রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত - রমযানের ফজিলত
প্রিয় পাঠক আপনি যদি রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত, বা রমযানের ফজিলত, অথবা রমযানের আমল সম্পর্কে কিছু তত্ব জানতে চান তাহলে উক্ত পোস্টটি আপনার জন্য। তাছাড়াও উক্ত পোস্টে থাকবে রোযার অস্তিত্ব, রমযানের ফজিলত, রমাযান শব্দের অর্থ, যুগ যুগ ধরে রোযা পালন প্রক্রিয়া, বিভিন্ন ধর্মীয় রোযা পালন, রোযা কখন ফরয করা হয়েছে এবং আরো কিছু তত্ব জানতে পারবেন।
ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে। রমযানের ফজিলত, যেমনি ভাবে তোমাদের আগে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত রমযানের আমল, যাতে তোমরা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার খোদাভীরু হতে পার।
সূচিপত্রঃ
রোযা শব্দের বিশ্লেষণঃ
কুরআন কারীমের মধ্যে অনেক জায়গায় ’সিয়াম’ শব্দটি এসেছে। রমযানের ফজিলত, এটি হলো বহুবচন আর এর একবচন হলো ’সাওম’। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত যার আভিধানিক অর্থ হলো- বিরত থাকা। অথএব, কোন ব্যক্তি যদি কথা বলা ও পানাহার পরিহার করে, তাহলে সেই পরিহারের আভিধানিক অর্থ তার শাব্দিক তাকে রোযাদার বলে। রোযা হলো ফারসী একটি শব্দ। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত রমযানের আমল, রোযা এবং সাওমের অর্থ একি। রমযানের ফজিলত, একসময় আমাদের দেশে এবং এই উপমহাদেশে ফার্সী ভাষা ব্যপক হাড়ে প্রচলন ছিলো। আর এখন অধিক ফারসী শব্দে এর ব্যবহার যা আমাদের এই মাতৃভাষা বাংলার মধ্য দিয়ে বেশ প্রচলিত আছে।
সাওম অথবা রোযার আভিধানিক এবং পারিভাষিক অর্থ
আভিধানিক অর্থঃ রোযার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা।
পারিভাষিক অর্থঃ শরীয়তের পরিভাষায় এটিকে সাওম বলা হয়। এই সাওম সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযা থাকার নিয়ত করা। এবং সারাদিন সকল প্রকার পানাহার এবং নফসের চাহিদা পূরণ করা হইতে বিরত থাকার নামই হলো রোযা।
রোযার অস্তিত্ব
যে ব্যক্তি সারাদিন সকল প্রকার পানাহার এবং নফসের চাহিদা পূরণ করা হইতে বিরত থাকার নামই হলো রোযা। রমযানের ফজিলত, যা এর পূর্বেও করা হতো তবে সেইটা অন্য রকমভাবে। আর যে ব্যক্তি এই কাজগুলো পালন করল, তার দ্বারা রোযার সম্পাদন কাজ সম্পূর্ন হয়ে গেল। রমযানের আমল, অর্থাৎ সে তার রোযা সম্পর্কে অস্তিত্ব ঙ্গান পেয়ে গেলো। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত রমযানের ফজিলত, যেমনি ভাবে মানুষ তাদের শরীরের পূর্ণতা এবং সুস্থতার জন্যে এমনকি নানা রকম ভাবে বিভিন্ন বিষয় এর পরিহার করা। তেমনি ভাবেই রোযার অস্তিত্ব এর জন্যেই এর কিছু বিষয় সম্পর্কে পরিহার করা উচিৎ।
রমাযান শব্দের অর্থ
আরবী ভাষায় রমাযান শব্দের মূল অর্থ হলো- জ্বালিয়ে দেয়া, ঝলসে দেয়া। এই বছর প্রচন্ড শীত পড়েছে। এবং সবকিছুই ভষ্মীভূত করে দিয়েছে। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত রমযানের আমল, রমযানের ফজিলত, তবে এই সময় কিছুটা পরিমান গরোম সেই কারনেই আল্লাহ তায়ালা এর নাম রেখেছেন রমাযান। তবে এর পেক্ষাপটে উলামায়ে কেরামগণ বলেছেন যে, এই মাসের নাম রমাযান বলা হয় এই জন্য যেমন, এই মাসে মহান আল্লাহ তায়ালা স্বীয় ভাবে নিজ বান্দাদের গোনাহ সমূহ ভষ্মিভূত করে দিয়েছেন।
