হজমশক্তি উন্নত করার উপায় - হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে
প্রিয় পাটক বন্ধুগণ, আপনি আমাদের এই উক্ত পোস্টটি পড়লে জানতে পারবেন হজমশক্তি উন্নত করার উপায়। এবং হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে, এই হজমশক্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ আবার হজম ক্ষমতা ভালো রাখার কিছু উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
হজমের সমস্যা দূর করার জন্যে খাবারে কিছুটা আঁশের পরিমাণ বাড়ানো দরকার। হজমশক্তি উন্নত করার উপায়/হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে তাই আমাদের নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে।
ভূমিকা
পুষ্টিবিদগণ বলেন, শারীরিক ভিন্ন ভিন্ন ক্রিয়া কতটা সঠিক ভাবে কাজ করব। হজমশক্তি উন্নত করার উপায়/হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে সেইটা অনেকটাই নির্ভর করে শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেনের সরবরাহ এর ক্ষেক্রে। এবং হজম বা শোষণ প্রক্রিয়ার জন্যও অক্সিজেনের বিকল্প কিছু নেই। আর সেই কারণেই শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করাটা অধিক জরুরী বলে মনে করেছেন পুষ্টিবিদগণ। হজমশক্তি উন্নত করার উপায়/হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে তারা বলেন, নাক দিয়ে লম্বা একটি শ্বাস নিয়ে তা মুখ দিয়ে লম্বা করে শ্বাস ছাড়ার কারণে দেহের অক্সিজেনের সরবরাহ অধিক হাড়ে বাড়ে। যাতে হজম শক্তি অনেক সহজ হয়ে যায়।
হজমশক্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
হজমশক্তি সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। হজমশক্তি বাধাগ্রস্ত হলে কিংবা যেকোন ধরণের সমস্যা দেখা দিলে তা পুরো দেহকেই সস্তি হতে পারে। হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে হজমশক্তির বিষয় বলতে বিভিন্ন পুষ্টিবিদগণ বলেন, শোষণ ক্ষমতা পুরাপুরি সম্পন্ন না হলে তা সম্পূর্ণ দেহকেই প্রভাবিত করে থাকে। তবে বিভিন্ন পুষ্টিবিদগণের মতে, কোন একটি খাবারের সাথে আরেকটা খাবার মিষে শোষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এটি বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যায়। হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে এতে লিপিডের প্রোফাইল বেড়ে যায়। ইউরিক এসিড বৃদ্ধি হয়ে যায়। রক্তের ভিতরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
হজম প্রক্রিয়ার তিনটি ধাপ রয়েছে। তা হচ্ছে, কি খাবার খাওয়া হচ্ছে সেইটা। এবং খাবার পরিপূর্ণভাবে হজম হওয়া এবং হজমের পর সেটা দেহে শোষণ হওয়া। এই তিন ধরনের ধাপ দেহের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা যায়। বিভিন্ন পুষ্টিবিদ গনদের মতে, সমস্যা হজম সম্পর্কিত বলতে শুধু গ্যাসের সমস্যা বা ডায়রিয়া কিংবা শুধুমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্যকে বোঝায় না। বরং এর কিছু আলামত রয়েছে।
- এই গুলো হজমশক্তি খুবই ইফেক্ট বা প্রভাবজনক। হজম প্রক্রিয়া বা বাধাগ্রস্ত হয়ে হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার সমস্যা দেখা যায়। তাছাড়া কিছু ইনডিরেক্ট ইফেক্ট থেকে থাকে।
- হজম প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণেই ওজন বৃদ্ধি পায়। স্থূলতা বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া অনেক সময় ধরে খাবার খেলেও শরীর পর্যাপ্ত পরিমানে পুষ্টি না পাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।
- বিভিন্ন পুষ্টিবিদ কিংবা অ্যাসোসিয়েশন অব নিউট্রিশনিস্ট এন্ড ডাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হজম প্রক্রিয়ার ফলে গর্ভবতী মা ও শিশুদের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। কারণ এই হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক না থাকলেও পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া নিশ্চিত থাকে না। এর ফলে গর্ভজাতক শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে?
