মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা - মাছের ডিমের বড়া রেসিপি
মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। এছাড়াও অনেকে মাছের ডিমের বড়া রেসিপি ঘরোয়া ভাবে তৈরি করে। এটির স্বাধ অন্যতম, যার কারণে এটি সকলের জনপ্রিয় একটি খাদ্য হিসাবে পরিচিতলাভ করেছে। এতে অনেক ক্যালরি আছে, কোলেস্টেরল আছে, পুষ্টিগুণ আছে।
প্রিয় পাঠক বন্ধু উক্ত পোষ্ট দ্বারা আমরা জানব মাছের ডিমের বড়া রেসিপি তৈরি করার উপায়, মাছের ডিমের পুষ্টিগুন, কৃত্রিম রোগ, ক্যালরি ইত্যাদি।
সূচিপত্র:
ভূমিকা
মাছের ডিম হলো মাছ ও মাছ জাতীয় সামুদ্রিক প্রানীর গর্ভাশয়। সংগ্রহীয় বিকশিত পূর্ন ডিম। মাছের ডিমকে ইংরেজি Roe বলা হয়। স্ক্যালপ ও চিংড়ি গুলোকে Roe বলে। এই ডিম দিয়ে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রন্ধন নানা ধরনের খাবার তৈরি হয়ে থাকে। যার ফলে সারা বিশ্বে এইটার অনেক উপকারিতা দিক ও সুনাম রয়েছে। মাছের ডিম সবার প্রিয় একটি খাবার, তবে এই ডিমসব সময় পাওয়া যায় না।
কিছু কিছু সময় এটা বেশি পাওয়া যায়। এটি আগষ্ট মাসের দিকে বেশি উৎপন্ন হয়। কারন আগষ্ট মাসে বেশ কিছু মাছ একসাথে ডিম পাড়ে। মাছের ডিমের বড়া রেসিপি অন্যতম স্বাধ যার কারণে জনপ্রিয় খাদ্য বড়া বা মাছর ডিম।
মাছের ডিমের পুষ্টিগুণ
মাছের ডিমের ভিতরে আছে ভিটামিন-ডি। যা দেহের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে থাকে। তার সাথে দাঁতকে মজবুত করে, দাঁতের গোড়া শক্ত করে। মাছের ডিমের বড়া রেসিপি অনকে সুস্বাদু হয়ে থাকে। এছাড়াও মাছের ডিমে থাকে EPA, DPA বা DHA যা ফ্যাটি অ্যাসিড স্বাস্থ্য উন্নাত করে ও মস্তিষ্কের উন্নতি র কাজে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ রুই মাছের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য
এছাড়াও মাছের ডিমে ভিটামিন-এ থাকে যা মানুষের চোখ ভালো রাখতে অনেক সাহায্য করে। মাছের ডিম খেলে যেসব উপকার হয়ে থাকে।
- রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলে।
- চোখ ভালো রাখে।
- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
- রক্ত পরিষ্কার করে।
- হৃদরোগে উপকারী।
- দাঁত ও হাড় ভালো রাখে।
- উচ্চ রক্তচাপ থেকে ঝুঁকি কমায়।
মাছের ডিমে কোলেস্টেরল
মাছের ডিমের বড়া রেসিপি অনকে জনপ্রিয়, তবে এতে রয়েছে কোলেস্টেরল। মাছের ডিমে কোলেস্টেরল অন্য ডিমের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। যা মানুষকে হৃদরোগের ঝুঁকির সম্মুখীনে নিয়ে যায়। মাছের ডিমে কোলেস্টেরল ১০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত থাকে। এছাড়াও এতে রয়েছে কোলেস্টেরল।
ক্যাভিয়ার থাকে ৩০০ মিলিগ্রাম দৈনিক সীমার অর্ধেকের বেশী আছে, যা প্রাপ্তবয়স্কদের ও সুস্হ মানুষের জন্য হৃদরোগ নামক ঝুঁকি কমায় বা এতে অনেক সুপারিশ করে থাকে। মাছর ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা প্রসঙ্গে ডঃ ঈশানী পারমানিক জানান মাছের ডিমে রয়েছে অনেক সোডিয়াম। এই ডিম নিয়মিত খাওয়ার ফলে ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি হয়।
মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রতিটি জিনিসের উপকার ও ক্ষতি রয়েছে। যেমন ছোট মাছ খাওয়ার উপকার ও ক্ষতি রয়েছে, মৃগেল মাছের উপকার ও ক্ষতি রয়েছে। ঠিক তোমনি মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। এই কথা প্রসঙ্গে ভারতের ডাঃ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, একটি মাছের সব অংশের ভিতরেই উপকার রয়েছে। এর ডিম খেলেও একাধিক পরিমান উপকারিতা রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ রুই মাছের খাদ্যাভ্যাস