যুগে যুগে রোযা পালন প্রক্রিয়া
ইতিহাস পর্যালোচনা করা হলে দেখা যায়! পৃথিবীরতে প্রায় সকল ধর্মতেই রোযার অস্তিত্বকে খুজে পাওয়া যায়। রমযানের ফজিলত, কিন্তু তাদের রোযা পালন করতে বা এর পদ্ধতি গুলো কিছুটা হলেও ব্যতিক্রম অনুভূত রয়েছে। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত এতে ইসলাম ধর্ম ছাড়া দুনিয়ার সকল ধর্মের অনুসারী আছে। তবে তারা তাদের ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে রোযা পালন করে। রমযানের আমল, যেমনটা আমাদের ক্ষেত্রে বিশেষকরে এর উল্লেখ যোগ্য হলো- ইহুদী, খৃষ্টান, হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মের নাম।
- বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে কয়েকটি পর্বে রোযা রাখার জন্য নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। তবে এত করে সব ধরনের হিন্দু ধর্ম লম্বীদের নিকট তা গ্রহণযোগ্য থেকে শুরু করে সার্বজনীন পর্ব গুলো বৈষ্ণর এর নাম দিয়ে সেটিকে অনুষ্ঠিতএ করা হয়েছে।
- আল্লামা সাইয়েদ সুলাইমান তিনি তার বিখ্যাত একটি সীরাত বা গ্রন্থের ভিতরে লিখেছেন যে, প্রাচীন মিসরী দেরকে ধর্মীয় ভাবে এর অনুষ্ঠান বা রোযার প্রচলন পাওয়া গিয়েছে।
- পারস্পরিক ধর্ম গুলোর ভিতরে রোযার উল্লেখ অনেক পাওয়া যায়। তবে এর অসাধারণ কিছু অনুসারী দের জন্যএটিকে ফরয করা হয়েছে।
বিভিন্ন ধর্মীয় রোযা পালন
ইহুদীদের ধর্মা লম্বীদের মাঝে এটি বিভিন্ন ভাবে উপলক্ষ্য করা হয়েছে সিয়ামের দ্বারা। রমযানের আমল, যখনি কারো কোন বিপদ অথবা দুর্যোগ এর আশংকা দেখা দেয় ঠিক তখনি কিছু মানুষ ধর্মীয়ভাবে এটি উপবাস্তুত হিসেবে পালন করে। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত রমযানের ফজিলত, তাছাড়া যখনি মনে করা হতো আল্লাহ তায়ালা বনী ইসরাঈলদের উপর রাগান্নিত হয়েছেন। অথবা সেদেশে যখনি কোন রকম মহামারী রোগ দেখা দিতো।
এই জাতীয় পর্যায়ে এটির যখনি কোন দুর্যোগ দুর্ভিক্ষ নেমে আসতো ঠিক তখন কিছু ইহুদী ধর্ম ধর্মবীদরাও সিয়াম বা রোযা পালন করতো। রমযানের আমল, রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত ও রমযানের ফজিলত এটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ছিল তাদের নিকট আশুরার রোযা সর্বসৃষ্ঠ। ইহুদীদের মতে তারা বর্ষপঞ্জীর ঠিক সপ্তম মাস এর দশম দিনে তারা এই রোযাটি পালন করে।
খৃষ্টানদের দাবী
খৃষ্টান ধর্মেও বেশ সিয়াম বা রোযার প্রচলন দেখা যায়। যেমন হযরত ঈসা (আঃ) এর নবুয়্যত প্রাপ্তির পূর্বে ঠিক চল্লিশদিন ব্যাপী তিনি রোযা পালন করেছিলেন। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত রমযানের আমল, রমযানের ফজিলত, তবে নবুয়্যত প্রাপ্তির পর হযরত ঈসা (আঃ) নিজে সিয়াম পালনের জন্যে সুনির্দিষ্ট কোন বিধি-বিধান বলেননি। তিনি না বলে গেলেও গির্জায় ও চার্চের উপর তিনি দায়িত্ব ন্যস্ত করে যান। (এটি তাদের দাবী) তবে কুরআনে এটিকে মিথ্যা বলে গননা করা হয়েছে। এবং এটি কোন মুসলমান বিশ্বাস করেনা।
ইসলাম ধর্মে সিয়াম সাধনা