একেক জনের মেটাবলিজিম অথবা হজমশক্তি একেক রকম হয়ে থাকে। যার কারনে অনেক সময় একই রকম খাবার খেয়েও দেখা যায় যে একজন মোটা হয় আবার আরেক জন মোটা হয় না। হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে যারা হোস্টেলে থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই ধরণের সমস্যা বেশিরভাগ সময় দেখা যায় বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা। হজমশক্তি উন্নত করার উপায়?
হজমশক্তি উন্নত করার উপায়
হজমশক্তি উন্নত করার উপায়: শীতের সময়ে উষ্ণতা ও ত্বকের সমস্যা ধরে রাখার জন্য শীতের পোশাক বা কম্বলের পাশাপাশি আমরা খাবারের ওপরেও নির্ভরশীল বা সয়নশিল হয়ে পড়ে। হজমশক্তি উন্নত করার উপায়/হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে এতে করে অনেক খাবার আছে যেগুলো আমাদের ভেতর থেকে শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে কাজ করে থাকে। হজমশক্তি উন্নত করার উপায়/হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে এই সময় আমরা মুখরোচক এমন খাবার অনেক খেয়ে ফেলি যা আসলে পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। বরং এ ধরনের খাবার খাওয়ার কারনে পেট ফাঁপা ও বদহজমি এবং অনেক অ্যাসিডিটির মতো বড় ধরনের সমস্যা দেখা যায়। খাবার খাওয়ার অনিয়ম কিংবা শরীর চর্চায় আলসেমি মিলিয়ে শীতকালটাতে বদ হজমের সমস্যা অনেক ক্ষেত্রে দেখা দেয়। কোনো কোনো খাবার আছে যা ডায়েটে রাখলে হজমের সমস্যা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়।
হজম ক্ষমতা ভালো রাখার কিছু উপায়
- দানাশস্যঃ পুষ্টিগুণের ভরা গোটা দানা শস্যা ডায়েটে রাখতে হবে সব মৌসুমেই। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রত্ব অনুযায়ী, এই দানা-শস্য গুলো পরিপাকময় সাহায্য করে ক্রিয়া। বার্লি, মেইজ ও টসের মতো দানা শস্য শরীরকে উষ্ণ রাখে সমস্ত মৌসুমে।
- মসলাঃ বিভিন্ন ধরনের মসলার যাদু ও খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ বাড়িয়ে দিবে। পেটের স্বাস্থ্যের জন্য এগুলো আমাদের বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। আপনার এই শীতকালীন খাবারের বিভিন্ন মসলা ব্যবহার করার কথা বলেন বিসেঙ্গরা। সঠিক মসলার ব্যবহার করনে ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পেটের উন্নতি করতে পারে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দারুচিনি, লবঙ্গ, আদা, হলুদ, এলাচ, গোলমরিচ ও জিরা হলো আমাদের হজমক্ষমতার জন্য সেরা মসলা। তাছাড়া এগুলো হরমোন স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক ভালো। তাই আপনার এই শীতকালীন খাবারে এ বিভিন্ন ধরনের মসলা যোগ করুন। এতে স্বাধ বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।
- আখের গুড়ঃ শীতকালীন ডায়েটের আদর্শ ধরা যায় গুড়কেই। আখ থেকে তৈরি করা হয় এই গুড়। তাছাড়া এটি পরিপাকের কাজে সাহায্য করে। পাশাপাশি, আরও অসংখ্য শারীরিক সুস্থতা ও এর পিছনে সক্রিয় গুড়ের অবদান রয়েছে অনেক। পরিপাক সংক্রান্ত এই উৎসেচক উৎপন্ন হজমের সাহায্যে তৈরি করে গুড়।
