সুন্দরবনের খাঁটি মধু চেনার উপায় - নষ্ট মধু চেনার উপায়
খাঁটি মধু চেনার উপায় সাদা ফেনা দেখা যায়। এবং নষ্ট মধু চেনার উপায় যদি মধুতে কিন্তু মেশানো থাকে তাহলে ফেনা উঠবে বুঝতে হবে সেইটা ভেজাল মধু। ছেলে ও মেয়েদের মধু খাওয়ার উপকারিতা কি? মধু খেলে কি হয় জেনে নিন।
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ, আপনি যদি মধু কিনতে চান তাহলে আপনাকে আগে খাঁটি মধু চিনতে হবে। তাছাড়া আপনি চিনি দেওয়া ভেজাল বা অন্য মধু পাবেন। আপনি ঠকতে না চাইলে অবশ্যই কিছু টিপস জেনে নিন যাতে আপনাকে কেউ ঠকাতে না পারে।
সূচিপত্র:
ভূমিকা
খাঁটি মধু চেনার কিছু দিক রয়েছে, যা জেনে থাকলে যে কেউ আসল মধু পরিক্ষা করে কিনতে পারবেন। নষ্ট মধু চেনার উপায় ও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন খাুটি মধুতে কখনো ভিনেগার গলিয়ে সেই পানিতে কিছু মধু দিলেে যদি ফেনা তৈরি হয় তাহলে সেইটা ভেজাল মধু। এই রকম খাঁটি খাঁটি মধু চেনার অনেক উপায় রয়েছে। ভেজাল মধু উৎপন্নের ফলে ভালো বেশি সেই কারনে বর্তমান বাজারে বেশিরভাগ মধুই ভেজাল। তাই আজল মধু জেনে নিন, যার ফলে মধু খাওয়ার গুন পাবেন। যদি ভেজাল মধু খান তাহলে টাকা খরচ করবেন কিন্তু রেজাল্ট পাবেননা। তাই উপকৃত হতে হলে আসল মধু ক্রয় করুন।
মধু সংরক্ষণের উপায়
- মধু সংরক্ষণের কিছু উপায় রয়েছে। যথা-
- মধু কাচের বোতলে রাখতে হবে।
- মধু যদি বেশি দিন ধরে ব্যাবহার করতে চান তাহলে মধুর বোতল হাল্কা টাইট দিতে হবে। যাতে করে ভেতরের গ্যাস বা বাতাস বাহিরে বের হতে পারে।( সুন্দরবনের মধুর ক্ষেত্রে)
- ভিজা হাত ও চামচ দেওয়া যাবে না।
- মধুতে পানি যেনও না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ পানি মধুর শত্রু।
- মধু খাওয়ার জন্য ঘরে পিঁপড়ে আসতে পারে। তাই মধু বোতলে করে পাত্রে পানি রেখে পানির মাঝখানে পাত্র রাখতে হবে।
- সুন্দরবনের মধু বেশি দিন রাখা সমস্যা না। কারণ এই মধু নন প্রসেসিং।
ছেলেদের মধু খাওয়ার উপকারিতা
মধু খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, তবে এর ভিতরে ছেলেদের মধু খাওয়ার কিছু উপকারিতা রয়েছে। যার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। কোষ্ঠকাঠিন্যতা রোগ দুরীকরণ রোধ পায়। ডিসফাংশন ইরেকটাইল ও প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন রোগ নিয়ন্ত্রণ করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে। মানুষের দেহের রক্তের ভিতরে থাকা কোলেস্টেরল কমায়। ব্লাড নিয়ন্ত্রণ করে। এবং আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারে।
নষ্ট মধু খেলে তেমন কোন উপকার হবেনা। নষ্ট মধু চেনার উপায় ও রয়েছে। ছেলেদের মধু খেলে আরো কিছু উপকার রয়েছে, যেমন এতে রয়েছে ভিটামিন-ই এবং জিঙ্ক। মধুর ভিতরে ভিটামিন-ই ও জিঙ্ক থাকার ফলে এটি সে*ক্স স্টিমুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। মধু খেলে ছেলেদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়।