কুরআন কারীমে উল্লেখিত একটি সূরা বাকারা এই সূরা বাক্বারার ১৮৩ নম্বর আয়াতের দ্বারা একথা বুঝা যায় যা, সেক্ষেত্রে মহান রব্বুল আলামীন হতে নাযিলকৃত কিছু শরীয়তের ভিতরে সিয়াম বা রোযা ফরয করা হয়েছিলো যা আকোন সকলে আদায় করে থাকে।
সূরাটির অর্থ হলোঃ হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযাকে ফরয করা হয়েছে। ঠিক যেমনটা ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী গণদের উপর। রমযানের ফজিলত, যাতে করে তোমরা মুত্তাকী হতে পার। (সূরা বাকারা- ১৮৩)
এই আয়াত এর মধ্য দিয়ে তোমরা "তোমাদের পূর্ববর্তীগণদের উপর" এ কথাটি ব্যাপক। এটির দ্বারা হযরত আদম (আঃ) হইতে শুরু করে হযরত ঈসা (আঃ) এর সময় কাল পর্যন্ত সকল উম্মত এবং সকলে শরীয়তকে এর দ্বারা বুঝিয়েছেন। সুতরাং এর দ্বারা প্রমাণিত এই যে, নামায এর মতো রোযাকেও সকল উম্মতের উপর তা ফরয করা হয়েছে। রমযানের ফজিলতও রমযানের আমল রয়েছে।
রোযার ইতিহাস
সর্বপ্রথম রোযাকে সূচনা করা হয়েছিল হযরত আদম (আঃ) এর যুগে। আর হযরত আদম (আঃ) এর যুগে যেই রোযা পালন করা হতো তা হলো আইয়ামের দিনের রোযা। যা প্রত্যেক আরবী মাসে ১৩, ১৪, এবং ১৫ তারিখের দিনে এই পালন করেন। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত রমযানের আমল, তবে এটি তখন তখন ফরয করা ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটি নফল। এই প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে তা হযরত আদম (আঃ) হতে শুুরু করে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত প্রত্যিটি জাতিিএবং ধর্মের ভিতরে এই রোযার আস্তিত্ব কোন না কোনভাবে দেখতে পাওয়া যায়।
রোযা কখন ফরয করা হয়েছে
নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নবুয়্যত প্রাপ্তির ১৩ বছর পর সকলে মক্কাতেই সকল ইহুদি এবং মানুষদের আল্লাহ তায়ালার একত্ব বাদের পথে দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছিলো। রমযানের ফজিলত, এই প্রক্রিয়ায় অনেক দিন পর পর্যন্ত ঈমান এর কথা ও দেব-দেবীর পূজা ছেড়ে দেয়া ব্যতীত অন্য কোন রকম কোন হুকুম ছিল না। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত রমযানের আমল, এরপর থেকে ধীরে ধীরেই আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে হুকুম গুলো আসতে শুরু করলো। ইসলামের রোকন গুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ৫ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছিলো। এরপর একদিন নবীজ্বী মক্কা থেকে হিজরত মদীনাতে হিজরত করে গমন করেন। রমযানের ফজিলত, আর তখন সেইখানে আল্লাহ তা'য়ালার পক্ষ থেকে বিভিন্ন হুকুম গুলো নাযিল হওয়া শুরু করলো। আর সেই সবগুলো হুকুমের মধ্য দিয়ে অন্যতম হুকুম হলো রোযা।
আর এই রোযা রাখার ক্ষেত্রে যেহেতু কষ্ট নফসের উপর অনুভূত হয়েছে। আর তাই রোযাকে ইসলামের রোকন এর ভিতরে তৃতীয় স্তরে রাখা হয়। রমযানের আমল, ইসলামের এই বিধি-বিধান গুলোকে ফরয করার ক্ষেত্রে একটি লক্ষ্যণীয় বিষয় আছে আর তা হলো, প্রথমে ৫ ওয়াক্ত নামায ইবাদত হিসেবে ফরয করা হয়েছিলো। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত আর এই নামায এর পরেই যাকাত গুলোকে ফরয করা হয়েছিলো। রমযানের ফজিলত, এবং এই যাকাতের পর রোযাকেও ফরয করা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আশুরা অথবা মুহর্রম এর ১০ তারিখের সেই রোযা ফরয ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা আর নেই। রমযানের ফজিলত ও রমযানের আমল রয়েছে।