- গ্রীন / ব্ল্যাক টিঃ চায়ের কাপে চুমুক দিন হজমক্ষমতা ভালো রাখার জন্য। এর ফলে শীত মোকাবিলা করাও আপনার জন্য সহজ হবে। দুধ চায়ের বদলে আপনি ব্ল্যাক টি অথবা গ্রিন টি বেছে নিতে পারেন। গবেষণা করে দেখা যায়। এই ধরনের চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। যা আপনার আমার কিংবা অন্যকারো পেটের বা স্বাস্থ্যের জন্য দ্বিগুণ সুবিধা দেয় তৈরি করে।
- তিলের বীজঃ তিলের বীজ এখন অনেক পরিচিত একটি খাবার। যাকে সিসেম সিড নামে ডাকা হয়। এটি খাওয়ার ফলে শরীরকে উষ্ণ রাখে। এবং শরীরকে উষ্ণ রাখার পাশাপাশি তিলবীজ একটি মৌসুমে আপনার অসুস্থতা থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তৈরি করে দেয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে এই শীতে বিভিন্নভাবে ডায়েটে রাখতে হবে তিল।
- মৌসুমি খাবারঃ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মৌসুমিক খাবার গুলো অনেক উপকারী। তাই এই ফলগুলো শীতকালিন সময় এসব সবজি পাওয়া যায়। তাই সেগুলো নিয়মিত খাওয়ার অব্ভেষ করতে হবে। আঙ্গুর এবং কমলার মতো সাইট্রাস ফল যা ভিটামিন-সি এর দুর্দান্ত উৎস হিসাবে কাজ করে। গাজর আর মিষ্টি আলুর মতো সকল সবজি যা পুষ্টিতে ভরপুর। মেথি, ব্রোকলি, পালং শাক এবং ব্রাসেলস স্প্রাউট এই জাতিয় ক্রুসি ফেরাস নামক সবজি অন্ত্র এবং হরমোন স্বাস্থ্যর অনেক অবদান রাখে।
- স্যুপঃ শীতের সময় বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার আপনার পেটের স্বাস্থের ভালো রাখার ক্খেত্রে কাজ করে থাকে। এসময়ে স্যুপে বিভিন্ন শাকসবজি এবং প্রোটিন যোগ করবেন। এটি আরও অনেক সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। তাই এই প্রকৃয়ার ফলে সহজেই হজমযোগ্য খাবার আপনার শরীরের উষ্ণতা দেয়। সেই প্রসঙ্গে সঠিক পুষ্টি পৌঁছে দেবে। কেবল পেটের জন্যই হালকা নয় বরং এটি রান্নার কাজ ও বেশ সহজ। সেইজন্য শীতের সময়ে আপনার হজম ক্ষমতার জন্য এই খাবার সহায়ক নিয়মিত খেতে হবে।
- আদাঃ ঠান্ডা লাগার পাশাপাশি এবং প্রতিরোধ করার জন্য এবং আদার ব্যবহার করা ধরে রাখে সময় দীর্ঘ দিন। হারবাল যুক্ত চা অথবা খিচুড়ি আদা দিয়ে খেতে হবে। এই শীতে প্রয়োজনীয় কিছু উষ্ণতা পাওয়া যায় যা আদা থেকেই। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন তাতে চুমুক দিন উষ্ণতা আদা-চা বা জিঞ্জাটি এর পেয়ালা। বদহজমি, সর্দি-কাশি, সাইনাস জনিত সমস্যা, গাঁট যন্ত্রণা তাছাড়া এর মতো সমস্যাকেই দূরে রাখতে পারে আদার গুণাগুণ। যা সব সময় প্রয়োজন পড়ে।
১. পর্যবেক্ষণঃ