ওমেগা ফ্যাটি আ্যাসিড রয়েছে, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-বি১২, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালশিয়াম আচে। এর ফসফরাস অনেক উপকারি উপাতানের মধ্যে অন্যতম। তাই মাছের ডিম খেলে রোগপ্রতিরোধ আশঙ্কা কয়েকগুন কমে।
মাছের ডিমের উপকারিতাঃ
- মাছের ডিমে ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি আ্যাসিড আথ্রাইটিস রিউম্যাটিয়েক লক্ষণ কমায়।
- মাছের ডিমে রয়েছে ভিটামিন-এ, যা চোখ ভালো করে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিএইচএ ও ইপিএ যা শিশুদের চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে।
- মাছের ডিমে থাকা বিভিন্ন উপাদানগুলো দিয়ে রক্ত পরিষ্কার করে। যা আ্যানিমিয়া ও হিমোগ্লোবিন বাড়ান।
- ডিমে থাকে ভিটামিন-ডি যা হাড় শক্ত করে। দাঁত মজবুত করে ও সুন্দর রাখে।
- মাছের ডিম শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- থ্রি ফ্যাটি আ্যাসিড দেহের রক্ত জমাট বাঁধা থেকে রক্ষা করে।
- মাছর ডিম হার্টের রোগের অনেক উপকারি ঔষধ হিসাবে গননা করা হয়।
মাছের ডিম অপকারিতাঃ
মাছের ডিমের বড়া রেসিপি তৈরি হয়, তেমনি সব কিছুর ক্ষতি রয়েছে। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে মাছের ডিমে তেমন কোন ক্ষতি নেই। যদি কারো কোন অসুখ না থাকে তাহলে সে মাছের ডিম খেতে পারে। এতে এন কোন ক্ষতি নেই। কারো যদি হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপ কিংবা জটিল কোন সমস্যা আছে তাদের অবশ্যই খাবার পরিমিত আকারের বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে।
যাদের হৃদরোগ, কোলেস্টেরল বা উক্ত রক্তচাপ রোগ রয়েছে তারা সারা বছরে সর্বোচ্চ ২ বার মাছের ডিম খেলে কোন ক্ষতি হয়না।
মাছের ডিমের বড়া রেসিপি
মাছের ডিমের বড়া রেসিপি অনকে জনপ্রিয় ও সুস্বাদু একটি খাবার। মাছের ডিম দিয়ে যদি রেসিপি তৈরি করতে চান তাহলে যা যা লাগবে।
- মাছের ডিম।
- আলু কুঁচি।
- পিঁয়াজ কুঁচি।
- টমেটো কুঁচি।
- সর্ষের তেল।
- লঙ্কা কুচি।
- হলুদ গুঁড়ো।
- আদা-বাটা।
- নুন।
- চিনি।
- শুকনো লঙ্কা।
- কাশ্নীরির লঙ্কা গুড়া, ইত্যাদি।
মাছের ডিমে কি কৃত্রি থাকে
মাছের ডিমের কৃত্রিম নিয়ে একটি বিষয় অনেক ভাইরাল হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ৩ টি সম্পর্কহীন দুটি ছবি যার মাধ্যমে সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড়। বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে ৩ টি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যার মধ্যে একটিতে কালছে লালাভ ধমনি ছিলো। আরেটি ছবির আকার পরিবর্তন ছিলো। অন্যটিতে দেখা যায় লালচে কৃত্রিম জীব।
আরো পড়ুনঃ রুই মাছের শ্রেণিবিন্যাস
সব একত্রে করার পরে কিছুদিন পরে আরেকটি ছবি ভাইরাল হয় যাতে দেখা যায়। বেসিনের পাশে জরো করা ছিলো যাতে লালাভ কৃত্রিম জীবের আকৃতি ছিলো। এবং বলা হয়েছিলো এতে যেই দাগ দেখা যায় তা কৃত্রিম দাগ। তাই মাছের ডিম খেলে আগে লাল বা কালসে রঙ্গের আবরন ফেলে দিতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
মাছের ডিমে খেলে অনেক উপকার হয়। সেক্ষেত্রে মাছের ডিম খেলে কোন ক্ষতি হয়না। তবে যদি কেউ হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বা জটিল কোন রোগ রয়েছে তারাও মাছের ডিম খেতে পারবেন তবে বছরে দুই থেকে তিন বার তার বেশি খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
প্রিয় পাঠক বন্ধুগন, উক্ত পোষ্ট দ্বারা যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে কমেন্ট এবং শেয়ার করে বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দিবেন।
শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url