রমযান উপলক্ষ্যে রাসূল (সাঃ)-এর ভাষণ
সালমান ফারসী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে। তিনি বলেছেন, একদিন রাসূল (সাঃ) শাবান মাস এর শেষ তারিখে আমাদের উদ্দেশ্যে কিছু ভাষণ দেন। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত রমযানের ফজিলত, সেদিন ভাষণে তিনি বললেন, হে আমার উম্মত এবং মানব সকল! রমযানের আমল, এটি একটি মহান মাস। এবং এটি একটি কল্যাণ কর মাস যা তোমাদের উপর ছায়া বিস্তার করে। এটি এমন একটি মাস, এবং এতে এমন একটি রাত আছে। যা হাজার মাস অপেক্ষার চেয়েও বেশি উত্তম।
মহান আল্লাহ তা'য়ালা এই পুরো মাসের সকল দিনে রোযা দিয়েছেন এবং তা তোমাদের জন্য ফরয করেছেন। রমযানের আমল, এবং এই দিনের রাত্রিতে দিছু নামাজ দিয়েছেন এই নামাজ পড়াকে ওয়াজিব করেন। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত যেই সকল ব্যক্তি এই মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশাই একটি নফল কাজ করে সেই ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির সমান হয় যে ব্যক্তি অন্য কোন মাসে একটি ফরয কাজ করে।
আর যে ব্যক্তি এই মাস সমূহে একটি ফরয কাজ সম্পন্ন করে সে ঐ ব্যক্তির সমান হবে! যে অন্য মাসে ৭০ টি ফরয কাজকে সম্পন্ন করলো। ইহা একটি ধৈর্য্যের মাস। রমযানের আমল, রমযানের ফজিলত, আর ধৈর্য্য সমূহ এমন গুণ যেই গুনের প্রতিদান গুলো হলো জান্নাত। ইহা একটি পারস্পরিক সহানুভূতি সম্পূর্ন একটি মাস। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত এটি সেই মাস যেই মাস সমূহে মু'মিনের রিযিক গুলোকে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এই মাসে কোন ব্যক্তি যদি একজন রোযাদারকে ইফতার করায় এটি তার পক্ষে সকল গুনাহ সমূহ এর জন্য ক্ষমাস্বরূপ হয় এবং এর জন্য নিজেকে জাহান্নাম এর আগুন থেকে মুক্তির কারণ হয়। অবশেষে তাকে একটি পূর্ন রোযাদার ব্যক্তির সমান পরিমানে সওয়াব দান করা হয়। রমযানের আমল, রমযানের ফজিলত, কিন্তু রোযাদারের সওয়াব থেকে কোন রকম কোন সওয়ার কমানো হবে না।
তবে বর্ণনাকারী হতে বরিাণত তিনি বলেন, আমরা জিঙ্গেস করেছিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাঃ)! আমাদের মধ্যে প্রতিটি ব্যক্তি তো এমন সামর্থ্যন রাখেন না যাতে কাওকে খাওয়াবো, যা দ্বারা সে রোযাদার দের ইফতার করাতে পারেন? তখন নবী করিম (সাঃ) বলেন, আল্লাহ তা'য়ালা এই সওয়াব গুলো ঐ ব্যক্তির আমল নামাতেও দান করবেন। রমযানের আমল ও রমযানের ফজিলত আছে।
যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে এক চুমুক পরিমান দুধ অথবা একটি খেজুর অথবা এক চুমুক পানি দিয়ে ইফতার করাবেন। রমযানের আমল, যে ব্যক্তি কোন রোযাদার দেরকে তৃপ্তি সহকারে খাদ্য খাওয়াবে, আল্লাহ তা'য়ালা তাকে আমি নবী আমার দ্বারা হাউজে কাউসার হতে পানী পান করাবেন। এর ফলে তিনি বেহেশতের ভিতরে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত সে আর কখনোই তৃষ্ণার্থ বোধ করবেন না।
