির্বোধ ও অজ্ঞঃ মুনাফিকদের খাঁটিভাবে ইমান আনতে বলা হলে তারা মুখের উপর বলে দেয় যে, আমরা কি নির্বোধের মতো অন্ধভাবে ইমান আনব? বস্তুত তারাই চরম নির্বোধ, কিন্তু এতটুকু তারা বুঝতে পারে না। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে-

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُوا كَمَا أَمَنَ النَّاسُ قَالُوا أَنُؤْمِنُ كَمَا أَمَنَ السُّفَهَاءُ أَلَا إنَّهُم هُمُ السُّفَهَاءُ وَلَكِنْ لَّا يَعْلَمُونَ.  অর্থাৎ, আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যরা যেমন ইমান এনেছে তোমরাও তেমনি ইমান আন, তখন তারা বলে, "আমরা কি বোকাদের মতো ইমান আনতে পারি? জেনো রেখো, আসলে তারাই বোকা তবে তারা তা জানে না”। (বাকারা- ১৩)

التَّفَاقُ الْأَكْبَرُ -এর পরিচয়

النِّفَاقُ الْأَكْبَرُ তথা বড় ধরনের কপটতা হলো, মানুষ বাহ্যিকভাবে আল্লাহ তাআলা, ফেরেশতা, কিতাবসমূহ, রসুলগণ এবং পরকাল বিশ্বাস করবে, আর গোপনে উক্ত বিষয়সমূহের সবকটি বা কোনো একটিকে অস্বীকার করবে।

মুনাফিকরা কাফির কি-না?

মুনাফিকরা কাফির কি-না! এ ধরনের কপট বিশ্বাসী তথা খাঁটি মুনাফিক কাফির কি-না, এ বিষয়ে ওলামায়ে কিরামের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। যেমন-

১. অধিকাংশের অভিমতঃ অধিকাংশ মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকিহ বলেন, যারা বাহ্যিকভাবে ইসলাম প্রকাশ করে; কিন্তু আকিদা সম্পূর্ণরূপে খারাপ; এরা কাফিরদের চেয়েও নিকৃষ্ট। কারণ কাফিররা হলো প্রকাশ্য শত্রু, আর মুনাফিকরা হলো অজ্ঞাত শত্রু; যাদের থেকে বেঁচে থাকা দুষ্কর। কুরআন ও হাদিসের ভাষায় এরাই হলো- مُنَافِقُ خَالِصٌ : নিঃসন্দেহে এরা কাফির এবং চির জাহান্নামি।

২. ইমাম নবুবির অভিমতঃ ইমাম নবুবি (র)-এর মতে, হাদিসে كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا দ্বারা مُنَافِقُ فِي الْعَمَلِ উদ্দেশ্য। এখানে مُبَاعَة বোঝানোর জন্য خَالِصًا শব্দটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর مُنَافِقُ خَالِص তথা প্রকৃত মুনাফিক নিঃসন্দেহে কাফির।

৩. আহলে সুন্নাতের অভিমতঃ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মতে, خَالِضٌ مُنَافِقٌ হলো- مُرْتَكِبُ الْكَبِيرَةِ -এর ন্যায় যদিও তারা نِفَاقٌ اِعْتِقَادِقٌ করে থাকে।

৪. কতিপয়ের অভিমতঃ কেউ কেউ বলেন, মুনাফিকরা যদি তাদের মুনাফিকি কাজকে হালাল মনে করে, তবে তারা কাফির হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