সর্ব প্রথম আমাদের যেটি করতে হবে সেটি হলো, এক জন ব্যক্তি যে কোন খাবার খেলেই তার সমস্যা হচ্ছে আর সেটিকে খেয়াল করতে হবে সব সময়। বিভিন্ন পুষ্টিবিদ গণ জানান, আমাদের এই দেশে বেশিরভাগ মানুষই বোঝেনা যে কোন খাবারে তাদের সমস্যা হয়। তারা এজন্যই ধীরে ধীরে প্রায় সকল ধরণেরই খাবার যা বাদ দিতে থাকে। হজমশক্তি উন্নত করার উপায় তেলের সাথে ভাজা খাবার, দুধ বা দগ্ধজাতীয় খাবার, অথবা টক খাবার ইত্যাদি। অনেকের দুধ হজম করতে সমস্যা হয়। আর সেক্ষেত্রে দুধ অথবা দুধ জাতীয় ঘন খাবার খাওয়া বাদ না দিয়েই ধীরে ধীরে বা সেটির সহ্য ক্ষমতা বাড়ানো দরকার। হজমশক্তি উন্নত করার উপায়, এছাড়াও দুধ হজমের ক্খেত্রে দরকারি যা সম সময় ল্যাকটেজ নামে এক প্রকারের এনজাইম যা শরীরের নিঃসরণ যা বন্ধ হয়ে গেলেও তা পুনরাই নিঃসরণ শুরু করা সম্ভব।
তার কারনে এজন্যে কোন খাবারেই বিশেষ করে হজম প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত হয়। তাছাড়া অনেক সময় আমাদের নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিনের অভাবে আমাদের হজমশক্তি সব সময় দুর্বল হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিলে তা অনেক শক্তিশালী করা সম্ভব। হজমশক্তি উন্নত করার উপায়/হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে/ হজমশক্তি বাড়ানোর প্রক্রিয়া বা এটিকে বেশ শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া যা সবার জন্য এক রকম হয় না। হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে বরং ব্যক্তিভেদে তা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। সেক্ষেত্রে দেখতে হবে যে আসলে কার কোন খাবারের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে থাকে।
২. শারীরিক ব্যায়ামঃ
আমাদের সব ধরণের শারীরিক ব্যায়াম বা বদ হজম শক্তিকে বাড়াতে পারেনা বলে মনে করে থাকে বিভিন্ন পুষ্টিবিদগণ। মেটালিজম অথবা হজমশক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট অঙ্গ মানুষের কোমরের দিকটায় বা ডায়াফ্রামের উপর থেকে তা শুরু করে নিচ পর্যন্ত থাকে বলে জানিয়েছেন তারা। বিভিন্ন পুষ্টিবিদ গণদের মতে, যেসব ব্যায়ামে শরীরের মাঝের অংশটির কর্মকাণ্ড যত ভাল হবে বদহজম বা হজম শক্তি প্রক্রিয়া তত সুন্দর হয়ে থাকে। হজমশক্তি উন্নত করার উপায়/হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে শরীরের মাঝ খানের অংশের কর্মকাণ্ড গুলোকে বাড়াতে হলে আমাদের বিশেষ ধরণের কিছু ব্যায়াম করতে হবে।
যেমন, চেয়ার বা বসার ক্ষেত্রে রিভলভিং চেয়ার ব্যবহার করা যাতে শরীরের নড়াচড়া অনেক সহজ হয়। একই সাথে বসার ক্ষেত্রে যদি টুইস্টিং পদ্ধতি অর্থাৎ শরীরের উপরের অংশ একদিকে এবং নিচের অংশ আরেক দিকে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে হজম প্রক্রিয়া আরো ভাল হয়ে থাকে। তাছাড়াও কিছু ব্যায়াম করা যায়। হজমশক্তি উন্নত করার উপায়/হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে আর তা হলো শুয়ে ৮৫ থেকে ৯০ ডিগ্রি এ্যাঙ্গেলে দুই পা উঁচু করে রাখতে হবে এবং পা দুটি চক্রাকারের মতো অর্থাৎ বাম থেকে ডানে এবং ডান থেকে বামে ঘোরাতে হবে। এটা খুব ভাল এই প্রকৃয়াটি অনেক কাজে দেয়। স্পট জগিং অথবা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে জগিং করা যায় অথবা হালকা করে লাফানো যায় এ ধরণের ব্যায়াম অনেক উপকারী।
৩. খাবারঃ