পুরাতন মধুর উপকারিতা
প্রতিদিন ১ থেকে ২ চামচ মধু খাওয়ার অব্ভেষ করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে যদি কেউ হাল্কা কুসুম গরম পানির সঙ্গে মধু লেবুর সাথে মিশিয়ে খাঁলি পেটে খেতে পাবে তাহলে তার পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগ মুক্ত হয়। এবং স্বাস্থ্যের পক্ষে অনকে উপকারিতা রয়েছে। মধু যদি বেশি দিন ধরে রাখা যায় তাহলে মধু ধীরে ধীরে আরো বেশি গাড় হয়ে যায়। এবং এর স্বাধ আরো দ্বিগুণ পরিমান বৃদ্ধি পায় তবে খেয়াল করতে হবে মধু যেন নষ্ট না হয়।
আরো পড়ুনঃ শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
তার জন্য নষ্ট মধু চেনার উপায় জানতে হবে যাতে আপনি চিনে মজুত করতে পারেন। খাঁটি মধু যদি মজুত করা যায় তাহলে এটি গাড় হয়ে স্বাধ বৃদ্ধি পায়। তবে এটি কখনো নষ্ট হবেনা। যার ফলে এটি খাওয়া নিরাপদ।খাঁটি মধু নষ্ট হয়না কারণ নিম্ন তাপ মাত্রার আদ্রতা ব্যাকটেরিয়া ও স্বাভাবিক ভবে উচ্চ তাপমাত্রার চিনি বাড়তে বাঁধা দেয়। যার ফলে এটি সব সময় একই থাকে।
সুন্দরবনের খাঁটি মধু চেনার উপায়
চাঁক কাঁটা খাঁটি মধুতে সব সময় সাদা ফেনা বা বুদবুদ আকৃতির দেখা দেয়। এটিই মুলত খাঁটি মধু চেনার প্রধান উপায়। যার দ্বারা বুঝা যায় মধুতে কোন প্রকার রাসায়নিক পদার্থ বা চিনি মেশানো হয়নি। খাঁটি মধুতে যদি কেউ আগুন লাগাতে চাই তাহলে সেটি সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। তবে ভেজাল মধুতে কোন প্রকার আগুন ধরে না। মধুতে আগুন আগানোর পরে যদি আগুন না জলে তাহলে বুঝবেন সেটি ভেজাল মধু।
- নকল মধুতে ফেনা হয়।
- নকল মধু বেশ পাতলা আকৃতির হয়। মধু দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়, এটি ভেজাল।
- মধু হাতের আঙ্গুল নিয়ে দেখুন সেটি যদি অতিরিক্ত আঠালো হয় তাহলে সেটি আসল।
- মধু গ্লাসের ভিতর নিয়ে। গ্লাসটি হাল্কা করে নাড়ালে মিশে যাওয়ার পরে যদি মধু পানির সঙ্গে মিশে যায় তাহলে বুঝবেন সেটি ভেজাল। কারণ আসল মধু মখনো পানির সঙ্গে মিশানো যায় না।
- আসল মধু দীর্ঘদিন যাবৎ রাখলেও মধু কখনো জমাট বাঁধবে না।
- মধুতে কখনো পিঁপড়ে ধরবে না।
সুন্দরবনের খাঁটি মধু চেনার উপায় হলোঃ
- মধু দেখতে Light Amber রঙের হয়ে থাকে।
- এই মধু খেতে সুস্বাদু, এবং হালকা টকটক মিষ্টি লাগে।
- সুন্দরবনের খাঁটি মধু কিছুটা আখের রসের মতো।
- এই মধুর ঘনত্ব সবসময় পাতলা হয়।
নষ্ট মধু চেনার উপায়
হাটে-বাজারে অনেক ধরনের মধু পাওয়া যায়। আবার রাস্তা-ঘাটে বা পাড়া-মহল্লাতে অনেকে মধু বিক্রি করে। ভেজাল এই দুনিয়াতে নষ্ট মধু চেনার উপায় আচে। যুদ যেমনি হোক তার ফাঁকা রাস্তা অবশ্যই থাকে। তাই মধু খাঁটি নাকি ভেজাল সেটা চিনার বা বোঝার কৌশল ও হয়েছে।