কাফির ও মুনাফিক এর মধ্যে প্রকারভেদগত পার্থক্য

নিচে মুনাফিক ও কাফিরের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হলো-
১. کَافِرْ-এর প্রকারভেদঃ دَلَائِلُ التَّوْحِيدِ গ্রন্থকার মুহাম্মদ ইবনে সোলায়মান আত তাইমি বুলেন, কাফির দু'প্রকার। যথা- 
  • كَفْرِّ يَخْرُجُ مِنَ الْمِلَّة  তথা এমন কুফর, র, যা ধর্ম থেকে বের করে দেয়।
  • كَفْرٌ لَا يَخْرْج  مِنَ الملة  তথা এমন কুফর, যা ধর্ম থেকে বের করে দেয় না।
২. مُنَافِقٌ -এর প্রকারভেদঃ مُنَافِق দু'প্রকার। যথা-
  • مُنَافِقُ فِي الْإِعْتِقَادِ তথা আকিদাগত মুনাফিক। এরা বিশ্বাসের দিক থেকে মুনাফিক। অর্থাৎ, যারা কোনো স্বার্থ হাসিল করার জন্য মুখে ইসলাম প্রকাশ করে আর অন্তরে নিফাকি গোপন রাখে। এদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন- إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ.
  • مُنَافِقُ فِي الْعَمَلِ তথা আমলগত মুনাফিক। এরা কর্মক্ষেত্রে মুনাফিক। অর্থাৎ, যাদের আমলের সাথে ইসলামের দিক নির্দেশনার কোনো মিল নেই। তবে এরা ইসলাম থেকে খারিজ নয়।

মুনাফিকের লক্ষণসমূহ

উপর্যুক্ত দুটি হাদিস থেকে মুনাফিকের যে সমস্ত লক্ষণ পাওয়া যায়, তা নিম্নরূপ-
  • কথা বলার সময় মিথ্যা বলা।
  • কারও সাথে চুক্তি করলে তা ভঙ্গ করা।
  • কাউকে প্রতিশ্রুতি দিলে ঐ প্রতিশ্রুতির বিপরীত কাজ করা।
  • আর ঝগড়ার সময় অশালীন ও মন্দ কথা বলা।

মুনাফিকের স্বরূপ 

আরবি مَنَافِقُ শব্দটি اِسْمٌ فَاعِلِ-এর وَاحِدٌ مُذَكَّرْ-এর সিগাহ। যা মূলধাতু হতে নির্গত। আভিধানিক অর্থ- কপটতা, ভণ্ডামি, দ্বিমুখী ভাব, ধোঁকাবাজি, প্রতারণা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়- অন্তরে কুফর ও অবাধ্যতা গোপন করে মুখে ইসলাম স্বীকার করার নাম হলো নিফাক। যে এরূপ কাজ করে তাকে বলা হয় মুনাফিক।

মহানবি (স) মুনাফিকের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন- ايَةُ الْمُنَافِقِ ثَلَاثَ إِذَا حَدَثَ كَذِبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ.অর্থাৎ, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি, সে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন প্রতিশ্রুতি প্রদান করে তখন তা ভঙ্গ করে, আর যখন তার নিকট কিছু গচ্ছিত রাখা হয় তখন সে খিয়ানত করে।

সমাজ জীবনে মুনাফিকি আচরণের কুফল

আমাদের সামাজিক জীবনে মুনাফিকি আচরণের কুফল অত্যন্ত মারাত্মক এবং মানবতা বিধ্বংসী। নিচে এর কুফলের কয়েকটি দিক তুলে ধরা হলো। যেমন-
  • মুনাফিকি আচরণ তথা মিথ্যাচার, খিয়ানত, ঝগড়া, অশ্লীল উক্তি, ওয়াদা ভঙ্গ ইত্যাদি বিষয় স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক জীবনে অশান্তি ডেকে আনে।
  • নিফাক সামাজিক কাঠামো ও বন্ধন ধ্বংস করে দেয়।
  • সামাজিক শৃঙ্খলা ও নীতিবোধ ধ্বংস করে কোন্দল উসকিয়ে দেয়।
  • মানুষের পারস্পরিক সৌহার্দ, ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবীয় মূল্যবোধকে বিনষ্ট করে সমাজজীবনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে।
  • জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করে।
  • ধর্মের প্রভাব বিনষ্ট করে।
  • নিফাকি আচরণ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের হুমকি হিসেবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
  • নিফাক একজন মানুষের নৈতিক চরিত্রের ভিত্তিকে উপড়ে ফেলে।
  • নিফাকি আচরণ কখনো কখনো রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
  • নিফাক এত বেশি জঘন্য দোষ, এটি একটি বিশাল সমাজব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য একাই যথেষ্ট। যেমন বনি ইসরাইলের সামেরি-এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
  • যথোকি। চরিত্রের কারণে ইসলামের প্রচার-প্রসার ও প্রতিষ্ঠার পথ বুদ্ধ হয়ে যায়। কারণ এদের লোক দেখানো আচরণ অন্যদের মনে প্রভাব বিস্তার করে। ফলে অন্যরাও ইসলাম গ্রহণ করতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পতিত হয়।