এটি এমন একটি মাস, যার প্রথম অংশে রহমত, মধ্য অংশতে ক্ষমা এবং শেষ অংশতে জাহান্নাম হতে মুক্তি পাওয়ার পথ রয়েছে। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত রমযানের আমল, রমযানের ফজিলত, যে সকল ব্যক্তি এই মাসে তাদের আপন দাস-দাসী দেরকে অধীস্থদের মতো কর্মভার হালকা করে দিবেন মহান আল্লাহ তা'য়ালা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। এবং এর পরে তাকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দান করে জান্নাত দান করবেন।
রমযান মাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য
নবী করিম (সাঃ) হতে বর্ণিত হাদীস দ্বারা রমযান মাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য এর কথা সমূহ তুলে ধরা হয়েছে। এটিতে কতিপয় আদবের কথাও উল্লেখ করেছেন। রমযানের আমল, রমযানের ফজিলত, এটি হলো সোয়াবের একটি মাস। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত কোন কারণে যদিও কোন কষ্ট হয় তাহলে উৎসাহের সাথে তা সহ্য করতে হবে। কখনও যেন এমন না হয়! বেলা যত বাড়তে থাকে মেজাজটাও ঠিক তেমনি খোরাপ হদে থাকে। এর ফলে কেউ কেউ চিৎকার-চেচামেচি ও হৈ-চৈ এবং মার-ধর সহ নানা কান্ড করে থাকে।
বিশেষ করে রোযা যদি গরমের দিনে যেমন গ্রীষ্মকালের রোযা রাখা হলে অনেকেই অস্থির হয়ে পড়ে। আর সেই ঘটনাক্রম অনুযায়ী সেহরী যদি কোন মতোকরে ছুটে যায় তাহলে তো সকাল থেকে অনেকের ক্ষেত্রে কিয়ামতেএর মতো মনে হয়। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত রমযানের আমল, এমন করা আসলেই ঠিক না। অনুরূপ স্বরূপ রাতে তারাবীর সময় কারো যদি কোন রকম কষ্ট হয়ে থাকে তাহলে সেটিকে হাসিমুখে সহ্য করে নিতে হবে।
আর এটাকে বিপদ এবং মুসিবত মনে করা হলো কল্যাণ হতে বঞ্চিত হয়ে যাওয়ার আলামত। যা আমরা অনেক সময় দুনিয়াতে আরাম আয়েশে করার জন্য কত কষ্টই না স্বীকার করে থাকি। আমরা অনেকেই মাথার ঘাম গুলো পায় ফেলে কঠোর পরিশ্রমকরি অথচ আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এই সামান্য তম কুরবানী পেশ করতে পারিনা। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত রমযানের ফজিলত ও রমযানের আমল রয়েছে।
শেষ কথা
নবী করিম (সাঃ) দ্বিতীয় এক কথা ইরশাদ করেন, এটি আসলে সহমর্মীতার একটি মাস। এটি গরীব মিসকিন দের সাথে সহযোগিতা করার একটি মাস স্বরুপ। রমযানের আমল, রমযানের ফজিলত, নিজের ইচ্ছে ও মনোভাব পোষণ করা। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত নিজ্বেই নিজের বাড়ীতে ইফতারী করার জন্য যদি দশ ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে পারেন তাহলে গরীবদের জন্য অন্তত ১ থেকে ২ পদের খাবার দিয়ে হলেও খাওয়ানোর চেষ্ঠা করবেন।
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ, আশা করি উক্ত পোস্টটি সম্পূর্ন পড়ার পরে আপনার বেশ কিছু হাসিদ ও আমলর জানা হয়েছে। রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত তাই এই পোস্টের দ্বারা যদি আপনি উপকৃিত হতে পারেন তাহলে একটি বমেন্ট করবেন। এবং এই পোস্টটি শেয়ার দিয়ে অন্যকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।
শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url