- খাঁটি মধু চেনার উপায় হলো খাঁটি মধু ফ্রিজে রাখলে কখনো জমাট বাধেনা।
- চাঁক কাটা খাঁটি মধু থেকে সাদা বুদবদে ফেনা দেখা যায়, তবে সেটি ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পরে আর কোন ফেনা দেখা যায় না।
- খাঁটি মধুতে আগুন ধরালে সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যাবে।
- যদি না জ্বলে তাহলে সেটি ভেজাল বা নষ্ট মধু।
- মধুতে ভিনেগার মেশালে যদি ফেনা দেখা দেয় তাহলে সেটা ভালো মধু নয়।
চুন দিয়ে মধু পরিক্ষা
আপনি যদি মধু চিনতে না পারেন তাহলে চুন দিয়ে মধু পরিক্ষা করা সম্ভব। চুন দিয়ে মধু পরিক্ষা করতে হাতের তালুতে অল্প একটু চুন নিতে হবে তার পরে একটু মধু নিতে হবে। এর পরে চুন ও মধু একত্রে মিশিয়ে নিন। তার পরে কিছুক্ষণ ধরে মেশানোর পরে যদি হাতের তালুতে গরম অনুভব করেন তাহলে বুঝবেন সেটি আসল মধু।
আরো পড়ুনঃ শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়?
আর যদি মেশানোর পরে কোন প্রকার গরম অনুভব না করেন তাহলে বুঝতে হবে সেইটা ভেজাল মধু। এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই আসল ও নকল মধু পরিক্ষা করা সম্ভব। যা খুব সহজেই সকল প্রকার মানুষ এটি পরিক্ষা করতে পারবে।
খাঁটি মধু কি ফ্রিজে জমে
খাঁটি মধু যদি ফ্রিজে রাখা হয় তাহলে সেটি কখনো জমাট বাঁধবে না। আবার সেটি কখনো সেটি দানা দানা ভাব হবে না। খাঁটি মধুতে ঘন ঘন ভবটাই থাকে। কিন্তু ভেজাল মধু যদি ফ্রিজে রাখা হয় তাহলে সেটি জমে যাবে। এবং ভেজাল মধু ফ্রিজে রাখার ফলে মধু কিছুদিনের মধ্যে সাদা বুধবুধে হয়ে যায়। আবার মধুর উপরের অংশ সাদা ও স্তর দেখা যায়। আসলে ভেজাল মধু কখনো মধু চিলোনা সেটি ছিলো চিনি যার কারনে এটি ফ্রিজে রাখলে কেমিকেল নষ্ট হয়ে চিনি সাদা বুদবুদে হয়ে যাবে।
কোন মধু সবচেয়ে দামি
সারা বিশ্বের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় দামি ও সুস্বাদু মধু হলো ''এলভিস মধু''। এই মধুর দাম বর্তমান বাজারে ৯ লক্ষ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। এটি অনেক জনপ্রিয় একটি মধু যার ফলে এটির দাম ও মান বেশি।
লেখকের মন্তব্য
মধুর অনেক গুনাগুন আছে। বাচারে বিভিন্ন জাতের মধু পাওয়া যায় যার ফলে আসল মধু চেনা কঠিন হয়ে পড়ে। আশা করি উক্ত পোষ্ট দ্বারা আপনি জানতে পেরেছেন আসল মধু ও নকল মধু চেনার উপায়। তাই এবার থেকে বাজারে মধু কিনতে গেলে আপনি এই সপিক গুলো ব্যাবহার করে আসল মধু কিনুন ভেজাৱকে না বলুন। ভেজাল মুক্ত দেশ গড়ুন।
উক্ত পোষ্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট এবং শেয়ার করে বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দিবেন।
শামিম বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url