সমাজ জীবনে মুনাফিকি আচরণ পরিহারের গুরুত্ব

আমাদের সামাজিক জীবনে মুনাফিকি আচরণ পরিহারের গুরুত্ব অত্যধিক। যেমন-

১. কলুষমুক্ত সমাজ গঠনে সহায়তাঃ الْكِذَّبُ أَمَّ الذُّنُوبِ অর্থাৎ, মিথ্যা সকল পাপের মূল। মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। মিথ্যাবাদী সমাজে ঘৃণার পাত্র। তারা কারোরই আস্থাভাজন হয় না। মুনাফিকরা চরম মিথ্যাবাদী। মহান আল্লাহ বলেন- إِنَّ الْمُنَافِقُونَ لَكَذِبُونَ . অর্থাৎ, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদি। মুনাফিকরা মিথ্যার দ্বারা সমাজকে কলুষিত করে রাখে। ফলে তারা সমাজে লজ্জিত ও অপমানিত হয়। সুতরাং আমাদের উচিত মিথ্যা থেকে বিরত থেকে কলুষমুক্ত সমাজ গঠনে সহায়তা করা।

২. প্রতিশ্রুতি রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করেঃ قَالَ الرَّسُولُ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ সুতরাং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা মারাত্মক অন্যায়। মুনাফিকরা ওয়াদা ভঙ্গ করে সমাজে কারও আস্থাভাজন হতে পারে না। ফলে তারা সমাজে ঘৃণিত হয়; এবং তাদের এ আচরণে সমাজ কলুষিত হয়। হাদিসটি আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করে এবং সুন্দর সমাজ গঠনে অপরিসীম অবদান রাখে।

৩. আমানতদার হবার শিক্ষাঃ আমানতের খিয়ানত একটি গর্হিত কাজ। মুনাফিকরা আমানতের খিয়ানত করে সামাজিকভাবে সকলের কাছে হেয়প্রতিপন্ন হয়। তাদের সমাজে কারোর কাছে কোনো স্থান থাকে না। মুনাফিকরা যা প্রকাশ করে অন্তরে থাকে তার বিপরীত। যার ফলে তাদের পরিণতি ভয়াবহ। হাদিসটি আমাদেরকে আমানতদার হবার শিক্ষা দেয়। ফলে পরস্পর সামাজিকভাবে শ্রদ্ধাশীল হয়ে ওঠে।

শেষ কথা

নিফাক মানবচরিত্রের জঘন্য ও ঘৃণ্য আচরণ। এটি দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র, বিশেষত ইসলামি রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। মুনাফিক ও কাফিরের মধ্যে পার্থক্য! এর ফলে সমাজে নানা ধরনের ফিতনা ফাসাদ ও অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়। নিফাকের মাধ্যমে মুনাফিকরা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করে থাকে। তাই মুনাফিকি আচরণ পরিহার এবং মুনাফিকদের কবল থেকে মুক্ত থাকা ইমানের অপরিহার্য দাবি। 

প্রিয় পাঠক, আজকের আমাদের এই পোস্ট দ্বারা যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে একটি কমেন্ট করে আপনার মতামত যানাবেন। এবং একটি শেয়ার দিয়ে সকলকে পড়ার সুযোগ করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url