আমাদের হজমশক্তি সবল করতে হলে খাবারের প্রকারটাকে বুঝতে হবে। যেমন করে খাবারে শাক থাকলে সেটিকে অবশ্যই তেল দিয়ে রান্না করে নিতে হবে। তাই আবার মাংস জাতীয় কিছু খেলে তার সাথে যাতে লেবু থাকে সেটি সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও প্রতিবার খাওয়া শেষ করে অল্প পরিমানের লেবু-পানি খেলে সেটি হজমের ক্ষেত্রে খুব ভাল একটি কাজ করে। তাছাড়া খাবার খাওয়া শুরু করার আগে থেকেই জিহ্ববাতে অল্প একটু লবণ ঠেকে বা স্পর্শ করিয়ে খাবার খেলে সেটিও হজমে অনেক সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া গাট ব্যাকটেরিয়া যা হজম প্রক্রিয়াটিকে দ্রুত করে সেগুলো বেশি খাওয়া যায়। প্রাকৃতিক ভাবেই এই ব্যাকটেরিয়া যা সবচেয়েই ভাল উৎস হলো দই। বিভিন্ন পুষ্টিবিদগণ বলেন, যাদের হজমের সমস্যা হচ্ছে তাদের জন্য থেরাপি অথবা দই খাওয়াটা উপকারী।
৪. পর্যাপ্ত ঘুমঃ
রাত জেগে থাকা হজমের ক্ষেত্রে অনেক মারাত্মক একটি প্রভাব সৃষ্টি করে। এটি গবেষনা করে জানিয়েছেন বিভিন্ন পুষ্টিবিদগণ। হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে পুষ্টিবিদগণ বলেন, রাতের সময এমনিতেই সব জায়গার পরিবেশে অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই কম থাকে। হজমশক্তি উন্নত করার উপায়/হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে এবং তার পাশাপাশি রাতের বেলা ফুসফুসের বেশিরভাগ অংশেই অব্যহৃত থেকে থাকে। সেই কারণেই পুরোপুরি শ্বাস নেওয়া সম্ভব হয় না। তাই জেগে থাকলে আমাদের সব ইন্দ্রিয় যা কাজ করতে শুরু করে। তাই শরীরে কিছুটা অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হযতে শুরু করে। যা হজম প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে থাকে। সেই কারণে হজম শক্তিকে বাড়াতে অথবা এটিকে বেশি কর্মক্ষম করতে হলে রাতে ঘুমানো অনেক জরুরী বলে মনে করা হয়।
লেখকের মন্তব্য
জিরার গুড়ো পানির সঙ্গে মিশিয়ে গরম করে খাওয়ার কারনে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটির কারনে পেটের চর্বিও দূর হয়। সেই কারনে আপনি এলাচ চিবিয়ে খেতে পারেন। হজমশক্তি উন্নত করার উপায়/হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে এর ফলে হজমের সমস্যা দুর হয়ে যায়। তবে এমন এলাচ খেতে হবে যাতে ঝাঁজ থাকে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।দীর্ঘসময় ধরে পেট খালি রাখলে গ্যাস বৃদ্ধি পায়। তাই খাবার খাওয়ার মাঝে বেশিক্ষণ সময় বিরতি দেওয়া যাবে না। হজমশক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে/হজমশক্তি উন্নত করার উপায় পেঁপে পাতা খেলে আমাদের হজমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত পেঁপে পাতা সিদ্ধ করে পানি খেলে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
প্রিয় পাঠক বন্ধুগন, উপ্ত পোস্ট পড়ার পরে আপনার সিদ্ধান্ত অথবা মতামত যানাবেন কমেন্টের মাধ্যেমে। আর একটি শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিবেন।
শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url